HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

আসন্ন নির্বাচনের আমেজ ও ইমেজ

বিপ্লব মজুমদার / ২৩০
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিপ্লব মজুমদার: স্নিগ্ধ শীতল শীতের সকালে বাঙালির পিঠা উৎসবের মতো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন একটি উৎসব বটে! সেটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, যেটাই হোক না কেন;নির্বাচন নিঃসন্দেহে একটি উৎসব এবং সেই সাথে জনগণের মত প্রকাশের সাংবিধানিক স্বাধীনতা ও অধিকার।

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা সরকারের যে কোনো বিকল্প নেই, এটা নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিতে হবে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাদ,সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন যে বদ্ধপরিকর সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কথা হলো, এই নির্বাচনী হাওয়া সাজে নয় বরং মানুষের মনে কতটা নির্বাচনী উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করতে পেরেছে বা পারছে ?? সেটা দেখার প্রয়োজন আছে বৈকি।প্রার্থীরা কি তাদের ব্যক্তিত্ব দিয়ে ভোটারদের কাছে টানতে চাইছে, না -কি বিভিন্ন রকমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে টানতে চাইছে?? না – প্রার্থী তার ব্যক্তিত্ব, কর্ম ও প্রতিশ্রুতির সমন্বয়ে ভোটারদের কাছে টানতে চাইছে?

প্রার্থী যদি তার ব্যক্তিত্ব, কর্ম ও প্রতিশ্রুতির সমন্বয়ে ভোটারদের কাছে টানতে পারে তবে সেটা হবে প্রার্থী নির্বাচনের মূল আকর্ষণ। শুধু উন্নয়ন কিংবা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে একজন অজপাড়া গায়ের সহজ সরল ভোটারকে কাছে টানা যায় না,এজন্য ভালো ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন যেমন হয় তেমন জনমানুষের সাথে জনসংযোগের প্রয়োজনটাও জরুরি । প্রার্থীর সাথে ভোটারের মধ্যে ভ্রাতিত্বের বন্ধন টা গড়ে তোলা খুব দরকার । তবেই তো জমবে নির্বাচন। খেলার মাঠে শক্ত প্রতিপক্ষ ছাড়া যেমন খেলা জমে না অর্থাৎ দর্শক আগ্রহ হারায়, নির্বাচনও ঠিক তেমনি। নির্বাচন যেন শুধু প্রার্থীর বচন সার না হয় সেটা লক্ষ্য রাখাও খুব প্রয়োজন।

বর্তমানে আমাদের চারপাশে তাকালে বোঝা যাচ্ছে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের তেমন কোন উৎসব উৎসব ভাব নেই। এক কথায় বলতে গেলে আসন্ন নির্বাচনের আমেজ ও ইমেজ শীতের পিঠা উৎসবের মতো অতটা নেই যতটা দেখতে পাওয়া যায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। তাহলে এর কারণ কি? নীরব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, প্রত্যাশিত প্রার্থীর অভাব নাকি প্রার্থীর সাথে জনগণের যোজন যোজন দূরত্বের ফলে তৈরি হওয়া হাহাকার??

মোদ্দা কথা হলো আমরা উৎসব তাকেই বলি, যেখানে আনন্দ থাকে,আগ্রহ থাকে,সংঘাত নয় সংযোগ থাকে,সংঘর্ষ নয় বরং সম্প্রীতি থাকে সেটাই হলো উৎসব। আর এই আসন্ন নির্বাচনকে যদি উৎসবের সাথে তুলনা করতে যাই তাহলে কিছু ব্যতিক্রমীভাব তো লক্ষ্য করা যায়।

সামনে হয়তো বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে। উন্নয়নের নানামাত্রিক ইমেজগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ হবে, ঘুরেফিরে আবারও হয়তো উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েই ইশতেহার ঘোষণা হবে। কিন্তু খাদ্য, চিকিৎসা ও কর্ম এই তিনটি বিষয়কে যেনো বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। কারণ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম মানুষ নাগালে পেতে চায়।কিংবা আমাদেরই কোনো দিনমজুর পিতা যেনো তার সন্তানের সর্বোচ্চ চিকিৎসাটুকু একজন ধনী পিতার মতো রাষ্ট্রের ভিতরে থেকেই করাতে পারে তার সুনিশ্চিত ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়াটা রাষ্ট্রের উপর বর্তায়। লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত তরুণ যে বেকার হয়ে আশানুরূপ কর্মের অভাবে হতাশায় দিনাতিপাত করছে, সেটাকে আড়ালে রেখে মহাসড়কের উন্নয়ন বাস্তবিকই কোনো কাজে দেবে। বড় কথা হলো দিনশেষে যদি উদ্যোক্তাই হতে হয়, হাঁসমুরগির খামারি হতে হয়, মাছের বড় ব্যবসায়ী হতে হয় তাহলে এটার জন্য সাত আট বছর ধরে পড়াশোনার পিছনে ফাও সময় নষ্ট করার প্রয়োজনটাই বা কী?? ইশতেহার ঘোষণার আগে অন্তত ভেবে দেখতে হবে তা না হলে নির্বাচনের আমেজ যুবসমাজের সমর্থন হারাবে।

সাধারণ মানুষ শান্তি চায়,স্বস্তি চায়।দুমুঠো ভাত খেয়ে নাক ডাকিয়ে ভাবনাহীন ঘুম চায়। সড়কে দিনে রাতে স্বাধীনভাবে চলতে চায়। সাধারণ মানুষ কর্ম চায়।ফ্রিজ ভর্তি মাছ মাংস চায় না।আগুন সন্ত্রাসীদের কাছে বলির পাঠা হতে চায় না।সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চায় না।

গণতন্ত্র হচ্ছে A government of the people, by the people and for the people.সেই অর্থে জনগণের সাথে কোনো জনপ্রতিনিধি বা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনের আগমুহূর্তের সম্পৃক্ততা কোনো নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করতে পারে না। কারণ এই নির্বাচনের আমেজের ইমেজ ফুটে উঠবে নির্বাচন পরবর্তী সময়গুলোতে।সেখানে জনগণের মতামত, আকাঙ্ক্ষা কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারবে জনপ্রতিনিধিরা!!

লেখক: বিপ্লব মজুমদার
সাতক্ষীরা


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ