HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০১:২৯ অপরাহ্ন

অস্থিতিশীলতার দিকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ

জহিরুল ইসলাম শাহীন / ২০১
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩

প্রাচীনকাল থেকে বৃটিশরা অর্থাৎ ইংরেজরা সমগ্র ভারতবর্ষে আগ্রাসন চালিয়ে ছিলেন। তাদের নিপীড়ন, নির্যাতন, অত্যাচারে অধিকাংশ ভারতীয়রা নাভিশ^াস ছিল। পারতোনা সে সময় তাদের মনের কথা বলতে, পারতো না তারা স্বাধীন ভাবে চলতে, পারতো না তাদের শিক্ষা লাভ করতে। তারা মৌলিক অধিকার থেকে ছিল একেবারে বঞ্চিত। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিলনা। ইংরেজরা যা বলতো তাই-ই করতে হতো। তবে মুষ্টিমেয় কিছু ভারতীয়ানরা তাদের নীতিকে বিসর্জন দিয়ে ইংরেজদের সংগে তাল মিলিয়ে কিছুটা ফয়দা লুটতো। পরবর্তীতে ভারতের পিতা মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতের সমস্ত প্রদেশগুলো দ্বিধাদন্দ ভুলে যেয়ে ধর্মীয় মতাদর্শতা ভুলে যেয়ে একটাই দর্শনে বিশ^াসী হয় যেকোন ভাবে ইংরেজদের কাছ থেকে সমগ্র ভারতকে রক্ষা করতে হবে। কিছুকাল অতিবাহিত হওয়ার পর ইংরেজরা যখন বুঝতে পারলো সমগ্র ভারতবর্ষ আমাদের বিরুদ্ধে কিছু একটা করতে যাচ্ছে তখন তারা নমনীয় হয়ে মহাত্মা গান্ধীর সাথে বৈঠকে বসলেন এবং ভারত বর্ষের স্বাধীনতার জন্য এবং স্বাধীনভাবে যাতে চলতে পারে এবং হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদি, সবাই যাতে একত্রে জাতি, মত নির্বিশেষে একটা স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা অনেকটা কায়েম হয়ে গেল এবং পৃথিবীর মানচিত্রে এক জাতি, এক গোষ্ঠী, এক দেশ যেটা হলো ভারত। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল, এতে ইংরেজদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। সমগ্র ভারতবর্ষের আপামোর জন সাধারণ এক হলে তারা ইউরোপের ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষা-দিক্ষা থেকে অনেকটা এগিয়ে যাবে। পূর্ববাংলা, পশ্চিম বাংলা, পাকিস্তান, ভারত অনেকটা শপথ করে ফেললেন আমরা কখনও আলাদ হবোনা। কিন্তু ইংরেজদের ফাঁদে পা দিয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে হিন্দুরা হিন্দু ধর্মের প্রভাব খাটিয়ে অপর দিকে মুসলমানেরা মুসলমান ধর্মের প্রভাব খাটিয়ে কিছুটা বিভাজনের মধ্যে পড়ে গেল এবং তাদর মধ্যে এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইংরেজরা কৌশল অবলম্বন করে মহাত্মা গান্ধীকে ফাদে ফেলে এমন ভাবে দলিল তৈরি করলেন যে দলিলের মাধ্যমে মুসলাম অধিষ্ঠিত অঞ্চল পাকিস্তান এবং হিন্দু অধিষ্ঠিত অঞ্চল ভারতে রূপ নিলো। তার খেসারত দিতে যেয়ে মহাত্মা গান্ধিকে আততারীর গুলিতে নৃশংস ভাবে পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিতে হলো। ফলশ্রæতিতে পাকিস্তান নামে একটি নতুন রাষ্ট্র গঠিত হলো যেখানে একটা অংশে পূর্ব পাকিস্তান এবং অন্য অংশটি পশ্চিম পাকিস্তান হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। এর ভেতরেও ছিলো আরেক রাজনীতি। কোথায় পূর্ব পাকিস্তান আর কোথায় পশ্চিম পাকিস্তান যার ভেতরে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র এবং কঠিন রাজনীতি যেটা কায়দা আযম মোহাম্মাদ জিন্নাহ বুঝে উঠতে পারেন নি। অপর দিকে জোহর লাল নেহেরুর নেতৃত্বে বিশাল ভারত নামে একটি স্বাধীন এবং বহুমাত্রার গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিলো। কিন্তু পাকিস্তান নামক যে রাষ্ট্র যন্ত্র সৃষ্টি হলো তার মেরামত বা অবকাঠামো এমন ভাবে নির্মিত হলো যে, সেখানে শুধু ধ্বংস, রাজনৈতিক উত্তাপ, ধর্মীয় উন্মাদনা, জঙ্গী, সন্ত্রাসসহ সকল ধরনের পৈশাচিক নির্যাতন নিজেদের ভেতরে শুরু হয়ে গেল। পাকিস্তান বিশে^র মানচিত্রে একটি সন্ত্রাসী ও জঙ্গী মদদদাতা দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে বিবেচিত এমনকি এখনও সেই অবস্থায় আছে। এবার আসা যাক পূর্ব পাকিস্তানের কথায়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের সাথে সাথে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীরা পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের উপর দিয়ে স্টীম রুলার চালাতে লাগলো। এদেশের মানুষের জীবনে নেমে আসলো অমাবস্যার রাত। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে লাগলো। দুবেলা দুমুঠো ভাত জুটছে না সে সময়কার বাঙালী জাতির কপালে। শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রাখা হলো। মাওলানা ভাষানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শের-ই বাংলা এ, কে ফজলুল হক কিছুই করতে পারছেন না। পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এ আরেক নিপীড়ন, নির্যাতন তখন বাঙালিরা জেগে উঠতে শুরু করলো। বঙ্গবন্ধু অর্থাৎ বাংলার স্থাপতি শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেখলেন এভাবে বাঙালিরা একদিন নি:শেষ হয়ে যাবে এরা আর কখনও দাড়াতে পারবে না, দরকার বলিষ্ট নেতৃত্বের। তখন তিনি কাল বিলম্ব না করে সরাসরি কলকাতা থেকে ফিরে এসে বাংলার রাজনীতিতে স্বক্রিয় অংশগ্রহণ করলেন এবং বাঙালী জাতিকে পরাধীনতা মালিকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুললেন। তার আওয়াজে সাড়া দিয়ে প্রথমে ১৯৪৮ সালে উর্দু ভাষার বিরুদ্ধে আমাদের মায়ের ভাষা, জাতির ভাষা, দেশের ভাষা বাংলাকে জাতীয় ভাষায় রূপান্তরিত করার শপথ গ্রহণ করলেন। এদেশের জনগণকে সংগে নিয়ে সকল দলের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহযোগিতায় এবং বিশেষ করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের অদমনীয় সাহসীকতায় ১৪৪ ধারা, কারফিউ ভঙ্গ করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাত থেকে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার জাতীয় ভাষা প্রতিষ্ঠিত হলো। আন্দোলন কিভাবে করতে হয়, শত্রæদের কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় তা বুঝিয়ে দিল এদেশের দামাল সন্তানেরা। এরপর শুরু হলো পাকিস্তানের দমন পীড়নের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন যে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন নির্লোভী, নিষ্ঠাবান আদর্শ পুরুষ মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধু। ১৯৫৪ সালের যুক্ত ফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৬২ শিক্ষানীতি, ১৯৬৬ ছয়দফা, ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এবং পরিশেষে ১৯৭১ সালের স্বাধিনতা যুদ্ধ যে সংগ্রামের এবং আন্দোলনের মুল সনদ ছিল এদেশের জনগনের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। স্বাধীন ভাবে জনগন কথা বলতে পারবে, স্বাধীনতা ফিরে পাবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে পাবে। পছন্দমত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে এবং স্বাধীন সর্বভৌমে রাষ্টে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে সবাই সকল ধর্মের অধিকারও সমান হবে কেউই কারোর ধর্মের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। সবাই ভাই ভাই। ভাই-ভাইয়ে মিলে গড়বো সোনার বাংলাদেশ। এটাই ছিল আমাদের স্বাধীনতার সনদ। সেই স্বপ্নে সবাই বিভর। দেশ স্বাধীন হলো। মানুষ মুখ উচ করে দাড়াতে শিখলো। রক্ত দিয়ে জীবন উৎর্গ করে কেউ মাকে হারিয়েছে, কেউ বাবাকে হারিয়েছে, কেউ সন্তানকে হারিয়েছে, কেউ স্বামিকে হারিয়েছে। ভাষার জন্য আন্দোলন এবং দেশের জন্য সংগ্রাম। এমনকি এ সংগ্রাম পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। হয়তো বা অনেক দেশ স্বাধীন হয়েছে, অনেক দেশে জাতীয় ভাষা ও প্রতিবাদের ভিতর দিয়ে এসেছে। কিন্তু আমাদের দেশের মত নয়। কিন্তু ৭১ এর পরে যে সমস্ত সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে সরকার গঠন করেছে তারা কি স্বাধীনতার সনদ ভুলে গেছে? যারা জীবন দিলো, রক্ত দিলো, দেশ স্বাধীন করলো তাদের জন্য আমরা কি করেছি? তাদের কথা কি আমরা একবারও ভেবেছি। যে সমস্ত দেশ স্বাধীন হয়েছে রক্তের ভেতর দিয়ে, জীবন উৎস্বর্গ করার ভেতর দিয়ে, সেই সমস্ত দেশে কি পেশি শক্তির মহড়া চলে। ঘুষ, দুর্নীতি অন্যায়, অপরাধ- অবিচার এবং অযোগ্য, অদক্ষ লোক কি নিয়োগ পেতে পারে। মেধাবিদের যদি মেধা হীন করে রাখা হয়, মেধাহীন দের যদি মেধাবী করা হয়, পেশি শক্তির মাধ্যমে যদি নিয়োগ দেওয়া হয়, দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে যদি উচ্চ পদস্থ পদে আসীন হয়, সেখানেই স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার মর্যাদা, গর্র্ব ও অহংকারী হারায় অর্থাৎ যে বাংলাদেশ স্বাধীন ভাবে মাথা উচু করে পৃথিবীর মানচিত্রে দাড়াতে চেয়েছিল সে কি আর কখনও দাড়াতে পারবে? আমার মনে হয় না। কখনও দাড়াতে পারবে না। আমি মনে করি ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পেরেছিল। বেশ ভালো ও ছিল। অন্তত দেশে, গ্রামে, গঞ্জে, শহরে, বন্দরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কেন্দ্রে সকল দলের সকল নেতাদের ভেতরে ছিল অসম্ভব মিল মহব্বত। একই ডাইনিং টেবিলে, একই ক্যান্টিনে খাওয়া, নাস্তা করা, একই ষ্টেশনে বসে আড্ডা দেওয়া, একই টিএসিতে বসে নাটক করা, শর্ট ফিল্ম তৈরি করা, পথে পথে দেশের গান গাওয়া, পথযাত্রা করা এসব আর নেই। আমরা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে পুলিশের এমন বেপরোয়া ভাবে চলা যেখানে সেখানে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারী এবং ছাত্র বা ছাত্রীরদের উপর চড়াও হওয়া বা শারিরীক ভাবে নির্যাতন করা আমাদের চোখে পড়ে নাই। বরং কোন ছাত্র বা ছাত্রী বিপদে পড়লে, কোন পথচারী সমস্যায় পড়লে এই পুলিশ বাহিনীই সর্বোচ্চ নিরপত্তা দিত, আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। পুলিশ জনগনের বন্ধু। পুলিশ দেখলে মানুষ সাহস পেত, কারন তারাই জনগনের কাছাকাছি থাকত। কিন্তু সত্তর বা আশি দশকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ততটা উচ্চা শিক্ষিত ছিলেন না। কেউ ছিলেন পঞ্চম শ্রেণী পাশ, কেউ ছিলেন ৮ম শ্রেনী পাশ। কেউই বা ছিলেন এস,এস,সি পাশ এবং আবার কেউ কেউ ছিলেন এইচ এসসি বা গ্রাজুয়েট পাশ। বিশ^বিদ্যালয়ে মধ্যবৃত্ত¡ ঘরের বা নিন্ম মধ্যবৃত্ত¡ ঘরের ছেলে মেয়েরা ততটা লেখাপড়া করার তেমন সুযোগ পেত না। কিন্তু বর্তমান সেনা বাহিনীর কথা বলি, নৌ-বাহিনীর কথা বলি, বিজিবির কথা বলি এবং বিশেষ করে দেশের ভরষা জনগনের আস্থাভাজন পুলিশ বাহিনীর কথা বলি, নিরাপত্তার কথা বলি এবং একমাত্র আশার ভরসা বা প্রদীপ বলি এই পুলিশ বাহিনীর যারা এখন একেবারে কনস্টেবল থেকে সেনা বাহিনীর সদস্যরা গ্রাজুয়েট এবং অর্নাস ও মার্স্টাস শ্রেণী পাশ বড় বড় বিশ^বিদ্যালয় থেকে। আজ তারা বিতর্কের উর্দ্ধে নেই। তারা এখন জনগনের জন্য আতঙ্ক। জনগনের যান, মালের নিরাপত্তা যাদের হাতে তারাই দেশের জনগনের কাছে এক বড় ভিতির নিদর্শন হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। এটা দেশের জন্য সুখকর নয়। অতিরিক্ত বল প্রয়োগ, অতিউৎসাহিত হওয়া, জনগনের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা, ভীতি প্রদর্শন করা মোটেই ঠিক হচ্ছে না। সমীচিন নয়। আপনারা আজ বাংলা দেশের সর্ব মর্যাদার প্রতীক। আপনারা প্রজাতন্ত্রের সেবক, আপনাদের উপর নির্ভর করে এদেশের জনগণের শান্তি ও স্বস্তি যেটা বিগত দিনে ছিল। আমরা জনগন, আপনাদের কখনও জাতীয়তা বাদী দলের, কখনও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, কখনও জাতীয় পাটির, বাম দলের বা অন্য কোন দলের সদস্য ভাবি না। আপনারা আমাদের জনগনের, রাষ্টের, আপনারা আপামর জন সাধারনের। আপনাদের কাছ আমাদের চাওয়া পাওয়া অনেক। কারন আজকের এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের গনতন্ত্র, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং সমাজিক পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে তা পুনঃ নির্মান করতে হবে। এবং তা রক্ষা করার একমাত্র পবিত্র, নৈতিক এবং আদর্শিক দায়িত্ব আপনাদেরই। এদেশের সকল শ্রেনীর জনগনের অধিকার ফিরিয়ে আনার, ফিরিয়ে দেবার এবং বিশেষ করে যুবক সমাজের ভিতরে যে অনাস্থা নিরাশা, হতাশা বিরাজ করছে তা বিনির্মানের দায়িত্বও আপনাদের। এক কথায় আপনারাই এবং আপনাদেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য যুদ্ধের ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ে সকল দলের অপশক্তি এবং অবিচার চিরতরে উৎপাটন করে দেশকে বাচানো, জাতিকে বাচানো, জাতিকে উৎসাহিত করা, নির্বিঘেœ চলার পথ ফিরিয়ে দেওয়া এটাই আশা। একবার ও কি ভেবে দেখেছেন, গ্রাম গঞ্জের মানুষের উপর ২০০১ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত নিরীহ মানুষের উপর কিভাবে শারীরিক মানষিক ও আর্থিক নির্যাতন চলছে। আমি দেখেছি ঘুরে ঘুরে কিভাবে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তারা ঘরে থাকতে পারছে না। ছেলে মেয়েদের সংগে, পিতা মাতার সংগে, এমনকি স্ত্রীর সংগেও দেখা করতে পারছে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে আমার আহবান আপনারাও গ্রাম গঞ্জের মানুষকে সাহায্য করুন। সহযোগিতা করুন আগেই বলেছি আমরা ভাই ভাই। একে অপরের প্রতিবেশী। আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। আমরা কাকে হত্যা করছি, কাকে জেলে পাঠাচ্ছি, কাকে বিনা কারনে মামলা দিচ্ছি। সব কিছু হিসেবে নিয়ে স্বাধীন ভাবে চলাচলের পথ বের করুন। আমি আবারো সকলের কাছে অনুরোধ করবো, আসুন একত্রে আমরা সোনার বাংলা গড়ি।

লেখক: জহিরুল ইসলাম শাহীন
সহঃ অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ