HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন

বানিজ্য মন্ত্রী ও দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে

জহিরুল ইসলাম শাহীন / ৪৭৮
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩

আমাদের দেশে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর কেউ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না, ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারছে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রন হচ্ছে সেই ভাবে, যত সমস্যা ক্রেতার। ক্রেতারা না পারে সইতে না পারে কিছু বলতে। গ্রামীন অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখলাম যে কাচা মরিচ দুদিন আগে ১৩০ টাকা, দুদিন পরে তা ৩০০ টাকা আবার হঠাৎ করে ৫০০ টাকা ৬০০ টাকা এবং কোন কোন জেলা শহরে ১০০০ টাকা হয়েছে। বেগুন ছিল ৪০ টাকা তা একলাফে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা ঠিক তার পরের দিন ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, ঢেঁড়স ছিল ২০ টাকা সেটা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ছোট ছোট তেলাপিয়া মাছ যেটা, মানুষ তেমন খায় না, তা গত বছর ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, সেটা এখন প্রায় ২০০ টাকা কেজি। যে লোনা চিংড়ি ছিলো ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা তা এখন নিন্মে ৭০০ টাকা কেজি। অনান্য মাছ মাংসের কথা বাদই দিলাম। একবার ভেবে দেখেছেন, যে সমস্ত মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে বা ভূমিহীন কৃষক বা মাঠে ঘাটে মজুরীর বা শ্রমিকের কাজ করে তাদের অবস্থা-টা কি? নি¤œ মধ্যবৃত্ত ঘরের লোক-জনদেরও ঐ একই অবস্থা, শুধুমাত্র যারা সরকারি চাকুরীজীবি বা রাজনীতিবিদ তাদের কোন সমস্যা নেই, তারা গায়ের বলে, শক্তির বলে, রাজনীতির বলে এবং যারা সরকারী চাকরীজীবি তাদের তো কথাই নেই, তাদের শক্তি অন্য রকম তারা রাত কে দিন, এবং দিনকে রাত বানাতে পারে। সমস্যা হচ্ছে গ্রাম গঞ্জের মানুষ গুলোর বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষ ও কৃষকদের তারা কৃষিতে ফসলে, শাকসবজি চাষ করে নায্য দাবী বা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। এখন গর্জে উঠতে হবে ক্লান্ত শ্রান্ত শ্রমিক ও কৃষকদের পক্ষে তারা যেন তাদের নায্য পাওনা পেতে পারে। এই ভাবে চলতে থাকলে দেশের মঙ্গল হওয়া বা উন্নতি করা একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়বে। রাতা রাতি বাজার দর নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে এতে সরকারের বানিজ্য মন্ত্রীর কোন প্রতিবাদ জানাতে আমরা দেখি না, বরং দাম যে হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেল এটাই উনি প্রতিষ্ঠিত করেন। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় ঈদের এক সপ্তাহে আগে চিনির দাম কেজি প্রতি ২৫ থেকে ২৭ টাকা বৃদ্ধি পেল, উনি কি বললেন চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে ঈদের পরে ব্যবসায়ীদের সংগে বসবো। এটা কিসের আলামত উনিই তো দাম টা প্রতিষ্ঠিত করলেন। একই ঘটনা উনি পিয়াজের ক্ষেত্রে ঘটিয়ে ছিলেন। উনি কি বজ্র কষ্ঠে আওয়াজ তুলতে পারেন না? দেশে প্রচুর পেয়াজ, রসনু, আদা, কাচা মরিচ, শুকনা মরিচ বিভিন্ন মশলা এবং রকমারী মাছ বা খাদ্য যা আছে তা দিয়ে সামনে চলা যাবে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কোন কারন তো দেখিনা। জানিনা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে উনি জড়িত কিনা। কিসে উনার দূর্বলতা? উনি আসলে কি চান? আমি মনে করি উনি মুরাদ সাহেবের মত সরকার কে বিব্রত অবস্থায় ফেলতে চান। জাতীয় সংসদে একজন মন্ত্রী দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানালে এবং এক পর্যায়ে উনার পদত্যাগ দাবি করলে উনি মহান সংসদে দাড়িয়ে জীবনে কখন কোন পদে ছিলেন কি করেছিলেন এমন বক্তব্য উনি জনগনের সামনে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে নিয়ে আসলেন কিন্তু কেউ এমন বক্তব্য শুনতে চায় না। আমি তো একবারে হতাশ এবং অবাক জনাব টিপু মুন্সী একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং সরকারের শুরুত্বপূর্ন মন্ত্রনালয়ের একজন যোগ্য দক্ষ মন্ত্রী, উনি দুংখ প্রকাশ করবেন এবং কি করলে কিভাবে অগালে দ্রব্য মূলের গতি নিয়ন্ত্রন করা যায়, সবার সহযোগিতা কামনা করবেন। তিনি কি বললেন প্রধানমন্ত্রী চাইলে উনি পদত্যাগ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী চাইবেন কেন? আপনি বোঝেন না দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে গোটা বাংলাদেশের মানুষ সম্পৃক্ত। এখানে সরকারের অনেক আলোচনা হয়। নেতিবাচক দিক গুলো ফুটে ওঠে বর্তমান সময়ে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারনে ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। তারা তাদের সন্তানদের মুখে ভালো খাবার যেমন মাছ মাংস তুলে দিতে পারছে না, আপনাদের তো কোন চিন্তা নেই। আপনাদের বিদ্যুতের সমস্যা হয় না। ঘরে এ,সি আছে আইপিএস আছে বা জেনারেটর আছে, আরামে ঘুমাচ্ছেন, মাছ, মাংস, পোলাও বিরানী খাচ্ছেন এবং বেশ সুখে আছেন ও আরামে দিন কাটাচ্ছেন সরকারী চাকুরীজীবিরা। তাদের কোন পরীক্ষা দিয়ে এখন আর প্রমোশন নিতে হয় না। অটো বা স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রমোশন পাচ্ছে। থানাতে এখন আর কনস্টেবল তেমন দেখা যায় না প্রায় সবাই এএসআই, না হয় এসআই অথবা ওসি। খাবারের বা পোষাকের তাদের কোন অভাব নেই। মাননীয় বানিজ্য মন্ত্রী আপনাকে ভাবতে হবে, আপনার মন্ত্রী পরিষদকে ভাবতে হবে। জাতীয় সংসদের সকল সাংসদকে ভাবতে হবে মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী কে ভাবতে হবে যে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি বা হ্রাসের সাথে সরকারের কর্মকান্ডের ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কিনা জনগন একেবারে নাজেহাল কোন ভাবেই তারা হঠাৎ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মানতে পারছে না। বর্তমান সময়ে পর্যাপ্ত গরম পড়েছে দীর্ঘ এক যুগের ভেতরে এমন লোডশেডিং হয় নাই। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ গুলো একেবারে অতুষ্ট। সারাদিন পরিশ্রম করা, ভালো খাবার না পাওয়া, আরামে রাতে ঘুমানোর সময় সামন্যতম বিদ্যুৎ থাকে না। তাহলে এই অসহ্য যন্ত্রনার অংশীদার কারা অবশ্যই সরকারের উপর বর্তায়। কিছু দিন আগে ও আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ববলে দেশ বেশ এগিয়ে যাচ্ছিল এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেশ পরিচিতি লাভ করছিল, এবং তার সাহসী ভূমিকার জন্য বেকার সমস্যা, কৃষি শিল্প, কুঠির শিল্প, রাস্তাঘাট, উপবৃত্তির ব্যবস্থা, কৃষিঋন, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, গর্ভবতী ভাতা এবং শিক্ষার হার ও অনেক অংশে বেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কিছু কিছু মন্ত্রীর অযোগ্যতার বা অদক্ষতার কারনে বা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন না করার কারনে জনগন বেশ অসস্তুষ্ট। কিছুটা নেতিবাচক মনোভাব পোষন করেন। আর বিলম্ব না করে কোন কোন কাজ করলে বা কিভাবে পদক্ষেপ নিলে এ মূহুর্তে বিদ্যুতের সমস্যা দুর হতে পারে দ্রব্যমূল হ্রাস করা যেতে পারে, মানুষের ভেতরে যে অস্থিরতা বিরাজমান, কি করলে তা কমিয়ে আনা যায় এবং আপনাদের পক্ষে আবারো বাংলার জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আসতে পারে তার জন্য কাজ করেন অহেতুক প্রলাপ না বকে, জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে, ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের কান্ডারীদের একত্র করে মানুষের দিকে অগ্রসরের নেতৃত্ব দেন সেটাই ভালো হবে। এদেশ টা সমগ্র জনগনের। অধিকার ও সমান, দেশটা আপনার নয় আমার ও নয়, সবার। আমাদের মনে রাখা উচিত এদেশ কৃষকের , এদেশ শ্রমিকের, এদেশ সর্বহারা ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর। এ কথা মাথায় রেখে সাবই মিলে দেশটা কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং সাহসী ভূমিকায় বাংলাদেশ গড়ে তুলি। এটাই হোক আজকের আমাদের অভিপ্রায়।

লেখক: জহিরুল ইসলাম শাহীন
সহঃ অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ