কবি: রাজু ঘোষ
নেতারা সব ব্যাস্ত ছিলো গ্রুপিং আর ভুরিভোজে!
সুযোগ বুঝে কাম সেরেছে অঘটনের নায়কেরা,
শো অফ আর সেলফতি সংগঠন চলে গন্ডিতে,
প্রতিবাদ করা যায় না শান্তিতে, করলে জোটে বেয়াদব তকমাধারী খ্যাতিতে, প্রতিমা ভাঙার উৎসব হয় শরৎ এর শুরুতে
নেতারা সব বোজে চোখ আঁচ জেনো না লাগে গতিতে!
চলছে সব মহাসমরোহে উৎসাহ আর উদ্দীপনায়,
উৎসব হবে ডিজে আর তামাশার ছলনায়,
শাস্ত্র আজ নির্বাসিত ছলা কলার নিয়মে,
টাকা দিয়ে কিনছে সবে প্রতিমা আর প্যান্ডেলে,
ভক্তি নাই যুক্তি নাই আছে শুধু অহংকার,
পাশের ছেলে ক্ষুদিরাম হবে আমার ছেলে ব্যারিস্টার,
লঙ্কা নয় রাবন নায় শুকুনি মামা ঘরে ঘরে,
অস্তিত্বের প্রশ্নে আবার এরাই নাকি খেটে মরে।
ভালোবাসার রং তুলিতে নাই কোন ছবি
স্বার্থের প্রশ্নে সবাই একই ফটোকপি
মন মানেনা তাই প্রতিবাদ করে যায়,
উপায় নাই রে ভাই রক্ষা করার জন্য
মাথার উপরে বটগাছটার শিকড় বলে কিছু নাই।
কম বুঝে বেশি বলা হয়ত আমার অভ্যাস,
মানুষ হতে চেয়েছি রে ভাই নইকো কারো ক্রীতদাস।
সোনার বাংলার রণে বনে শুধুই দেখো হাহাকার,
ডিজিটাল এই বাংলা রক্ষায় দরকার শুধু সংস্কার।