HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন

শিশুর প্রথম এক বছর: শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন

আবু বকর ছিদ্দিক (হামিম) / ৪২৩
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আবু বকর ছিদ্দিক (হামিম): শিশুর প্রথম এক বছর তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলির মধ্যে একটি। এই সময় তাদের দ্রুত বৃদ্ধি এবং বিকাশের মধ্য দিয়ে যায়। সোনামনিদের শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার জন্য এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুর প্রথম এক বছরে যেসব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় রয়েছে সেগুলো হল:
★ভাষা: বাবুর ভাষা বিকাশের জন্য তার সাথে পর্যাপ্ত সময় কাটানো এবং তাকে বিভিন্ন ভাবে কথা বলার সুযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুকুমনিকে বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে শুনানো দরকার। এতে তার শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পাবে এবং সে বাক্য গঠন করতে শিখবে।
★গণিত: শিশুর গণিতের বিকাশের জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের গণিতের খেলা এবং কার্যকলাপের সাথে যুক্ত করা যেতে পারে। এতে সে সংখ্যা, পরিমাপ, আকার, আকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবে।
★পরিবেশ: সোনামনির পরিবেশ সম্পর্কে জানার জন্য তাকে প্রকৃতিতে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, তাকে বিভিন্ন ধরনের বই এবং সামগ্রী দেখানো যেতে পারে।
★সৃজনশীলতা: খোকামনির সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের শিল্প, সাহিত্য এবং সঙ্গীতের সাথে যুক্ত করা যেতে পারে।
★সমাজি করণ: প্রিয় সন্তানের সামাজিকীকরণের জন্য তাকে অন্যান্য শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে মিশতে দেওয়া যেতে পারে।

এই বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারেন।
★শিশুর ভাষা বিকাশের জন্য কিছু টিপস:
আদরের সোনামনির সাথে কথা বলুন, তার সাথে গল্প বলুন, এবং তাকে সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। যেগুলো হ্যা এবং না এর মাধ্যমে উত্তর দেওয়া সম্ভব।
প্রিয় বাবুর সাথে গান, গান গাওয়া তার ভাষা বিকাশের জন্য একটি দুর্দান্ত উপায়।
খুকুমনির বিভিন্ন ধরনের বই এর সাথে পরিচিতি, তার বয়স এবং আগ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বই পড়ুন।
শিশুর জিজ্ঞাসাগুলোর উত্তর দিন। শিশুর যেকোনো প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিন।
★শিশুর গণিতের বিকাশের জন্য কিছু টিপস:
খোকামনিকে বিভিন্ন শিক্ষামূলক খেলনা দিন। খেলনাগুলি তাকে সংখ্যা, পরিমাপ, আকার, আকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে শিখতে সাহায্য করতে পারে।
শিশুকে বিভিন্ন ধরনের গণিতের কার্যকলাপ করুন। উদাহরণস্বরূপ, তাকে বিভিন্ন ধরনের খাবার ভাগ করে দিন বা তাকে বিভিন্ন আকৃতির বস্তু দেখান।
★সোনামনিকে পরিবেশ সম্পর্কে জানার জন্য কিছু টিপস: তাকে প্রকৃতিতে ঘুরতে নিয়ে যান। বিভিন্ন ধরনের গাছপালা, প্রাণী এবং প্রাকৃতির সুন্দর্য দেখানোর মাধ্যমে অনেক বিষয় শিখাতে পারেন।
বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের বই এবং সামগ্রী দেখান।

★শিশুর সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার জন্য কিছু টিপস:
খোকাকে বিভিন্ন ধরনের শিল্প উপকরণ দিন।
বাবুকে বিভিন্ন ধরনের সাহিত্য পড়িয়ে শুনান।
সন্তানদের বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত শোনান।

★সোনামনিকে সামাজিকীকরণের জন্য কিছু টিপস:
খুকুমনিকে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলতে দিন।
বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে দেখা করিয়ে দিন।
শিশুর প্রথম এক বছর তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলির মধ্যে একটি। সোনামনিরা প্রতিদিন নতুন জিনিস শিখে, অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য সময় এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। এই সময়টিকে কাজে লাগালে শিশুরা ভবিষ্যতে সফল হতে পারে।

(অপরদিকে)
শিশুর শিক্ষার স্বর্ণযুগ: ১ থেকে ৫ বছর

শিশুর প্রাথমিক শিক্ষাই তার ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি তৈরি করে। ১ থেকে ৫ বছর বয়স হল শিশুর শিক্ষার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে শিশুরা অনেক কিছু শিখতে পারে এবং তাদের দক্ষতা ও ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে।

এই সময়ে শিশুদের শেখানো বা অভ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন এমন কিছু বিষয় হল:
★শারীরিক বিকাশ: শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য তাদের পর্যাপ্ত পুষ্টি, ব্যায়াম এবং বিশ্রাম প্রয়োজন। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো, তাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো নিশ্চিত করা।
★ভাষাগত বিকাশ: শিশুরা কথা বলা শুরু করে ১ বছর বয়সের কাছাকাছি। এই সময়ে তাদের ভাষাগত দক্ষতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের সাথে কথা বলা, তাদের বই পড়া এবং তাদের বিভিন্ন শব্দ এবং শব্দের অর্থ শেখানো।
★বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ: শিশুরা এই সময়ে নতুন জিনিস শিখতে এবং তাদের চারপাশের বিশ্বকে বুঝতে শুরু করে। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে শিক্ষাদান করা, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং তাদের চিন্তাভাবনা এবং সমাধান করার ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করা।
★সামাজিক এবং আবেগিক বিকাশ: শিশুরা এই সময়ে অন্যান্য মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা শুরু করে। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের সামাজিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা, তাদের অন্যদের সাথে খেলতে এবং তাদের আবেগগুলিকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে প্রকাশ করতে উত্সাহিত করা।
এই বিষয়গুলিতে গুরুত্ব দিয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারেন যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্য অর্জনে সহায়তা করবে। শিশুর শিক্ষার এই স্বর্ণযুগটিকে কাজে লাগাতে অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের জন্য একটি সমৃদ্ধ এবং উদ্দীপক শিক্ষামূলক পরিবেশ তৈরি করা।

লেখক: আবু বকর ছিদ্দিক (হামিম)
লাকসাম, কুমিল্লা।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ