HEADLINE
বলাডাঙ্গায় জমি সংক্রান্ত বি’রো’ধে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খু’ন বৈষম্যের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫ এমপি’কে এক টেবিলে বসার আহবান সাতক্ষীরায় তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপণে সয়লাব, টার্গেটে কিশোর ও তরুণ সাতক্ষীরায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

দড়া টেনে খেঁয়া পারাপারে সংসার চলেনা বৃদ্ধ জগদীস দাসের

উৎপল দে, কেশবপুর / ৪৭২
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

যশোরের কেশবপুরের চিংড়া -সারসা খেঁয়া ঘাটে ১২ বছর বয়স থেকে ৫২ বছর এ ভাবেই কপোতাক্ষ নদে দড়া (দঁড়ি) টেনে নৌকায় খেঁয়া পারাপার করেন জগদীস দাস (৬৫)। বাবা হাজারী লাল দাসের হাত ধরেই তিনি দড়া টানা শেখেন। এতে তাঁর প্রতিদিন আয় হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কষ্টের মধ্যে সংসার চালাতে হয় তাঁর। নদ পাড়ের সারসা গ্রামে তাঁর বসবাস। কপোতাক্ষ নদে ৫২ বছর ধরে দড়া টেনে নৌকায় খেঁয়া পারাপারের কাজ করে আসছেন জগদীস দাস। এ কাজ তাঁদের তিন পুরুষের। কপোতাক্ষ নদের চিংড়া-সারসা ঘাটে সকাল থেকে অধিক রাত পর্যন্ত দড়া টেনে এলাকাবাসীকে নদ পারাপারে সহযোগিতা করতে হচ্ছে বৃদ্ধ বয়সেও তাঁকে।
দীর্ঘ ১০০ বছর ধরে পূর্ব পুরুষরা এ কাজ করছেন। তিন পুরুষের বৃদ্ধ জগদীস দাস (৬৫) খেঁয়া পরাপরের সময় বললেন, প্রায় ৫২ বছর দড়া টেনে নদে খেঁয়া পারাপারে এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করলেও এখন আর সংসার চালানো কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, এক সময়ের খর¯্রােতা কপোতাক্ষ নদে এখন তেমন ¯্রােত নেই। তীব্র ¯্রােত বহমান সময়ে বাবা হাজারী লাল দাসের হাত ধরেই দড়া টেনে খেঁয়া পারাপার করতে শেখেন। তখন যা আয় হতো তাতে সংসার চলেও কিছু সাশ্রয় করা যেত। এখন ¯্রােত নেই। খেয়া পারাপারে মানুষের যাতায়াতও কমে গেছে। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দড়া টেনে খোঁয়া পারের কাজ করেও ২০০ থেকে ২৫০ টাকার বেশি আয় হয় না। সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলে নিত্যানন্দ দাস ও ছোট মেয়ে পূজা দাসকে লেখা-পড়া শেখানোর জন্য তাঁকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। এ কাজ করে তিনি ২টি মেয়েকে বিবাহ দিয়েছেন। সংসারে তাঁর ছেলে চতুর্থ পুরুষ নিত্যানন্দ দাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগ থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। ছোট মেয়ে পূজা দাস সাগরদাঁড়ি আবু শারাফ সাদেক কারিগরি ও বাণিজ্য মহা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। জগদীস দাসের বসবাস কপোতাক্ষ পারের সারসা গ্রামে। পারাপারে আয় রোজগার কমে যাওয়ায় সংসার চালাতে তাঁকে প্রতিনিয়ত কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছে।
ওই পরিবারের চতুর্থ পুরুষ নিত্যানন্দ দাস জানালেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা প্রায় ১০০ বছর ধরে এ কাজ করছেন। এখন তাঁরা এ কাজ করতে চান না। তাই এ খেঁয়া ঘাটে একটি নির্মাণ হোক সেটাই তাঁর দাবি।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ