শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের ১২৮নং নিদয়া আলহাজ্ব মেছের উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ডি এম রাবেয়া খলিলের বিরুদ্ধে স্কুলের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় স্কুল সংস্কারের জন্য অর্থবছরের বাজেট থাকলেও দেখা মিলিনি স্কুলের কোন সংস্কারের কাজ। শুধু তাই নয় ১৫ই আগস্টের ব্যানার স্কুলে টানানোর কথা থাকলেই দেখা মিলিনি। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে বলেন স্কুলে ১৫ই আগস্টের ব্যানার টানানো ছিলো কিন্তু চুরি হয়ে গেছে।এদেকে অর্থ বছরের ক্ষুদ্র স্কুল মেরামতের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ থাকলেও স্কুলের কোন দৃশ্যমান কাজ দেখা যায়নি।এদেকে স্কুলে ৯০ পার্সেন্ট কাজ হয়েছে বলে উপজেলার সহকারি প্রকৌশলী কে এম সহিদুল ইসলাম টাকার বিনিময়ে প্রত্যয়ন দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে -যেমন ১২৮নং নিদয়া আলহাজ্ব মেছের উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন না করে টাকার বিনিময়ে অফিসে বসে প্রত্যয়ন দিতে দেখাগেছে। উপজেলা প্রকৌশলী কে এম শহিদুল ইসলামের প্রত্যায়ন দেখে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্কুলের বরাদ্দকৃত টাকা প্রধান শিক্ষকদের দিয়ে দিচ্ছে।১২৮নং নিদয়া আলহাজ্ব মেছের উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা বলেন প্রধান শিক্ষক ডিএম রাবিয়া খলিল আসার পর থেকে স্কুলে কোন দৃশ্যমান কাজ দেখা যায়নি। ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্যানার টানানো কথা থাকলেও কোন ভাবে ব্যানার দেখা যায়নি
প্রধান শিক্ষক ডিএম রাবিয়া খলিল বলেন স্কুলের মাঠ ভরাট করেছি এবং স্কুলের জমি আমিন দিয়ে মাপ জরিপ করতে হচ্ছে তাতেও অনেক খরচ হচ্ছে দেখেন আমার সব লেখা আছে।
১২৮নং নিদয়া আলহাজ্ব মেছের উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রেনা মন্ডল বলেন আমি নিজে একটা জব করি এজন্য ঠিকমতো সময় দিতে পারি না তবে ব্যবস্থা নিবো
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাফিজ মিয়া বলেন আমি তো সব স্কুলে যে পারিনা এজন্য প্রকৌশলীদের ওপর দায়িত্ব রয়েছে তারা যদি কাজ হয়েছে বলে প্রত্যায়ন দেয় তাহলে আমি প্রধান শিক্ষকদের বরাদ্দকৃত টাকা দিতে বাধ্য।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী কে এম সহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত ফোনে বার বার কল দিলেও রিসিভ করেনি।