HEADLINE
ডেঙ্গু প্রতিরোধে একমাত্র উপায় জনসচেতনতা কবিতা: শরৎ মাখা শারদীয়া কেশবপুরে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় যুবককে কারাদন্ড পাটকেলঘাটায় ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করায় পিতাকে পি’টিয়ে হ’ত্যা ক্যান্সারে আক্রান্ত জাহানারা বাঁচতে চায় সাতক্ষীরায় পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত কারাগারে পড়াশোনায় ভালো করার জন্য ৫টি কার্যকরী গাইড লাইন দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে না চাইলে আবারও নৌকায় ভোট দিন : সাতক্ষীরায় জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় ঝাউডাঙ্গা সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান শিশুর প্রথম এক বছর: শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ অপরাহ্ন

ঝাউডাঙ্গায় নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন, দাম আকাশ ছোঁয়া

মোমিনুর রহমান সবুজ / ৩৬৩
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে শীতের সবজি আসতে থাকলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতকালীন সবজিসহ চাল, ডাল, চিনি, ডিম, মাছ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম। শুক্রবার সাপ্তাহিক হাট থেকে সকল প্রকার সবজিতে বেড়েছে দাম। কাঁচা মালের মূল্য প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।

বাজারে আসা শীতের সবজি সিম প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। করোলা ১০০ টাকা, কচুরমুখির ওল ৬০-৬৫ টাকা কাকরোল সাহিত্যাকাশে পিকেজী ১৫-২০ টাকা দেশী-বিদেশী টমেটো ৮০-১০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ঝিঙে ৪৫ টাকা, লাল শাক ৪৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে আলুর দাম স্থিতিশীল হওয়ার সব শ্রেণীর মানুষের আলুই একমাত্র ভরসা। সেই হিসাবে সবজির মূল্য নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সরেজমিনে বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতা সাথে কথা বলে জানা গেছে। বর্তমান বাজারে সবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া। বাজারের এক কাঁচামাল বিক্রেতা জানান, এবার সব তরকারির দাম অনেক বেশি। প্রতিদিনের সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি কম নয় কিন্তু দাম কমেছে না। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন জানান, এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তারপর শাকসবজি মূল্য আকাশ ছোঁয়া। বর্তমান বাজারে বয়লার মুরগির ২০০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস হাত দিলেই ৯০০ টাকা কেজি। আব্দুর রহিম নামের এক দিনমুজুর বলেন, দৈনিক মজুরি তে কাজ করে ৩৫০ টাকা করে পান। তারপর আবার প্রতিদিন কাজ হয়না। মাসে হয়তো ১৫ থেকে কুড়ি দিন কাজ হয়। সে অবস্থায় সংসার চালানো বড় কষ্ট হয়ে দাড়িয়েছে। ঝাউডাঙ্গা এলাকার হতদরিদ্র মানুষেরা জানান, বাজারে ছোট বড় অনেক চাউলের আড়ৎ আছে। তারাও সিন্ডিকেট তৈরি করে চাউলের দাম বাড়িয়ে থাকে ইচ্ছে মত। তারা কারসাজি করে দাম বেশী নিয়ে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বর্তমানে বাজারে মোটা চালের কেজি ৫৫-৬০ টাকা। বাজার এলাকার ৬২ বছর বয়সের এক ভ্যান চালক বলেন, প্রতিদিন তার চাউল লাগে তিন কেজি। চাল কেনার পর আর তার টাকা থাকে না। তাই আলুর দাম একটু কম হওয়ায় ভর্তা করে খেয়ে কোন রকম দিন পার করছি। বাজারে নেই মনিটারিং সেল। প্রশাসনের নেই কোন তদারকি ও। তারা চোখ বুজে বসে আছে কি কারনে সেটা বোধগম্য নয়। এভাবে যদি দিনের পর দিন প্রশাসন চোখ বুজে থাকে। তাহলে হতদরিদ্র মানুষ গুলা এক সময় না খেয়ে মারা যাবে। এবিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা পূর্বক নিয়মিত বাজার তদারকির মাধ্যমে সমাধানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয়রা।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ