HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

আশাশুনিতে নদীর চরে ফেলে রাখা নবজাতকের পরিচয় মিলেছে

জি এম মুজিবুর রহমান: / ১২৩৯
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

আশাশুনি উপজেলার গুনাকরকাটি বেইলী ব্রিজের নিচে বেতনা নদীর চরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া নব জাতকের পরিচয় পাওয়া গেছে। চরম ধিক্কার জনক এ ঘটনার সাথে জড়িত নবজাতকের মাতৃকূল ও পিতৃকূলের সদস্যরা বলে জানা গেছে।

ফকরাবাদ গ্রামের কার্ত্তিক মন্ডলের পুত্র মিলন মন্ডল এর স্ত্রী দিপিকা। দিপিকার পিতার নাম সন্দীপ সরকার, মাতা উর্মি রানী সরকার। তারা পিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার (১২ জুলাই) সকাল রাতে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্রামের মিলনময় মন্ডলের স্ত্রী দিপিকা মন্ডলের সিজার অপারেশ করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বুধহাটা বাজারের জনসেবা ক্লিনিকে। আগেই পরীক্ষায় তার বিকলঙ্গ কন্যা পেটে আছে বলে দিপিকা ছাড়া অনেকেই জানতো। সেখানে অপারেশনের পর বিকলঙ্গ সন্তানকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শিশুর মা অপ্সান থাকার সুযোগে মায়ের কোল থেকে শিশুটিকে নিয়ে গুনাকরকাটি ব্রীজের উপর থেকে ছুড়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে রক্তাক্ত মৃতপ্রায় শিশুটি উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ ঘন্টা পর শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

সাংবাদিকরা সেই থেকে শিশু হত্যার সাথে জড়িতদের সন্ধানে মাঠে নামেন। এবং দীর্ঘ দেড় দিন অনুসন্ধানের পর শিশুটির মা’কে জনতা ক্লিনিকে অবস্থানের সন্ধান পান। শিশুর মা দিপিকা বলেন, তিনি অপ্সান ছিলেন। তার সন্তান অসুস্থ তাই সাতক্ষীরা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা তাকে জানিয়েছে। তার সন্তানকে মারা হয়েছে এ তথ্য তিনি জানেননা। দিপিকার মা উর্মি রানী জানান, তার জামাইয়ের মাথা খারাপ। তার কাছে অসুস্থ শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরার পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাচ্চা কেমন আছে, কোথায় আছে তা তারা জানেনা। তার জামাইও ফিরে আসেনি। নার্স নার্গিস বলেন, সিজারের পর সেখানে পুরুষ লোক না থাকায় মহিলারা সাতক্ষীরা নিতে পারেনি। সকালে নিয়ে যাবে বলেছিল। সকালে তিনি ক্লিনিকে গিয়ে দেখেন শিশুটি নেই।
ক্লিনিকের মালিক ডাঃ শাহিনুর সাংবাদিকদের জানান, তিনি ৭/৮ দিন অসুস্থ। নার্স রোগিকে ভর্তি নেয়। জনৈক ডাঃ কৃষ্ণ’র পাঠানো রোগি ছিল সে। আল্ট্রা¯েœা রিপোর্টে বাচ্চা বিকলঙ্গ বলে জানাছিল। জেনেবুঝেই সিজার করা হয়। বাচ্চা অসুস্থ থাকায় সাতক্ষীরা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালে না নিওেয় মেরে ফেলানোর ঘটনা তার জানানেই। বাচ্চা কোথায় ও কেমন আছে সে খবর কেন নেননি। একই সময় একটি বাচ্চা নদীর চরে ফেলানোর ঘটনা জানার পরও কেন খোজ নেননি, পুলিশকে রিপোর্ট করেন?ি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
চরম অমানবিক ও ধিক্কার জনক ঘঁনার বিষয়টি তদন্ত পূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য এলাকার সচেতন মহল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দাবী জানিয়েছেন।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ