HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন

ঝাউডাঙ্গা ভূমি অফিসের তহসিলদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা / ২৯৭
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা ফরিদ হাসানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩ সালের ২২ জুলাই‌ ঝাউডাঙ্গা ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকে শুরু হয় তার অপকর্ম। নানা রকম ছলচাতুরী করে অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে। আর এজন্য রয়েছে এক ঝাঁক পোষা দালাল। দালালদের কাজ হলো মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করা।

জানা গেছে, নায়েব ফরিদ হাসান‌ অত্র ভূমি অফিসে যোগদান করার পর হয়েছেন কোটিপতি। নানা কৌশলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করা তার মূল উদ্দেশ্য। তাছাড়া সরকারি জমি বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এই এলাকায় সে গড়ে তুলেছেন দুর্নীতির আখড়া। তার রয়েছে একটি বিশাল বাহিনী। সেই বাহিনী পুরো ঝাউডাঙ্গা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারি চাকরিজীবী নয়, যেন একজন গডফাদার! সবকিছুই তার হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের সর্ববৃহৎ ধান- চালের বাজার খ্যাত ঝাউডাঙ্গা এখন তার অপকর্মের আস্তানা হিসেবে গড়ে উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নায়েব ফরিদ হাসান অত্র অফিসে যোগদান করার পর থেকে, ঝাউডাঙ্গা এলাকার বিভিন্ন সরকারি জায়গা বিভিন্ন মানুষের কাছে দিয়ে বড় বড় বিল্ডিং করতে সহযোগিতা করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এসব ব্যাপারে নায়েবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সবাই কে নোটিশ দিয়েছি। কোন উচ্ছেদ বা ফৌজদারি মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রসংগগুলি এড়িয়ে যায়। খাজনা দিতে গেলে কোন কারণ ছাড়াই অনেক বেশি টাকা নিয়ে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করায়। সেই সাথে রয়েছে অনলাইন করার নামে বানিজ্য, বিরোধ পূর্ণ জমির তদন্ত থাকলে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা ও ভুয়া প্রতিবেদন দাখিল করে। কারো কোন কাজ থাকলে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ছাড়া কোন কাজ তার থেকে ছাড়ানো যায় না। গরীব অসহায় মানুষ সামান্য জমি কষ্ট করে ক্রয় করার পর তা মিউটেশন করতে গেলে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। টাকা না দিতে পারলে ফিরিয়ে দেয় কাগজপত্র নানা তালবাহানা করে। এমনি ভুক্তভোগী মমিনুর রহমান, নাজমুল হুসাইনসহ অনেক ব্যক্তি জানান, সামান্য একটু ভূল থাকার কারণে আমাদের জমির মিউটেশন ফেরত দিয়েছিল। আমরা দালাল ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জমির মিউটেশন সম্পন্ন করিয়েছি। আর তার অপকর্মের সহযোগী কম্পিউটার অপারেটর জনৈক শিমুল নামের ব্যক্তি তার সার্বিক কাজে সহযোগিতা করে। অবিলম্বে এই নায়েব ফরিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক দুদকে তদন্তসহ দেশের প্রচলিত আইনগত ব্যবস্থা ও দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দাবি করেছে এলাকাবাসী।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ