কয়রায় এক সংখ্যালঘুর বাড়ীঘর দখল করে মারপিটসহ ঘরের আসবাব পত্র ও প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে বুধবার মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় হিন্দু ঐক্য পরিষদ। এঘটনায় সংখ্যালঘুর পরিবারের দু’ ভাই বোন মারাক্তক আহত হওয়ায় দু’জনই খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহতরা হলেন, শ্যামলী সরকার (৩৮) ও সেীরভ (১৮) এর মধ্যে সৌরভের মাথায় একাধিক লাঠির আঘাত করায় তার অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন। ঘটনাটি উপজেলা সদরের ১ নং কয়রা গ্রামের বিবেকানন্দ সরকারের বাড়ীতে এবং পুলিশ ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীঘর তদন্ত করেছেন। এ বিষয় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায় , ২৮ মার্চ সোমবার দুপুর ১২ টায় পাশ^বর্তী মদিনাবাদ গ্রামের মাষ্টার জাহিদুজ্জামান বাবুলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এসময় বাবুলে স্ত্রী তহমিনা, চাচা আঃ সামাদ, ভগ্নিপতি হাসান ও বোন ঝর্ণাসহ ৮/৯ জন দা, হাতুড়ি ও লাঠি সহ বিবেকানন্দের বাড়ী দখলের উদ্যেশ্যে ঘরে ঢুকে ঘরে থাকা প্রতিমাসহ আসবাব পত্র বের বাইরে করে ফেলে দেয়। এসময় বিবেকানন্দ বাড়ী না থাকায় তার স্ত্রী জয়ন্তী রাণী, পুত্র সেীরভ ও কন্যা শ্যামলী বাঁধা দিলে হাতুড়ী ও লাঠি দিয়ে দু’ ভাই বোনকে ব্যাপক মারপিট করে। অতঃপর ভাই বোন আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে বাবুল ও তার চাচা সামাদ ঘর থেকে প্রতিমা বের করে উঠানে ফেলে দেয়। এদিকে মারপিট সহ প্রতিমা ভাংচুর ও দা, লাঠি, হাতুড়ী হাতে থাকা ভিডিওতে ধারণকৃত দৃশ্যটি এলাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় তুলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল। এ বিষয় বিবেকানন্দের স্ত্রী জয়ন্তী রানী জানায়, তার ২ সন্তান খুলনায় চিকিৎসাধীন, সুস্থ হলে
মামলা করবেন। তবে কয়রা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন এবং যে কোন সময় মামলা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। অন্যদিকে হামলাকারি বাবুলের মামা মাষ্টার শামছুর জানায়, তার ভাগনে বাবুল আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। উল্লেখ্য বাপ দাদার পৈত্রিক ভিটায় বিবেকানন্দ বসবাস করেন কিন্তু প্রতিপক্ষ বাবুল কবলা সুত্রে দাবী করলেও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আদালতে ২৭/১৮ নং মামলায় প্রমানিত হয়নি।