HEADLINE
বল্লীতে বজ্রপাতে শিশুর মৃ’ত্যু ভোমরা স্থলবন্দরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না বলাডাঙ্গায় জমি সংক্রান্ত বি’রো’ধে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খু’ন বৈষম্যের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫ এমপি’কে এক টেবিলে বসার আহবান সাতক্ষীরায় তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপণে সয়লাব, টার্গেটে কিশোর ও তরুণ সাতক্ষীরায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন

প্রতাপনগরের সেই প্লাবিত মসজিদটি মুসল্লিদের কাঁদিয়ে নদীগর্ভে ভেঙ্গে পড়লো

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি / ৪৩৮
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের হাওলাদার বাড়ি বায়তুন নাজাত জামে মসজিদটি দীর্ঘদিন প্লাবিত থাকার পর মুসল্লিদের কাঁদিয়ে নদী গর্ভে ভেঙ্গে পড়েছে। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ভোরে মসজিদটি খোলপেটুয়া নদীর ভাটার টানে নদীগর্ভে ভেঙ্গে পড়ে।


গত ১০ আগষ্ট থেকে উপকূলীয় রিং বাঁধ ভেঙ্গে মসজিদসহ এলাকার লোকালয়ে লবণপানি প্রবেশ শুরু করে। আস্তে আস্তে পাশের শতাধিক ঘরবাড়ি নদীর পানির টানে ভেসে যায়। হাজার হাজার মানুষ ঘরহারাসহ ব্যাপক ক্ষতিতে পড়ে। তখনো মসজিদটি অটুট ছিল। এলাকায় অনেক মুসল্লি পানি সাঁতরে কিংবা নৌকাযোগে মসজিদে গিয়ে আযান ও নামাজ আদায় করতে থাকে। বিশেষ করে শুক্রবার জুম্মার নামাজে ব্যাপক মানুষের সমাগম ঘটে। মসজিদের ভিতরে জোয়ারের পানি থাকলে সেখানে পানিতে দাড়িয়ে ও মসজিদের ছাদে উছে সালাত আদায় করে আসছিল মুসল্লিরা। মসজিদের ঈমাম ও খতিব হাফেজ মঈনুর রহমান পানি সাঁতরে মসজিদে গিয়ে আজান দেওয়া ও নামাজ পড়ার বিষয়টি নজরে আসলে তার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টিভি ও সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় পত্রপত্রিকায়। খবরটি ভাইরাল হওয়ার পর মানুষের হৃদয় আকৃষ্ট হয়। তখন ধর্মপ্রাণ মানুষ মসজিদে যাতয়াতের জন্য নৌকার ব্যবস্থা, ইমাম সাহেবকে নানা সহায়তা দেওয়া শুরু হয়। মুসলি¬দের সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের জন্য নৌকার উপর বিশেষভাবে নির্মিত একটি ভাসমান মসজিদ উপহার দেন চট্টগ্রামের শামসুল হক ফাউন্ডেশন। মসজিদটিতে একত্রে ৫০-৬০ জন মুসলি¬ নামাজ আদায় করতে পারবেন।


নামাজের ব্যবস্থা, ইমাম সাহেবকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে মানুষ ব্যতিব্যস্ত থাকলেও প্লাবিত মসজিদকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এনিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। এরপর থেকে কিভাবে মসজিদের সুরক্ষার কাজ করা যায় তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আলোচনা শুরু হলেও, কাজ শুরুর আগেই মসজিদটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।


মসজিদের ঈমাম ও খতিব হাফেজ মঈনুর রহমান বলেন, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর মসজিদটি ভেঙ্গে পড়েছে। অবকাঠামো একেবারেই বিলীন হয়ে গেছে। ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে মসজিদের দেওয়াল, ছাদ ও ভিত।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় বন্যতলা ভেড়িবাঁধটি ভেঙে গিয়েছিল। সেই থেকে এলাকার মানুষ পানিতে ভাসছে। বাঁধ বাঁধার জন্য আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন সহযোগিতাই করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারণেই প্রতাপনগর ইউনিয়ন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মসজিদটি ভেঙে যাওয়ায় মুসলমান হিসেবে আমাদের জন্য এর থেকে বড় কষ্ট আর হতে পারে না।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ