HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরায় বর্ষাকালেও বৃষ্টির দেখা নেই, বিপাকে আমন ধান চাষীরা

খলিলুর রহমান, সাতক্ষীরা / ৪১৮
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩


উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় মৌসুমি বৃষ্টির দেখা নেই। আষাঢ় শেষ হয়ে শুরু হয়েছে শ্রাবণ মাস। অথচ মাঝেমধ্যে সামান্য ছিটে ফোটা বৃষ্টি হলেও তা ফসলের তেমন কোনো কাজে আসছে না। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন রোপা আমনচাষীরা।


পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যেসব জেলা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সাতক্ষীরা। গত তিন বছর সাতক্ষীরা জেলায় ঠিকমতো মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয় না। যার প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন ফসলের ওপর।
প্রয়োজনীয় বৃষ্টির অভাবে রোপা আমন চাষ তো দূরের কথা, অধিকাংশ কৃষক এখনো বীজতলা তৈরি করতে পারেননি। মৌসুমি বৃষ্টি যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে চলতি রোপা আমন মৌসুমে উৎপাদন ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে মৌসুমি বৃষ্টি না হওয়ায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষককে ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করে বীজতলা তৈরির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, এলাকায় অধিকাংশ জমিতে চিংড়ি ঘের হলেও বর্ষা মৌসুমে আমন ধান চাষ করে থাকি। জমিতে উৎপাদিত ধান দিয়েই সংসারের প্রায় সারা বছরের চাউলের চাহিদা মিটে যায়। বীজ ধান কিনে এনে রেখেছে অনেকে। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে এবার এখনো বীজতলা তৈরী করতে পারছে না।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দহকুলা কৃষক পান্না হোসেন জানান, প্রতি রোপা আমন মৌসুমে ১০-১২ বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করেন তিনি। কিন্তু গত দু-তিন বছর মৌসুমি বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চলতি মৌসুমে এখনো বীজতলা তৈরি করতে পারেননি তিনি। বৃষ্টি না হওয়ায় তার এলাকার অধিকাংশ কৃষক চিন্তিত। অথচ এখন রোপা আমনের ভরা মৌসুম চলছে। কিন্তু এলাকার কৃষক এখনো আবাদে যেতে পারেননি। পান্না হোসেনের মতো জেলার কৃষকরা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে আছেন বীজতলা তৈরি করবেন বলে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলার সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশের যে কয়টি জেলায় প্রকৃতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা। এ জেলায় গত তিন বছর ধরে ঠিকমতো মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়নি। এর ফলে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া এমন আবহাওয়া যদি আগামী আরো পাঁচ বছর থাকে তাহলে মিঠা পানির মৎস্য চাষও ব্যাহত হবে। এরই মধ্যে লবণ পানির মাছ উৎপাদনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এখন থেকে ব্যাপক বনায়ন কর্মসূচি হাতে নেয়ার পাশাপাশি জলাশয় ও পুকুরে পানি ধরে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম মৌসুমি বৃষ্টি না হওয়ার মূল কারণ হিসেবে তিনি জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ি করেন।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ