যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কোমরপুর গ্রামের চিন্তা দাস (৬৫) শুক্রবার বিকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সে মৃত পূর্ণেন্দু দাসের স্ত্রী। দুই পুত্র ও এককন্যা। এর মধ্যে ১জন প্রতিবন্দী ছেলে সে খুলনায় থাকে। আর একটি ছেলেও বাড়ির বাইরে। রয়েছে অসংখ্য গুনগ্রাহী কিন্তু এখন কেউ পাশে নেই। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে তার লাশের সৎকারেরর জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। উঠানে পরে আছে শবদেহ। চারিদিকে নিস্তব্দ। নেই কোন আর্তনাদ। বৈরী আবহাওয়া। সৎকারের কাজে স্বজন সহ এলাকার কেউ পাশে নেই।
এ খবর পেয়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্যামল সরকারের দিক নির্দেশনা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন এর সার্বিক সহযোগিতায় সৎকারের জন্য এগিয়ে আছেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান গৌতম রায়। এ সময় তার সাথে যুক্ত হন গৌরীঘোনা ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা অলোক চক্রবর্তী, জয় বাংলা(মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্মেছিল তাই ওই নাম), ছাত্রলীগ নেতা খান রকি প্রমূখ। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শুক্রবার রাত ১০দিকে নেওয়া শশ্নানে। রাত ২ দিকে শেষ কৃত্যস¤পন্ন হয়েছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান গৌতম রায় বলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি শ্যামল সরকারর রাত ৮দিকে ফোন দিয়ে আমাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরই পর ফোন দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বিষয়টি আমাকে জানান। তিনি আমাদের পিপিসহ সব উপকরণের ব্যবস্থা করে দেন। আমি সাথে সাথে সৎকারে পরিশ্রমী অলোক চক্রবর্তীসহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে যেয়ে তার শবদেহ শশ্নানে নিয়ে যেয়ে রাত দুটোর দিকে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করি।