কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারে গন শৌচাগারের অভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী, ক্রেতা, পরিবহন চালক সহ সাধারণ জনতা। তাদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাজারের পাশ্ববর্তি বাড়ি বা নিজের বাড়িতে অথবা মসজিদের শৌচাগারে ব্যবহার করতে হয় যেখানে অধিকাংশ সময়ে তালা ঝোলানো থাকে। অনেকে আবার পাশ্ববর্তি ঝোপের আড়ালে যত্রতত্র শৌচাগারেরপ্রয়োজন মেটায়।এতে এক দিকে যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তেমনি অপরদিকে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে জনগন।
ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারটি দিনদিন প্রসারিত হচ্ছে, নানা সুযোগ সুবিধা হাতের নাগালে চলে এসেছে যেমন ব্যাংকিং সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা, একটি সুনামধন্য কলেজও রয়েছে কিন্তু বাজারে কোন শৌচাগার নেই। সুযোগ সুবিধার কমতি না থাকলেও রয়েছে শৌচাগারের অসুবিধা। নানা শ্রেনীপেশার মানুষের সার্বিক বিচরণ রয়েছে বাজারটিতে শুধু শৌচাগারের অভাববোধ করছেন তারা।
তাই ব্যাবসায়ীরা, যানবাহন চালকরা ও সাধারণ জনতা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানান, যাতে ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারে শৌচাগারের সমস্যা সমাধানের বিধি ব্যবস্থা করেন। তবে ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজার থেকে প্রতি বছর ১ লক্ষ ৩০হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় কিন্তু দীর্ঘ দিনেও গন শৌচাগার হয়নি বাজারটিতে।
ধানদিয়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান জানান, বাজারে একটি শৌচাগারের বিশেষ প্রয়োজন। নানা সময়ে শৌচাগারের অভাব বোধকরি প্রয়োজনে মসজিদে যাই কিন্তু অধিকাংশ সময়ে তালাবদ্ধ থাকে। বাজারে একটি গন শৌচাগার থাকলে খুবি ভালো হতো।
ধানদিয়া বাজারের রাকিব প্রিন্টিংপ্রেসের মালিক আবুল খায়ের জানিয়েছেন একি কথা, শৌচাগারের বিশেষ প্রয়োজন। শৌচাগারের প্রয়োজন অনুভব করলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে হয় তাই তিনি কতৃপক্ষের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন একটি গন শৌচাগারের জন্য।
ধানদিয়া বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার আজিজুর রহমান জানান, ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারে কোন সরকারি খাস জমি না থাকায় শৌচাগার তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে না, ইতিমধ্যে কয়েক বার শৌচাগারের জন্য প্রকল্প বাজেট হয়েছিল কিন্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি জায়গার অভাবে। তবে ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারে গন শৌচাগারের বিশেষ প্রয়োজন। যার প্রয়োজন বিশেষ মুহুর্তে অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।