মোমিনুর রহমান সবুজ: সাতক্ষীরায় এক কচুক্ষেত থেকে কালী ঠাকুর ও মহাদেব ঠাকুরের মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার ২২ অক্টোবর সকালে পুলিশ খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সোনালী ব্যাংক ঝাউডাঙ্গা শাখার পিছনে থাকা একটি কচুক্ষেত থেকে প্রতিমাটি উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করেছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, ঝাউডাঙ্গা এলাকার মৃত সুনীল কুমার ঘোষের ছেলে সঞ্জয় কুমার ঘোষ (৩৫) ও হাজিপুর গ্রামের মৃত বাবুর আলীর ছেলে শামসুর রহমান(৩৫)। পুলিশ প্রতিমাটি উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী ঝাউডাঙ্গা শ্মশান কালী মন্দিরে স্থানান্তর করেছে। এদিকে বাজারে রাতে এত নাইটগার্ড থাকার পরেও এত বড় ঘটনা কীভাবে ঘটলো এনিয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।
ঘটনাসূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা মৌজার জে, এল, নং- ৬৭, রেঃ সাঃ নং- ৬০, খতিয়ান নং- ১, দাগ নং ৫৫ ডাঙ্গা মোট জমির পরিমান এক এক শতক ৭৫ পয়েন্ট। যার পশ্চিমে বাজারের সরকারী টয়লেট, উত্তরে সরকারী রাস্তা, পূর্বে সোনালী ব্যাংক, দক্ষিনে পুকুর। জমিটি নিয়ে কয়েকদিন যাবত দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ চলছিল। জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত পাশ্ববর্তী গোবিন্দকাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মতিয়ার শেখের ছেলে আব্দুল খালেক জমিতে কচুচাষ করে আসছিল। এদিকে কয়েকদিন যাবত ঝাউডাঙ্গা এলাকার মৃত সুনীল কুমার ঘোষের ছেলে সঞ্জয় ঘোষ জমিটি তাদের বলে দাবি করে আসছিল। এনিয়ে সঞ্জয় ঘোষ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছিল আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। এমনত অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাতে কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা সদ্য তৈরী করা অক্ষত কালী ঠাকুর ও মহাদেব ঠাকুরের মূর্তিটি রেখে গেছে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পরে সকাল থেকে সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকে।
আব্দুল খালেক জানান, আমার জমিটি পাশ্ববর্তী কামারবায়সা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে হকের নিকট থেকে ৫ বছর আগে ক্রয় করেন। সেখান থেকে জমিতে কচুচাষ করে আসছে। তবে মৃত সুনীল কুমার ঘোষের তিন শরিকের নিকট থেকে হক ক্রয় করে বলে তিনি জানিয়েছে। তবে জমিটি সরকারি খাস খতিয়ান হওয়া সত্বেও কোন বুনিয়াদে ক্রয়-বিক্রয় হলো এর সদউত্তর উভয় পক্ষের কেউ দিতে পারেনি।
থানা সূত্রে জানা যায়, সরকারি খাস জমিটি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ চলছিল। সকালে সংবাদ পায় একটি কচুক্ষেতে কালী ঠাকুর ও মহাদেব ঠাকুরের মূর্তি পাওয়া গেছে। খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তি দুইটি উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী শ্মশান মন্দিরে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।