মোমিনুর রহমান সবুজ: সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম বানিজ্যিক এলাকা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে এক রাতে চার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সঠিক তদারকি ও নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব অবহেলার কারণ হিসাবে দেখছেন বাজার ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার ১ আগস্ট দিবাগত রাতে ঝাউডাঙ্গা বাজারের বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চুরি আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের বেত্রাবতী ফিস ফিড মিল, শাহিনা ক্লথ, সাব্বির গার্মেন্টস ও তারপাশে থাকা একটি পান-সুপারীর দোকানে এই চুরি সংঘটিত হয়। তাছাড়া আরো দুটি দোকানে চুরির চেষ্টা চালিয়েছে। চুরির ঘটনায় নগদ প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সঠিক তদারকি ও নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব অবহেলার বড় কারণ হিসাবে দেখছেন বাজার ব্যবসায়ীরা। তবে এ ঘটনায় বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো পরিদর্শন করেছেন।
বেত্রবতী ফিস ফিড মিলের মালিক আব্দুল মালেক বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সোমবার রাত প্রায় ১১টায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় যায়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিল খুলে দেখি সিড়িঘরের চাল উচু করে ভিতরে ঢুকে মিলের নিজস্ব যন্ত্রপাতি দিয়ে তারা অফিসের ক্যাশ ড্রয়ার ও সিন্ধুক ভেঙে নগদ এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে গেছে চোরেরা’। শাহিনা ক্লথ এর মালিক আজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার দোকানের পিছনের কাঠের দরজা ও লোহার গেইট ভেঙে ক্যাশ ড্রয়ার ও সিন্ধুক ভেঙে নগদ এক লাখ ষাট হাজার টাকা নিয়ে গেছে’। অপর দুই দোকান সাব্বির গার্মেন্টস ও পান-সুপারির দোকানের সাটার কেটে নগদ বিশ হাজার টাকা নিয়ে গেছে চোরেরা’। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা দিবাগত রাতে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় সেইসাথে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় এই সুযোগে চুরি সংঘটিত হয়েছে।
ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, এ বাজারে ১০জন নাইট গার্ড থাকা স্বত্তেও চুরি সংঘটিত হওয়ায় এতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। তাছাড়া রাতে ডিউটিতে থাকা নাইটগার্ডের কোন দায়িত্ব অবহেলা ছিল কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাতে ডিউটিতে থাকা নৈশ প্রহরীর কোন দূর্বলতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।