যশোরের কেশবপুরে লকডাউনের মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে স্বাস্থ্যবিধি বালাই নেই। লকডাউনে সকল অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কোন তোয়াক্কা না করেই গ্রাহকদের নিকট থেকে বিল গ্রহণ করছেন। দীর্ঘ লাইন দাড়িয়ে গাদাগাদি অবস্থায় গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে বিল দেওয়ার সময় স্বাস্থ্যবিধিতে হÑয-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
কেশবপুরে কঠোর লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে পল্লী বিদ্যুতের বিল জমা দিচ্ছেন গ্রাহকরা। জনগণের সচেতনতার অভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চরম আকারে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম।
সোমবার সকাল ১০ টার দিকে সরোজমিন যেয়ে দেখা যায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গাদাগাদি দাঁড়িয়ে গ্রাহকরা বিল জমা দিচ্ছে। এছাড়াও বিল দেওয়া সত্বেও পরবর্তীতে বিলে তুলে দেওয়াই বিপাকে পরেছে গ্রাহকরা । কেশবপুরে সোমবার নতুন করে ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ।এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন ও সহকারি কমিশনার ভূমি ইরুফা সুলতানা সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মানতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত রেখেছেন। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। গ্রাহকদের বেশিরভাগ মাস্ক ছাড়া। অফিসের কর্মকর্তাদেরও একই অবস্থা।
বিল জমা দিতে আসা গ্রাহক আলাউদ্দিন জানান, দেউলীর হানেফ বিশ্বাস ও হয়রত আলী বলেন এই কঠোর লকডাইনের মধ্যে বিল দেওয়ার জন্য এসেছি। না দিলে ফাইন দিতে হবে। তার এসেছি।আটন্ডা গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন গতমাসের বিল পরিশেষাধ সত্বে এমাসেও সেই বিল তুলে দিয়েছে তাই সয়শোধনের জন্য এসেছি। একই ভোগন্তী তে পড়ে এসেছে শতাধিক মানুষ। এই ভোগান্তী পোহাতে হয়েছে। বাকাার্শী গ্রামের ফারুক খা বলেন এই কঠোর লকডাইনের সময় বাধ্য হয়ে এসেছি বিদ্যুৎ বিল দিতে। মাইকেল গেেেটর সামনে এক ব্যাবসায়ী জুয়েল বলেন বিদ্যুৎ বিল না দেওয়াই আমার মিটার কেটে নিয়ে যায় পরে বিল পরিশোধ করে মিটারের লাইন নিয়েছি। অথচ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিটার লকডাইন চলাকালীন বিদ্যুৎ এর মিটার না কাটার কথা বলা হয়েছে।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের বলেন, লকডাইনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনেই বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করা হচ্ছে। অর্থ বছরের শেষ হওয়াই লকডাইনের মধ্যে বিল নিতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।