HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

কেশবপুরে অজ্ঞান পার্টির কবলে আরো এক পরিবার

উৎপল দে, কেশবপুর / ৩২৩
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

যশোরের কেশবপুরে রোববার রাতে আবারও অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে চিংড়া গ্রামের এক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। সোমবার সকালে অচেতন অবস্থায় ওই পরিবারের ৪ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিংড়া গ্রামের মুদি ও কাপড় ব্যবসায়ী গুরুপদ দে’র (৮৫) বাড়ির সদস্যরা রোববার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার সকালে ওই পরিবারের সদস্যদের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিরা তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ক্রপসিক্যাল গেটের (কেচি গেট) তালা ভাঙা। পরিবারের গৃহকর্তা গুরুপদ দে, তার স্ত্রী ননি বালা দে, ছেলে বিমল দে (৫৭) ও বিধান দে (৪৮) অচেতন অবস্থায় ঘরের ভেতর রয়েছেন। ঘরের মধ্যে আলমারি, লোহার সিন্দুক ভেঙ্গে মালামাল লুট করা হয়েছে। খবর পেয়ে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, গুরুপদ দে চিংড়া বাজারের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ওই বাড়ি থেকে একটি নতুন মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকরসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। অচেতন হওয়া ব্যক্তিদের জ্ঞান ফিরলে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিবারের সকলেই অচেতন থাকায় ওই বাড়ি থেকে কি কি মালামাল খোয়া গেছে তা জানা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আহসানুল মিজান রুমি বলেন, অচেতন অবস্থায় ৪ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে বৃদ্ধ গুরুপদ দে’র অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত আগস্ট মাসে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৬টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ সব পরিবারের অন্তত ১২ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। #


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ