HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

কুল্যা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জীবনের মায়া ত্যাগ করে চলছে স্বাস্থ্য সেরা

আশাশুনি ব্যুরো / ৩৮৭
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে জীবন হাতে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ছাদের একাংশ ও ভিতরে কয়েক স্থানে ধ্বস নেমে গেলেও সংস্কারের নামে অপরিকল্পিত কাজ বিল্ডিংকে আরও ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা জানান।
কুল্যা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ২ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এ পরিচালিত হয়ে থাকে। নীচের তলায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ২য় তলায় কর্মকর্তা বসবাস করেন এবং ঔষধপত্রসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। বিল্ডিং নির্মানের সময় এতটা অনিয়ম করা হয়েছিল যে এলাবাসী বারবার প্রতিবাদ করলেও আমলে নেওয়া হয়নি। বর্তমানে কাজে অনিয়মের প্রমান প্রত্যক্ষ হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ছাদের একটি অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। ছাদের ভিতরে কয়েকস্থানে বড় অংশ ভেঙ্গে পড়েছে ও ছিদ্র হয়ে গেছে। দেওয়ালের দিকে তাকালে দেখা যাবে কতটা অনিয়মের মাধ্যমে কাজ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসবাস ও অফিস পরিচালনা চরম বিপদজনক ও জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাবার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানালে বিল্ডিং এর কিছু ওয়াল ও মেঝে টাইলস বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ছাদের দুরাবস্থা দূর করার নামে জলছাদ উঠিয়ে ফেলে ছাদের উপর দিয়ে পুনরায় ঢালাই এর কাজ করার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।
সংস্কারের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে জলছাদ উঠিয়ে পুরনো ছাদের উপর দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ কতটা যুক্তিযুক্ত এনিয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ধ্বসে পড়া ছাদের অংশে দেখা গেছে ছাদে একহাতে ৩টি করে রড ব্যবহার করা হয়েছে। রডের ফাঁক বাড়িয়ে রড কম লাগানোর কাজই কেবল করা হয়নি, বরং ছাদে ব্যবহৃত সকল রডই ৮মিলি এবং সিঙ্গেল জালি দেওয়া হয়েছে। ছাদের ঢালাই দেওয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন ইঞ্চি। অথচ জলসাদ দেওয়া হয়েছে ৫ ইঞ্চি। ফলে ছাদের অবস্থা যে খুবই জীর্ণশীর্ণ সে কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সংস্কারের নামে জলছাদ উঠাতে আঘাত করার সাথে সাথে ছাদের ভিতরের অংশ ভেঙে পড়ছে। তারপরও দুর্বল ছাদ রেখে দিয়ে তার উপর দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ও রোগি ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরতদের মনে ভীতি ও শঙ্কা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবী সংস্কারের নামে বিল্ডিংটিকে আরও ভয়াবহ পরিণতিতে ঠেলে না দিয়ে পুরো ছাদটাই ভেঙ্গে নতুন ছাদ দেওয়া হোক।
এব্যাপারে ঠিকাদার শাহিনুর আলম বলেন, এক মাস আগে আমরা কাজটা শুরু করেছি এবং এটি চার মাসের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। এখানে সংস্কারের কাজ হবে, জলছাদ উঠিয়ে নতুন করে জলছাদ করা হবে। নিচের মেঝের টাইলস বাথরুমের টাইলস এবং অন্যান্য ওয়ারিং এর কাজ করা হবে। বিল্ডিংটি ব্যবহারের উপযোগী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার এসে দেখার পর তাদের নির্দেশনামত আমরা কাজ করছি। সরকারি কর্মকর্তা তথা ইঞ্জিনিয়ারের প্লান মত কাজ করা হচ্ছে। কাজে কোন রকম অনিয়ম করা হচ্ছেনা।
দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার জাকারিয়া জানান, আমরা বিল্ডিংটা দেখে এসেছি। জলছাদের জন্য ছাদ খোড়া হলে তারপর নিচের অংশ খসে খসে পড়তে দেখেছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তারপর আমরা ডিজিশান নেব কি করা যায়।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ