HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫ অপরাহ্ন

কাদাকাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা ৮ মাস অনুপস্থিত

আশাশুনি প্রতিনিধি / ২৯৯
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) না থাকায় ভূমি অফিসে আসা মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। অফিসে একজন উপসহকারী কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও না থাকায় এক বছর যাবত ইউনিয়ন ভূমি অফিস তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে ভূমি অফিস।

উপজেলার ১১নং কাদাকাটি ইউনিয়নের সাধারণ ভূমি মালিকরা জমির খাজনা বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য ছুটে যেতে হচ্ছে প্রায় ১২কিঃ দুরে দরগাহপুর ভূমি অফিসে। সসেখানে গিয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কেউ কেউ খাজনা না দিয়েই ফিরে যান। এতে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। নামজারির প্রতিবেদন তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে হিমশিম খাচ্ছেন এলাকার ভূমি মালিকরা। দরগাহপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার গাইন ও উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে একজন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও দু’জন করে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তার পদ রয়েছে। কিন্তু কাদাকাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দীর্ঘ দিন ধরে ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) নেই। এলাকার ভূমি মালিকদের যেমন বেড়েছে ভোগান্তি, তেমনি কমেছে রাজস্ব, বঞ্চিত হচ্ছে ভূমিসেবা থেকে।
এ ব্যাপারে কাদাকাটি গ্রামের মহাদেব গাইন বলেন, আমি বহুদিন যাবত আমাদের এই ভূমি অফিসে এসে দেখছি তালা ঝুলানো। পরে জানতে পেরে আমি দরগাহপুর ইউনিয়নের ভুমি অফিসে যাই, সেখানে গিয়েও কোন কাজ হয় না। আমার বাড়ির পাশে ভূমি অফিস থাকার সত্বেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উঠাতে দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার দূরে ভূমি অফিসে গিয়ে সময় ব্যয় ও অর্থ ব্যয় করেও কোন কাগজপত্র উঠাতে পারিনি। এরপরে খাজনা প্রয়োজনীয় কাগজ উঠানোর জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোন সুরাহা হলো নি।
কাদাকাটি ইউপি সদস্য বিপ্লব কুমার রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই ভূমি অফিসটিতে ভূমি কর্মকর্তা না থাকায়, অত্র এলাকার মানুষ ভূমিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কয়েক মাস যাবত ভূমি কর্মকর্তা বদলি হলেও আর কোন ভূমি কর্মকর্তা আসেনি। ইউনিয়নের বেশকিছু মৌজা থাকায় ছুটতে হয় ১২ কিলোমিটার দূরে দুরগাহপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দরগাহপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, জমির খাজনা দেয়ার জন্য ভূমি মালিকরা অপেক্ষা করে আছেন। কিন্তু অফিসের দায়িত্বে থাকা একমাত্র ভূমি কর্মকর্তার কথা বলারও সময় নেই। অফিসের দু’জন এলএমএসএসের মধ্যে একজন খাজনা নেয়ার খতিয়ান বই থেকে সহকারী কর্মকর্তাকে দাগ ধরে দিচ্ছে। তরিকুল নামে আরেকজন এলএমএসএস নামজারির ফাইলগুলো থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে আবেদনকারীদের ফোন করছেন।
কাদাকাটি মৌজার খাজনা দিতে আসা জমির মালিক প্রভাষক মনি মোহন সরকার জানান, তিনি দেশের বাইরে থাকেন। কয়েক দিনের মধ্যে আবার চলে যাবেন। তাই জমির খাজনাগুলো দিতে এসেছেন। কিন্তু অফিসে লোকজন না থাকায় খাজনা না দিয়েই ফিরে যাচ্ছেন।

অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার গাইন জানান, তিনি একা হওয়ায় এক হাতে সব কাজ করতে হয়। ভূমি অফিসে দু’জন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা থাকলে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নেই প্রায় এক বছর।
কাদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিপংকার কুমার সরকার দিপ বলেন, ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) না থাকায় আমার ইউনিয়নের মানুষ প্রায় ৮ মাসের অধিক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তিনি দ্রুত একজন তহশিলদার নিয়োগের দাবি জানান।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রনি আলম নুর বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ভূমি মালিকগণ যাতে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য অতি দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। এনিয়ে এমপি মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তিনি বলছেন তাড়াতাড়ি ভূমি কর্মকর্তা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ