HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

কলারোয়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে পুড়ে গেল অর্ধ শতাধিক মিটার

রাজু রায়হান, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) / ৫৮৪
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

কলারোয়ায় পল্লী বিদ্যুত লাইনে শর্ট সার্কিট হয়ে প্রায় অর্ধশত গ্রাহকের মিটার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ নষ্ট হয়েছে গ্রাহকের ঘরে থাকা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী। 


বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভাধীন উত্তর মুরারীকাটি পালপাড়া এলাকায় নজরুল ইসলামের চায়ের দোকান সংলগ্ন খুটিতে পল্লী বিদ্যুতের শর্টসার্কিটে ওই ঘটনা ঘটে৷ এসময় কলারোয়া পাকা ব্রীজের নিকট দূরের শেখ মেডিকেলের সামনে ছিড়ে পড়ে বিদ্যুত লাইনের মেইন তার। সকাল ৯টার পরপরই শর্ট সার্কিটের কারণে বন্ধ রাখা হয় বিদ্যুৎ লাইন।  যা মেরামতের পর পুনরায় চালু হয় দুপুর আড়াইটার দিকে।


এ ব্যাপারে পৌরসভার প্যানেল মেয়র  ও জনসেবা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ক্ষতিগ্রস্ত জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পালপাড়া মোড়ের নজরুল ইসলামের চায়ের দোকান সংলগ্ন বিদ্যুতের খুটিতেআগেও কয়েকদিন শর্ট সার্কিট হয়েছে। এবিষয়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানাতে মুটোফোনে কল দিলেও তিনি বা তারা রিসিভ করেননি৷ আজ (বৃহষ্পতিবার) সকালে প্রথম শর্ট সার্কিট হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কল দিয়ে প্রাথমিক ভাবে বিদ্যুত বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু মেরামত না করে ১০ মিনিট পরেই আবার বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে আশপাশের ভবন ও দোকানপাটের বিদ্যুৎ সংযোগের মিটার পুড়ে যায়। সেসময় কয়েকজনের টিভি, ফ্রিজ, চার্জে থাকা মোবাইল ফোন ও ক্লিনিকের বিদ্যুৎ সংশিষ্ট চিকিৎসা সেবার যন্ত্রপাতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ এমনকি আশপাশের প্রায় অর্ধশত মিটার পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মিটারের পাশে থাকা বিদ্যুতের বোর্ডও বাস্ট হয়ে পুড়ে যেতে দেখা গেছে।’ তিনি ক্লিনিক ও দোকানপাটের ক্ষতি পূরণের দাবি জানান।


জনসেবা ক্লিনিক ভবনের মালিক কবি আজগর আলী বলেন, ‘প্রতিনিয়ত এখানে শর্টসার্কিট হয়। পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অভিযোগ দিলেও তারা তেমন গুরুত্ব দেন না। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ভবনে ওয়ারিং করিয়েছি৷ মিটারের পাশাপাশি টিভি, ফ্রিজ চার্জে থাকা মোবাইল ফোন পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে৷’ বিদ্যুত লাইন মেরামত না করাতে যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ পেতে তিনিও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷


মিম স্টোরের মুদি দোকান ব্যাবসায়ী জাহিদ হাসান বুলু জানান, ‘সকালে কারেন্টের (বিদ্যুতের) খুটিতে আলো জ্বলে উঠলে সাথে সাথে স্থানীয় বিদ্যুত অফিসের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করলে তারা লাইন অফ করে দেয়৷ লাইন মেরামত না করে মিনিট দশেক পরেই পুনরায় বিদ্যুত সংযোগ দিলে এখানকার প্রতিটি দোকানের মিটারসহ বৈদ্যুতিক খুটির কাঠে আগুন ধরে যায়। সেসময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷’
তিনি আরো বলেন, ‘একদিকে করোনার ক্রান্তিকাল অন্যদিকে লোন  নিয়ে দোকানের ফ্রিজ কেনা। এখনো টাকা পরিশোধ করতে পারিনি৷ অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।’


এ বিষয়ে কলারোয়া পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজর (ডিজিএম) প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার ফোনে সংশিষ্ট বিষয়ে কোন কলআসেনি৷ তবে সকালে বিদ্যুতের তারে পাখি পড়াতে এ ঘটনা ঘটে৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যে কয়টি মিটার নষ্ট হয়েয়ে তা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷’ এদিকে, ঘটনার পরপরই সেখানে ছুটে যান কলারোয়া পৌরসভার মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, পৌর কাউন্সিলর শেখ জামিল হোসেন, শেখ ইমাদ হোসেন, আকিমুদ্দীন আকি, দিথী খাতুনসহ অন্যরা। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতি পূরণের বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন বলে জানান পৌর মেয়র।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ