HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন

কপিলমুনিতে মালিকানা সম্পত্তি দখল করে সরকারী স্থাপনা তৈরীর অভিযোগ

কপিলমুনি প্রতিনিধি / ৩৩৪
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১

কপিলমুনিতে রায় সাহেব পরিবারের মালিকানা রেকর্ডিও সম্পত্তি প্রকাশ্যে দখল করে সরকারী স্থাপনা তৈরী প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। আর এ সংক্রান্ত বিষয়ে রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর ভ্রাতুষ্পুত্র তপন সাধু ১৪ আগস্ট সকাল ১১ টায় কপিলমুনি স্বর্ণ পট্রিতে সকলের ঞ্জাতার্থে প্রকৃত ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছেন। প্রেসনোটের মাধ্যমে জনাকীর্ণ সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠকালে তিনি বলেন, কপিলমুনিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে ” মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স” নির্মাণের সিন্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। সেখানে আমাদের পরিবারের কারও দ্বিমত নাই। কিন্তু আমার দাবী আমাদের নিজস্ব সম্পত্তির ন্যায় পার্শ্ববর্তী যে সকল ব্যাক্তিবর্গ সরকারী খাস সম্পত্তি দখল করে রয়েছে সে সকল সম্পত্তি দখল মুক্ত করে এ কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যবহার করা হোক। এ বিষয়ে বিগতদিনে আমি পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেছিলাম। যার প্রেক্ষিতে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তা আমাকে আশ্বস্তও করেছিলেন। কিন্ত অদ্যবধি তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। বরং ১২ আগস্ট সকালে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ঠিকাদার আমাকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে আমাদের মালিকানা রেকর্ডিও সম্পত্তিতে প্রবেশ করে সেখানে লাগানো প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বৃক্ষের গাছপালা কর্তন করে ব্যাপক ধবংসযঞ্জ চালিয়েছে। জোর পূর্বক আমাদের সম্পত্তি জবর দখলের প্রশ্নই আসেনা। কারণ সেখানে কমপ্লেক্স নির্মাণ হোক এটা আমরাও চাই। যাহার কারণে সরকারী উক্ত সম্পত্তিতে কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে কোন আপত্তি করি নাই। কিন্তু কিছু না জানিয়ে আমাদের মালিকানা রেকর্ডিও জমিতে ধবংযঞ্জ চালিয়ে জোর পূর্বক জবর দখলের বিষয়টি আমাকে ভীষণ ভাবে মর্মাহত করেছে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বসত বাড়ীতে দক্ষিণ অঞ্চলের শক্তিশালী রাজাকার ঘাঁটি ছিল। রাজকারদের পত্তন পরবর্তী স্বাধীন বাংলা ঘোষণার পর আমরা বসত বাড়ীটি নিজ অর্থে সংস্কার করেছিলাম। সেক্ষত্রে সরকারী কোন সহায়তা পাইনি। আমরা সেটাও আশা করিনা। আমাদের বাড়ীর পশ্চিম সীমানা সংলগ্ন সরকারী খাস জমিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স  নির্মাণ হবে এটা আমাদের ও এলাকার মানুষের জন্য একটি বড় গর্বের বিষয়। সেখানে আমাদের কোন দ্বিমত নাই। তবে আমাদের মালিকানা সম্পত্তিতে লাগানো ফলজ বৃক্ষের বাগান উজাড় করে জোর পূর্বক জমি জবর দখল বিষয়টি আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা। পরিশেষে সাংবাদ সন্মেলন অন্তে তপন সাধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টির মাধ্যমে কপিলমুনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কমপ্লেক্স নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের সম্পত্তির ন্যায় পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের কাছ থেকে সমান অংশে জমি নেওয়ার আহবান জানান।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ