আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের জামালনগর গ্রামে সুন্দরবনী দরবার শরীফের পীর কেবলা বীরমুক্তিযোদ্ধা বজলুল রহমান সুন্দরবনীসহ ৩ জনকে অচেতন করে তার বাড়ি থেকে দুঃসাহসিক চুরি সংঘঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, এলাকাবাসীর ধারনা, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতের খাবার খেয়ে রাত্র ৯টার দিকে পীরসাহেব সুন্দরবনী ও তার বাড়ির কেয়ারটেকার বাবলু সরদার এবং তার স্ত্রী লাকী আক্তার ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বাবলু সরদারের ছেলে রিয়াদ হোসেন গেটের সামনে গিয়ে তাদেরকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে পিছন দিক থেকে ভিতরে ঢুকে ঘরের বাক্সের তালা খোলা অবস্থায় লেবু গাছের নিচে ফেলানো ও তার পিতা মাতাকে এক রুমে এবং অন্য রুমে পীরসাহেব হুজুরকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের অবস্থা দেখে সেখান থেকে তাদেরকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে নেয়া হয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা পীর সাহেব ফজলুর রহমানের জ্ঞান ফিরেনি বলে জানাগেছে।
পীর সাহেব সুন্দরবনী হুজুরের ছোট ভাই এড. আকবার হোসেন জানান, হুজুর ৩/৪ দিন আগে সোনালী ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ঐ বাক্সে রেখেছিলেন। সেই টাকা চুরি হয়েছে। কেয়ার টেকার বাবলু সরদার জানান, টাকার পাশাপাশি তার স্ত্রী লাকী আক্তারের কানে থাকা এক জোড়া স্বর্ণের দুল ও বাক্স থেকে স্বর্ণের চেইন, আংটি চুরি হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ গোলাম কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।