উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়ীবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ ও মৎস্য ঘেরীদের কাছে পানি বিক্রির জন্য তৈরি বাক্স কল ও পাইপ অপসারণের জন্য শ্যামনগর উপজেলার মানিকখালী গ্রামের হাজী আবুল হোসেনের পুত্র হুমায়ুন কবির জনস্বার্থে হাইকোটে ৮১৭৫/২০২১ নং রিট মামলা দায়ের করেন ৷ তারই প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহ থেকেকালীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল্লাহ অপসারণের অভিযান শুরু করেন। কিন্তু শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন কোন ইউনিয়নে বাক্স কল ও পাইপ অপসারণের অভিযান হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষরা গড়িমসি করে দিন পার করে দিচ্ছে । আর এদেকে রমজাননগর ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কিছু প্রভালশালীরা মনের আনন্দে বাক্স কল ও পাইপ দিয়ে নোনা পানির ব্যবসা দেদারচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতৃপক্ষের কোন কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন কৈখালী ইউনিয়ন কিছু অংশে বেড়ীবাঁধের বাক্স কল ও পাইপ অপসারণ করলেও সেটাও নাটকীয় কায়দায় দুই পাশে মাটি দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। যাতে পূনরায় আবার প্রভাবশালীরা ঔ বাক্স কল ও পাইপ দিয়ে নোনা পানি উত্তোলন করতে পারে।তবে শ্যামনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অংশে কোন বাক্স কল ও পাইপ অপসারণের কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি।এলাকাবাসির প্রশ্ন কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন কৈখালী ইউনিয়নে কিছু অংশে অপসারণের কাজ নাটকীয় হলেও তারা বাক্স কল ও পাইপ অপসারণের অভিযান পরিচালনা করেছে। কিন্তু শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। তাদেরকে বললে বিভিন্ন ভাবে গড়িমসি করে দিন পার করে দিচ্ছে।আর প্রভাবশালীরা নোনা পানি উত্তোলন করে দেদারচ্ছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি প্রভালশালীদের টাকার কাছে ম্যানেজ হয়ে গেল এমনটায় মন্তব্য করেন এলাকাবাসি।শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মাসুদ রানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা এক দু দিনের মধ্যে বাক্স কল ও পাইপ অপসারণের অভিযানের কার্যক্রম শুরু করবো।