শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের দুই ইউ,পি সদস্যর ছত্রছায়ায় কৈখালী সীমান্তে দাপটিয়ে বেড়াচ্ছে চোরাই সেন্ডিকেট চক্র। সরজমিনে জানা যায়, কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের ০৪নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য মোঃ রাশিদুল ইসলাম এবং ০৩নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য মোঃ আমিনুর রহমানের সহযোগিতায় সীমান্তে চোরাই সেন্ডিকেট আরশাদ বরকন্দাসের পুত্র মোঃ মোনাজাত, মৃত বজলুল সোবহান পুত্র কাসেম, রশিদ চৌকিদারের পুত্র জব্বার, বড়োলা হাউলির পুত্র বোতল, আশরাফের পুত্র সবুজসহ বেশ কয়েকজন। ০৮ ই মে শ্যামনগর থানা পুলিশের হাতে ইউ,পি সদস্য মোঃ রাশিদুল ইসলামের ভাতিজা মোঃ মোখলেছুর রহমান জব্বার একাধিক মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়। এ সময় ইউ,পি সদস্য রাশিদুল মাদক ব্যবসায়ী ও সীমান্তের আলোচিত চোরাইসেন্ডিকেট জব্বারকে ছাড়ানোর জন্য পায়তারা করে এবং শ্যামনগর থানায় যায়। বর্তমানে কৈখালী সীমান্তে প্রতিনিয়ত চোরাইসেন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধভাবে রেনু, গরু , মাদকসহ বিভিন্ন মালামাাল পার হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে চোরাইসেন্ডিকেট চক্র সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। কৈখালী সীমান্তে মাদক ব্যবসা ও চোরাাইসেন্ডিকেটের অপর আলোচিত মোঃ মোনাজাতকে সাধু সাজাতে ইউ,পি সদস্য রাশিদুল ও আমিনুর স্থানীয় সাংবাদিককে ভুল বুঝিয়ে ভিডিও ধারনের মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রতিবেদন তৈরী করে। একাধিক সূত্রে জানা যায় , ইউ,পি রাশিদুল চোরাইসেন্ডিকেটে চক্রের নিকট থেকে মাশোয়ারা নিয়ে থাকে। এ বিষয়ে ইউ,পি সদস্য রাশিদুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান বলেন, তারা মাদক চোরাইসেন্ডিকেটের কোন প্রকার সহযোগিতা করেন না বা কোন অবৈধ কাজে জড়িত না। এ বিষয়ে কৈখালী ইউ,পি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন , আমি কোন ভাবে মাদকের সাথে আপোষ করিনা। যারা চোরাইসেন্ডিকেটের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।