মামার বিরুদ্ধে ভাগ্নার সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগ নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদের হাটে ব্যক্তিগত অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত আলী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আ’লীগ নেতা শওকত আলী বলেন, গত ১৮শে আগস্ট পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত. জালাল উদ্দিন সরদারের ছেলে মশিউর রহমান তার মামা লিয়াকত মোল্যার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমার ইন্ধনে মশিউরদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা, মামলাসহ তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। মামার বিরুদ্ধে করা এ সংবাদ সম্মেলনে আমাকে নিয়ে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা মৌজায় ৫২৮ ও ৫১১ নং খথিযানের মোট ১১টি দাগে সাড়ে ৪৬ শতক জমি মাত্রিক সূত্রে পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত নুর আলী মোল্যার ছেলে মোঃ লিয়াকত আলী মোল্যা, মোক্তার আলী মোল্যা ও শওকত আলী মোল্যার প্রাপ্ত। কিন্তু তারা তিন ভাই অশিক্ষিত ও অন্ত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির হওয়ায় তাদের ভাগ্নে যথাক্রমে আজিজুল ইসলাম, হাফিজুল ইসলাম লাল্টু, মোস্তাফিজুর রহমান ও মশিয়াররা তাদের (তিনভাইয়ের) প্রাপ্য সাড়ে ৪৬ শতক জমির মধ্যে দখল দেয় ১৭ শতক। উক্ত ১৭ শতক জমি লিয়াকত মোল্যারা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিলো এবং তাদের পিতা-মাতার কবর স্থানও রয়েছে সেখানে। কিন্তু বাকি জমি লিয়াকত মোল্যাদের আজও বুঝে না দিয়ে ভাগ্নেরা নানাভাবে তালবাহনা করতে থাকে। আর এসম্পর্কিত বিষয় নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বসাবসি করলে ভাগ্নে হাফিজুল ইসলাম লাল্টু বিদেশে থাকায় তার দোহাই দিয়ে অন্য ভাইয়েরা বলে লাল্টু বিদেশ থেকে আসলে মিমাংসা হবে। কিন্তু লাল্টু দেশে ফিরে এসে মামাদের জমি ফিরিয়ে দেয়া তো দূরের কথা উল্টে তা দখলের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে গত জুলাই মাসে লিয়াকত মোল্যার ভাইপো আলমগীর হোসেনকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে মশিউর বাহিনী। এঘটনায় থানায় মামলা হলেও আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে ভাগ্নেরা গত ১৪ আগস্ট মামাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করে। অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওসমান গণি বিষয়টি মিমাংসার জন্য ১৬ আগস্ট উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসির দিন ধার্য্য করেন। কিন্তু পুলিশকে উপেক্ষা করে ১৫ আগস্ট শোক দিবসের ব্যানার ঝুলিয়ে উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে লিয়াকত মোল্যারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সুষ্ঠু বিচার চেয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী লিয়াকত মোল্যাদের বিরুদ্ধে পাল্লা সংবাদ সম্মেলন করেন মশিউররা। মামাদের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলনে মশিউররা দাবি করেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য তার বড়ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আজিজুল ইসলাম একটি ঘর অস্থায়ীভাবে নির্বাচনী অফিস করার জন্য দেন। যেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উক্ত অফিসটি ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস করা হয়েছিলো। যা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস এম শওকত হোসেন উদ্বোধন করেন। পরে উক্ত জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে থানা আ’লীগের নেতাদের নির্দেশে অফিসের সমস্ত মালপত্র নিয়ে বাজারে একটি অফিস করে দেওয়া হয়। এসময় তিনি আরো বলের, মামা-ভাগ্নার দীর্ঘদিনের বিরোধ তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রায় মীমাংসার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিলেন। তবে এটি এলাকার কুচক্রী মহলের সহ্য না হওয়ায় তারা তাকে হয়রানি করতে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করেছেন। বিশেষ করে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা দেওয়ার পরই হাইব্রিড নেতা হিসেবে পরিচিত, ১৪ মামলার আসামী আবুল কালাম আজাদের ইন্ধনে ওই মহলটি আমার উপরে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এসময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।