HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন

আমার দেখা একজন মমতাজ আহমেদ

জহিরুল ইসলাম শাহিন / ৭৪৪
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০২১

হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙালী জাতির প্রতিষ্ঠাতা এবং জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহপাঠী এবং সাতক্ষীরা জেলার বিদগ্ধ প্রবীন রাজনীতিবিদ, একজন নির্লোভ ত্যাগী ও সদালাপী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পথ নির্দেশক এবং দেশ প্রেমিক জনাব মমতাজ আহমেদ সরদার। তিনি ১৯১৯ সালের ২০ মে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঘোনা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। এবং ২০১৩ সালের ৩রা নভেম্বর কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে(নিজ গ্রাম) ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে কিংবদন্তির এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর সহচার্চে সাতক্ষীরা জেলার হাল ধরেন। তিনি ১৯৪০ সালে কলিকাতা সিটি কলেজের অধীনে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৪৩ সালে যশোর এম এম কলেজ থেকে ইন্টার মিডিয়েট পাশ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। ছাত্র জীবন থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন। লেখাপড়ার জীবন শেষ করে বঙ্গবন্ধুর হাতে হাত রেখে তিনি সক্রিয় ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগরে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এবং ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যত শ্রেনীর আন্দোলন সংগ্রাম বা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে সব গুলিতেই তিনি সাহসী সৈনিকের মত অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৫৩ সালে তিনি খুলনা জেলা বোর্ডের সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ৮ ও ৯ নম্বর সেক্টরে প্রবাসী সরকারের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক কর্ম কান্ডের বাইরে ও তিনি অনেক সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডে নিজেকে ব্রত করেন। শিক্ষার মান আমাদের সাতক্ষীরা জেলাতে তদানন্তীন সময়ে খুব একটা প্রসার লাভ করতে পারেনি। তাই তিনি শিক্ষাকে অধিকতর তরান্বিত করার জন্য সাতক্ষীরা জেলায় বিভিন্ন থানা, উপজেলা বা ইউনিয়নে অনেকগুলি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে গেছেন। এমন কি নারী শিক্ষাকে তরান্বিত করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। তার মধ্যে সাতক্ষীরা জেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে একমাত্র মহিলা কলেজটি ১৯৯৪ সালে কলারোয়া উপজেলা হাসপাতলের ধার ঘেষে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ, সিটি কলেজ, কলারোয়া সরকারী কলেজ, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজ নিজনামে হাই স্কুল এবং নীজ গ্রামে ০৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি মহিলা মাদ্রাসা ও ১ টি এতিম খানা প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়া তিনি সাতক্ষীরা জেলায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কার্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। তৈরি করেন রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, ডাকঘর এবং গ্রামে গ্রামে কৃষকদের জন্য স্থাপন করেন গভীর নলকূপ। তিনি নিজের সুখের জন্য কিছুই করেন নি। পারেন নি নিজের আরাম আয়েশের জন্য কোন বাড়ী করতে। সমাজ দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করাই ছিল তার জীবনের স্বপ্ন। তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রাথী হিসাবে কলারোয়া-সাতক্ষীরা ও দেবহাটা আসনে এম.এল.এ নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে মাত্র ০৭ ভোটে জনাব সবুর খানের নিকট পরাজিত হন। তিনি ১৯৭০ সারে আওয়ামী লীগরে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাতক্ষীরা-কলারোয়া আসনে এম.পি.এ এবং ১৯৭২ সালের নির্বাচনে গন পরিষদ সদস্য(এম.সি.এ) নির্বাচিত হন। প্রয়াত মমতাজ আহমেদ তার সহপাঠী শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ৩২ নং ধানমন্ডীর বাড়ীতে এক সৌজন্য সাক্ষাত করেন। যেহেতু বঙ্গবন্ধু এবং মমতাজ আহমেদ একে অপরের ঘনিষ্ঠ জন, তাই বঙ্গবন্ধু মমতাজ আহমেদ কে বললেন, “তুই আমার কাছে কি চাস?” প্রতি উত্তরে মমতাজ সাহেব বললেন, “আমার কলারোয়া থেকে খুলনা সদর হাসপাতাল প্রায় ৬০ মাইল দুরে। এখানকার জনগনের খুলনায় যেয়ে চিকিৎসা নেওয়া খুবই কঠিন। আমার এলাকা কলারোয়াতে তেমন কোন চিকিৎসালয় নেই। মানুষ ভাল চিকিৎসা পায় না। তাই কলারোয়াতে একটি হাসপাতাল খুবই প্রয়োজন। বিনা চিকিৎসায় বহু লোক মারা যায়। অনেক রেকর্ড আছে।” তখন বঙ্গবন্ধু একটু নিরব থেকে বললেন তুই বাড়ী যেয়ে জায়গা ঠিক কর সব ব্যবস্থা আমি করছি। এই ভাবে মমতাজ আহমেদ কলারোয়াতে এসেই ৫ বিঘা জলাকার ক্রয় করে কলারোয়া উপজেলা সদর হাসপাতালটি নির্মান করেন। এই ভাবে বঙ্গবন্ধুর অতি নিকটে থেকে জনাব মমতাজ আহমেদ শুধু সাতক্ষীরা জেলায় নয় বাংলাদেশে একজন প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় নেতা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন। তিনি অত্যান্ত সাদাসিদে একজন ব্যক্তি। সাধারন পোষাক পড়তেন, সাদা লুঙ্গি, সাদা পাঞ্জাবি,হাতে একটা ছাতা একটা লাঠি এবং পায়ে একজোড়া অতি অল্প দামের নাগরা জুতা। ইনাকে কারোর সংগে তুলনা করা যায় না। উনার তুলনা উনি নিজেই। তিনি যে শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন তা নহে। তিনি দীর্ঘ ২৪ বছর শিক্ষাকতা করেছেন। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অত্যন্ত যোগ্যতার সাথে পালন করেছেন। তিনি অনেক প্রবন্ধ, ছোট গল্প, কবিতা ও গান রচনা করেছেন। বৃটিশ শাসনামলে বা পাকিস্তান শাসনামলে রাজনীতি করা খুবই কঠিন। অত্যন্ত দৃড়তার সাথে সকল ধরনের মানুষের সংস্পর্শে থেকে তার রাজনীতিকে তিনি ইতিবাচক করে গড়ে ছিলেন। এই সাতক্ষীরা জেলার গ্রাম থেকে গ্রামে পাড়া থেকে মহল্লায় সব জায়গাতে। সুতরাং দক্ষিন বঙ্গের এই কীর্তিত পুরুষ মমতাজ আহমেদ এই কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। রুশ বিপ্লব, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ব্রিটিশ বিরোধী সমস্ত সংগ্রাম, দেশ বিভাগ, পাকিস্তানের তেইশ বছরের নব উননিবেশী শাসন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম ও বিকাশ সব জড়িয়ে আছে এই মহান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ মমতাজ আহমেদ এর সুদীর্ঘ জীবন ও কর্মের সাথে। এসবকিছুর ফলশ্রুতিতে ২০২১ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু তার এ অর্জন তিনি নিজ হাতে গ্রহণ বা দেখে যেতে পারলেন না। তিনি ছিলেন এককথায় আদর্শের প্রতীক। সততা, নিঃস্বার্থতা, মানবতা ছিল তার চরিত্রের ভূষন। তার এই পরিচ্ছন্ন চিন্তা চেতনা নির্মানে মহৎ মানুষদের চরিত্রাদর্শ ও জীবনাদার্শ বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুই ছিলেন তার কাছে শ্রেষ্ঠ প্রেরনা। জন্মদাতা হওয়া খুবই সহজ কিন্তু ভাই ও বন্ধু হওয়া খুবই কঠিন। বাবা হওয়া আরও কঠিন। মমতাজ আহমেদ মৃত্যুর আগমুহুর্ত পর্যন্ত পালন করেছেন ভাই ও বন্ধুর ভূমিকা। ভাই বা বন্ধু হিসাবে তার মানবতার চর্চা দীর্ঘ কালের কখন ও কখনও কারোর পথের সাথী, প্রানের সাথী, আড্ডার সাথী, কর্মের সাথী হয়ে কাটিয়েছেন। এক আনন্দিত জীবন, স্থবিরতা ও জড়তাকে জীবনে কখনও প্রশ্রয় দেন নি। ইস্পাত কঠিন দৃড় প্রত্যয় নিয়ে সব সময় এগিয়েছেন এবং সফল ও হয়েছেন। প্রশ্রয় দিয়েছেন মহান প্রানতাকে, প্রগতিকে এবং গতিময়তাকে। তিনি সর্বদাই নামাজ আদায় করতেন এবং আল্লাহর কাছে সবসময় মানুষের কল্যারে জন্য দোয়া চাইতেন। মানুষের বিশ্বাস, ভালোবাসা, মমতা ও ভক্তি নিয়েই তিনি সারা জীবন কাটিয়েছেন। তিনি ছিলেন হাসি খুশি খোলা মেলা রঙে রসে টইটম্বুর একজন মানুষ। শুধুমাত্র তার মধ্যেই আমরা বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ পরিবারটিই খুজে পাই। রেনেসাঁ বাসিত মানুষের স্বভাব, যা এককালে ছিল খুবই দূর্লভ্ ৯৪ বছর বয়সেই অর্থাৎ মৃত্যুর একদিন আগেও তিনি প্রতি নিয়তের মত আমাদের কলেজে সকাল ১১ টার ভিতর চলে আসতেন । বলতেন তোমরা কে কেমন আছো? তোমাদের না দেখলে যে আমার কিছুই ভাল লাগে না। বড় বিল্ডিং এর সামনে তেতুল তলায় আমরা তার জন্য রাখা চেয়ারটি দিতাম পাশে আমাদের ও কয়েকটি চেয়ার থাকতো। তার জন্য আমাদের কলেজে নির্দিষ্ট একটি মগ ছিল ঐ মগের পূর্ন এক মগ দুধচা, টাটকা ভাজা জিলাপী এবং মুড়ি। এই ছিল তার প্রিয় খাবার। এবং অতীতের বিভিন্ন গল্প, কাহিনী এবং বিশেষ করে তার সহপাঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দীর্ঘ জীবনের রাজনীতির ইতিহাসের কথা আমাদেরকে শুনাতেন। এবং ঠিক জোহরের নামাজের আগে তার ছোট ছেলে ফরিদ এসে উনাকে নিয়ে যেত। হালকা পাতলা আকারে একটু খাটো অর্থাৎ ক্ষীন কাঠামোর মানুষ ছিলেন প্রয়াত মমতাজ আহমেদ। কোন বয়সেই মোটা তাজা হতে পারেননি। শুধু মাত্র তার এলাকার এবং দেশ ও দশের চিন্তায় কাজের ব্যস্ততায় নিজের ঘোরাঘুরি ও চলাফেরাতে মানুষটা ছিল মাত্র এক মুঠো। কিন্তু ব্যক্তিত্বের ওজন ছিল শত মুঠোর। এমন মানুষটার কোন ধন সম্পদ হওয়ার কথা নয়। কোন অর্থ ও হওয়ার কথা নয়। কোন অহংকার বা গর্ব ও থাকার কথা নয়। তার সম্পদ, তার অর্থ, তার অহংকার, তার সততা, তার নিষ্ঠা, তার নীতি ও তার আদর্শ তিনি ছিলেন একজন যোগ্য পিতা। তার মৃত্যুর আগে ও পরে তার পুত্র জনেরা তাকে পিতা করে তুলেছে শ্রমে, কর্তব্যে ও সম্পর্কেও অটুট বন্ধনে। তার জ্ঞানে, মহত্বে, উদারতায়, কর্মে ও সাধনায় বড় হতে হতে ভাইয়ের সীমানা ছড়িয়ে স্পর্শ করলেন পিতার প্রতিকাশ। যেমন হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, ওয়াশিংটন, মহাতœা গান্ধী। প্রকৃত পিতা সকলেই হয় না। পিতা হয় সেই যার ভিতর থাকা ¯েœহ, ভালবাসা, প্রেম, মমতা, হৃতয়তা। তিনি তখন শুধু সন্তানের পিতা থাকেন না আরও হয়ে ওঠেন সবার পিতা বা অনেকের পিতা। যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুই ছিলেন তার একামত্র যোগ্য বন্ধু এবং আদর্শ। তার কর্মময় জীবন ও সংগ্রামী জীবনের দ্রষ্টা। বঙ্গ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি মা বলে ডাকতেন। মা শেখ হাসিনার জন্মের সময় স্বর্ণের নৌকা উপহার দিয়েছিলেন। তাই বলি যে, বঙ্গবন্ধুকে স্পর্শ করতে পেরেছে সে হয়ে উঠেছে সেনার মানুষ। সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মহা প্রানতা বুকে ধারন করতে পেরেছে তার হৃদয় হয়ে গেছে বাংলাদেশের হৃদয়। জীবন হয়ে উঠেছে বীরের এবং শিল্পের ও কবির। জনাব মমতাজ আহমেদ বিংশ শতাব্দীর সকল সংকটকে কাটিয়ে যা কিছু ভাল, শুভ, সুন্দও এবং আকর্ষনীয়, সত্য, মঙ্গলময় এবং গন মানুষের জন্য কল্যানকর তার প্রতি তন্নিষ্ঠ থেকে যাপন করে গেছেন এক ঋষিতুল্য জীবন। নির্লোভ, কালিমাহীন শ্বেতশুভ্র হরিনের ন্যায় এই মানুষটিকে তাই ভালবেসেছিলেন শুধু তার এলাকার জনগনই নয় ভালবেসেছিলেন ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুও। বঙ্গবন্ধুর কাছে ছিলেন একজন আদর্শের প্রতীক মমতাজ তাই বঙ্গবন্ধু তাকে খুবই অনুভব করতেন। সকর মানুষ ভাবতেন মমতাজ আহমেদ আমাদের নেতা, আমাদের অভিভাবক, আমাদের শিক্ষক, আমাদের গুরু, আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের ভাই, আমাদের পিতা। সে তার শিক্ষক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, সাহিত্য জীবন, সমাজ বিনির্মান জীবন, যে দিকের কথাই বলি না কেন তার প্রাপ্যকে তিনি স্পর্শ করেছেন বটে। কিন্তু তিনি শেষ জীবনে দুঃখ পেয়েছেন এই ভেবে ও দেখে যে এই দেশে শিক্ষার কদর নেই, জ্ঞানের কদর নেই, মহৎ ব্যক্তির মূল্য নেই। সত্য, সুন্দর সাধকদের সম্মান নেই। এখানে আছে শুধু দূর্নীতিবাজদের, নির্জ্ঞানদের প্রাধান্য।
আজ তুমি আমাদের পাশে নেই। নেই বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের আঙ্গিনায়। সেই চেয়ার আজ অপেক্ষা করে তোমার জন্য সেই মগ ও পড়ে আছে শুধু আরাধনা করে তোমার শান্তির জন্য। কলেজে যখন আমরা প্রবেশ করি আমাদের হৃদয়টা কেদে ওঠে। শুন্যে ভরে ওঠে শুধু অভাব অনুভব করি তোমারই। তুমি ঘুমাও শান্তিতে এই কামনা করি মহান আল্লাহর কাছে। ক্ষমা করে দিও আমাকে পুত্রের মত আমার এই না লেখার মত লেখাটিকে। স্মরন করবে বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ যতদিন বেচে থাকবে কলারোয়াতে।

লেখকঃ জহিরুল ইসলাম শাহিন
সহকারি অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ