HEADLINE
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে সজিনা গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় পলাতক আসামি যশোরে গ্রেপ্তার দেবহাটায় নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে শিশুর ম’র্মা’ন্তিক মৃ’ত্যু সাতক্ষীরায় দু’বস্তা ফেনসিডিল’সহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

কলারোয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকার ভোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৫৪৫
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ১ নং জয়নগর ইউনিয়নের খোরদো বাটরা এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পের কয়েকজন  উপকার ভোগীদের থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়  ইউপি সদস্যে বজলুর রহমানের  বিরুদ্ধে।


প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম ধাপের  ১৭টি ঘরের নির্মান কাজ কলারোয়া উপজেলার আগের ইউএনও মৌসুমী জেরিন কান্তার সময়ে শুরু হয়ে তা শেষ হতে দেরী হয়। মাত্র  মাস তিনেক আগে উপকার ভোগীদের কাছে সেই ১৭টি ঘর এবং পরে  আরো ২টি ঘর মোট ১৯টি  হস্তান্তর করা হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানকার বসবাসরত উপকার ভোগীদের নিকট থেকে  টাকা নিয়ে ঘরের নির্মানকাজ অথবা মাটি ভরাট কাজ করার অভিযোগ তুলেছে খোদ সেখানকার বসবাসরত উপকার ভোগীরা। অভিযোগের তীর সরাসরি নির্মান কাজের সাথে সম্পৃক্ত ওই খোরদো বাটরা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বজলুর রহমানের দিকে।জয়নগর ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পের ১০ নং ঘরের মালিক আব্দুল ওহাব অভিযোগ করে সাংবাদিককে বলেন- ঘর পাওয়ার আগে আমার নিকট স্থানীয় মাহফুজার মালির ছেলে হুমায়ুন আমার নিকট ২০ হাজার টাকা দাবী করলে আমি একজন ভ্যানচালক হয়েও অনেক কষ্ট করে ধার দেনা হয়ে ১৫ হাজার টাকা তুলে দিই, সেই টাকা আবার হুমায়ুন মেম্বর বজলুকে দেয়।এদিকে মাহফুজার মালির পুত্র হুমায়ুন বলেন- আব্দুল ওহাবের আমি খুব বিশ্বস্থ হওয়ার কারনে একদিন আব্দুল ওহাব আমার কাছে বজলু মেম্বরের সামনে ১৫ হাজার টাকা তুলে দেয় আমি সেখানেই মেম্বর বজলুকে সেই ১৫ হাজার টাকা বুঝ করে দিই।
আবাসন প্রকল্পের ৬ নং ঘরের মালিক সাইদুলের স্ত্রী ফাতেমা বলেন- বজলু মেম্বর ঘরের ভিট মাটি ভরাট করার জন্য  আমাদের নিকট ২০ হাজার দাবি করলে স্থানীয় নেছার আলীর ছেলে আমার ভাশুরের মাধ্যমে ১৯ হাজার টাকা দিয়েছি। 


৮ নং ঘরের মালিক আখের রস  বিক্রতা মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী  রুপালি বলেন- বজলু মেম্বর ৬মাস আগে ঘরের ভিট মাটি ভরাট করার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবী করে, বলে টাকা না দিলে ঘর তোমরা পাইবা না পরে আমার নোনদের একটা ছোট গরু বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা আমার শশুর শাশুড়ী ও নানদের সামনেই বজলু মেম্বরকে দিয়েছি।এছাড়াও মৃত মকবুল সরদারের বিধবা স্ত্রী জোহরা খাতুনের নিকট মোবাইলে ১৫ হাজার টাকা দাবী করেন বলেন অভিযোগ করেন। জোহরা একটাকা ও দিতে পারবেনা সাফ জানিয়ে দেয় জোহরা।এর পরে ঘরে বালি দেওয়া বাবদ ১৫শত টাকা দিয়েছি মিস্ত্রি ইলিয়াসের কাছে বলেও জানান জোহরা।স্থানীয় ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বলেন- আমি কোন উপকার ভোগীদের নিকট থেকে একটি টাকাও নেইনি।  আমাকে ফাঁসানো জন্য সাজানো নাটক তৈরি করছে। ১৯টি ঘরের মধ্যে মাত্র ৩ জনের অভিযোগ টাকা নেওয়ার এটা সত্য নয়। এছাড়া  ঘর তৈরির সময় নিকটে মাটি না থাকার দরুন বাইরের থেকে ট্রাকে করে মাটি এনে ঘরের ভিট মাটি ভরাট করা হয়েছে আমার মাধ্যমে সে টাকাও সব আমাকে পরিশোধ করেনি। ফলে খোর্দ্দ বাটরা ভূমিহীনদের ও গৃহহীনদের পূর্ণবাসনের জন্য নীচু জায়গায় মাটি ভরাটের নামে ঘরের ভিট ভরাটের ৬৮ হাজার টাকা দেওয়ায় জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন আল মাসুদ কে সভাপতি করে ৫ সদস্যের বরাবর ৬২ হাজার টাকার প্রকল্প দিলেও চেয়ারম্যান আমাকে না জানিয়ে গোপনে সেই টাকা উঠিয়ে নিয়েছে।  আমার পাওনা ৬৮ হাজার ও আগের বাবদ ১০ হাজার মোট প্রায় ৮০ হাজার টাকা মতো আমি পাবো। সেই টাকা চাওয়াতে আজ ৬ মাস পরে লোক সাজিয়ে আমার নামে নাটক তৈরী করছে।


এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন আল মাসুদ বাবু বলেন- উপকার ভোগীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আমি আগে জানতাম না তবে এব্যাপারে ইউএনও মহোদয়ের নিকট অভিযোগ হয়েছে। চেয়ারম্যান বাবু আরো বলেন- প্রকল্পের  ৬২ হাজার টাকা তুলে আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট দিয়েছি। আমি বজলু মেম্বরকে কেন দিতে যাবো?


বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিককে বলেন- আমি শুনেছি উভয় কে ডেকে তন্তদ পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ