HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

কলারোয়ায় উন্নয়ন পরিষদ (উপ) দুর্নীতি, জালিয়াতি ও প্রতারণা (পর্ব-১)

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৬০৫
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

 

 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন “চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি” (পিইডিপি-৪) এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ “আউট-অব-স্কুল চিলড্রেন কর্মসূচি” উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে সারা দেশে চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলার ৬ টি উপজেলার ঝড়ে পড়া শিশুদের জন্য চালু করা হয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম। 

“সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা সার্স” নামক বেসরকারী সংস্থা সাতক্ষীরা জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য লিড এনজিও হিসেবে নির্বাচিত হয়। সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা সার্স লিড এনজিওর  সাথে উন্নয়ন পরিষদ (উপ) চুক্তিবদ্ধ হয়ে কলারোয়া উপজেলার দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই নানা ধরনের অনিয়মের মধ্যে দিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় ৩৬ কোটি টাকার কর্মসূচীতে জেলার ৬ টি উপজেলায় মোট ৪২০ টি স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা রয়েছে। কলারোয়া উপজেলায় ৭০টি স্কুল দেখায়ছে।  প্রতিটি স্কুলে ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী থাকবে। অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী এখানে ভর্তি করা যাবে না।ছাত্র-ছাত্রী বয়স হবে ৮থেকে১৪বছর। উপজেলায় ১জন উপজেলা কর্মকর্তা ও ৫ সুপারভাইজার। প্রতিটি স্কুলে ৫হাজার  টাকা বেতনে একজন শিক্ষক নিয়োগ থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দর ও পরিস্কার পরিবেশে পাঠদানের জন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে জন্য ১৫ শত টাকা ভাড়া, কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ৬/৭শতটাকা। শিক্ষা কেন্দ্র ডেকোরেশন খরচ ৫০০০টাকা, ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক ভাতা জনপ্রতি ১২০ টাকা করে ৩৬ মাস, ফ্লোর খরচ ৫ হাজার, ৩ হাজার টাকা বাজেটের ফ্যান কিন্তু কোনো স্কুলে ফ্যান নাই। লিউব লাইন পানির জার ,স্টিলের ট্রাঙ্ক ,জাতীয় পতাকা ,সাইনবোর্ড ,হাতল আলা চেয়ার ,টুল ,স্কুল ব্যাগ, স্কুল ড্রেস ,শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড ,টিচিং এইডস এবং গেমস উপকরন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একবারেই ভিন্ন চিত্র। স্কুলের যে উপকরণ দেওয়া হয়েছে নিন্মমানের।

শিক্ষাথীদের বিভিন্ন মানুষের বারান্দায়,গোয়াল ঘরে, চলছে ক্লাস। কোন প্রতিষ্ঠানেই সঠিক কোন নিয়ম কানুনের কোন বালাই নাই। একনো কোন ছাত্র ছাত্রীকে একটি ভাতার টাকাও স্কুল ব্যাগ, স্কুল ড্রেস ,শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড দেয়া হয়নি। বেশী ভাগ স্কুলে বন্ধ থাকে। প্রতেকস্কুলে ৩০ জন করে ঝরে পড়া বাচ্চা নেওয়ার কথা সেটা হচ্ছে না। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীবাদে মাদ্রাসা,কিন্ডার গার্ডেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী নেওয়া হয়েছে। তৈলকূপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন আমরা গ্রামে কোনো ঝরেপড়া শিক্ষার্থী নাই তুলশিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন আমরা গ্রামে কোনো ঝরেপড়া শিক্ষার্থী নাই স্কুলে ,মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এছাড়া বেনামি ভূয়া শিক্ষার্থী দিয়ে স্কুল চালাচ্ছে। পাঁচপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন আমরা বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বিকেলে পড়াশোনা করাছে আমি এনজিও কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছি তারা কোন ব্যাবস্থাত করে নাই। কোন ঝরে পড়া ছাত্র-ছাত্রী নাই। 

এ বিষয়ে” উন্নয়ন পরিষদ ( উপ) ” এনজিওর নিয়োগ প্রাপ্ত একাধিক শিক্ষিকা জানান, ঝড়েপড়া শিক্ষার্থী ২/৪ জন পাওয়া যায় এখন এসব এলাকায় ঝরেপড়া শিশু পাওয়া যায় না।তারপরও আমরা চেষ্ঠা করছি ঐ সকল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে আনার। তারা জানান খাতা কলমে ২৭ থেকে ৩০ জনার নাম থাকলেও প্রতিদিন হাজির হয় ৫/৮ জন। তাদের মধ্যে ১/২ জন ঝড়ে পড়া শিশু রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা শিক্ষা কেন্দ্রে সাইনবোর্ড ভিতরে,একটি রান্না ঘরে ক্লাস হচ্ছে ৭ জন শিশু তাদের মধ্যে একজন ও ঝড়ে পড়া শিশু না। তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। এরকম চিত্র সারা উপজেলাতে। “উন্নয়ন পরিষাদ (উপ)” কাছে একাধিকবার কেন্দ্র সমূহের ও ছাত্র-ছাত্রী তালিকা চাইলে নানান বাহানায় তালিকা দিতে ব্যর্থ হন। এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এনজিও “উন্নয়ন পরিষাদ (উপ) ” এর বিরুদ্ধে। কলারোয়া উপজেলার অন্য প্রতিষ্ঠানের একাধিক ছাত্রের অবিভাবক জানান, আমাদের সন্তানদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার কথা জানালেও তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলে ছেলে মেয়ের তালিকা নিয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে আর আমাদের সন্তানদেরকে তাদের প্রতিষ্ঠানে পড়াতে আগ্রহী নই।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের  ১মাসের বেতন দিয়েছে।শিক্ষার্থী জরিপের জন্য প্রত্যেক কেন্ত্রে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ থাকলেও কোন জরিপকারীকে তা পরিশোধ করে নাই। কলারোয়া উপজেলার একাধিক জরিপকারী বলেন, প্রথম থেকে জরিপের কার্যক্রম পরিচালনা থেকে শুরু করে ফটোকপি, যাতায়াত, ভাতার জন্য কোন টাকাই পাই নাই। আজ না কাল বলে কালক্ষেপন করছে। কবে টাকা ফেরত পাব তা জানি না।

 উপজেলা কর্মকর্তা সহ প্রত্যেকের নিকট থেকে জামানতের নামে অর্থ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ সহ কেন্দ্র শিক্ষকদের কাছে থেকে পরীক্ষা কথা বলে বে-আইনী ভাবে (২০০০-২৫০০)   টাকা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

এছাড়া এসকল কর্মকর্তাদের দিয়ে নানাবিধ, দুর্নীতি, জালিয়াতি, প্রতারণা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা করে। রাজি না হলে তাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ হুমকী-ধামকী ও হয়রানীমুলক পদক্ষেপ গ্রহন করতো।

উপজেলা ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বলেন আমরা কোনো টাকা পাইনাই স্কুলের ফ্যান দেওয়া হয় নাই।

 “উন্নয়ন পরিষাদ (উপ) ” নির্বাহী পরিচালক আঃ সালাম বলেন

 এবিষায় সাতক্ষীরা জেলার সহকারী পরিচালক হিরামন কুমার বিশ্বাস বলেন জরিপের টাকা দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না

 “উন্নয়ন পরিষাদ (উপ) ” বিগত দিনে  ত্রান দেওয়া নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে একাধিকবার জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ জজ প্রকাশিত হয়। কলারোয়া উপজেলা ছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলার জামালগজ্ঞ উপজেলায় ২১৩টি স্কুল চালাচ্ছে অনিয়ম ও কারচুপির মাধ্যমে…….. দ্বিতীয় পর্ব দেখুন।

                  ——- চলবে


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ