সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঝাউডাঙ্গায় বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্টান সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ঝাউডাঙ্গা জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মাস্টার আনিছ উদ্দিন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রমজান আলী বিশ্বাস, কৃষকলীগ ঢাকা উত্তরের সহ-সভাপতি এম মাসুদুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আশরাফুজ্জামান বাবলু।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মইনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের মোঃ সোহরাব হোসেন সাজু, সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদ হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রেজা, সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন বাপ্পি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুজিবুর রহমান সমগ্র অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ আহবায়ক শেখ আব্দুর রশিদ। অলোচনা সভা সঞ্চলনা করেন ছাত্রলীগ নেতা রানা ঘোষ। সমগ্র অনুষ্টানের আয়োজন করেন ঝাউডাঙ্গা পাপড়ী এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বলেন, বিজয়ের ৫০ বছর। ৫০ বছর আগেও বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের কোন দেশ ছিল না। দীর্ঘ ৯টি মাস মা বোনের সতিত্ব ও রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছিল এ দেশ । বাংলার প্রায় ৭ কোটি বাঙ্গিলী আস্ত্রো ধরেছিল এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য। ৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু যে দেশেকে আলোর পর দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই পাকিস্তানের তাবেদাররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। ৭১’র মুক্তিযোদ্ধারা ছিল বঙ্গবন্ধু সব চাইতে বড় ভুল। সেটা প্রমান করার চেষ্টা করেছে পাকিস্তানের দোষরা। কিন্তুু সেই ভুল ধারণা পালটে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশকে রোল মডেলে পরিনত করেছেন। এই বিএনপি জামায়াত বাংলাদেশের অস্তিত্ব অস্বীকার করে। আওয়ামীলীগ ভূইফোড় সংগঠন না। স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে উন্নয়নে অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্থ করার জন্য বিএনপি জামায়াত উঠে পড়ে লাগে। ষড়যন্ত্র করে বিশ্বব্যাংকের টাকা বন্ধ করে যে পদ্মা সেতু নির্মানে বাধা গ্রস্থ করেছেন। সেই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে গেলে খালেদা জিয়াকে ১৬ কোটি জনগনকে জবাব দিতে হবে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গৌরবর। আওয়ামীলীগ সরকার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জন্য অশির্বাদ। পাকিস্থানি পেত আত্মারা যেন এই বাংলাদেশের গৌবর নষ্ট করতে না পারে। সেটা দেখার দায়িত্ব আমার আপনার। আমার। করোনায় মৃত সকলের শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিটি সুসময়ে আপনাদের সাথে থাকবে।