HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন

‘কলেজে শহীদ মিনার নেই, তাই ফুল দিতে পারি না’

মোমিনুর রহমান সবুজ / ৮০৩
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

কলেজ আছে। নেই শহীদ মিনার। একুশে ফেব্রুয়ারি’র আয়োজন হলেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারেনা তিন হাজার শিক্ষার্থী ও শতাধিক শিক্ষক। যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক।

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে বীর বাঙালি এদিন রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। তাদের স্মৃতিকে স্মরণ করতে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার। সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের কোল ঘেঁষে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঝাউডাঙ্গা কলেজ। যার প্রতিষ্ঠাতা সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব এসএম শওকত হোসেন। তবে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো শহীদ মিনার তৈরি হয়নি। এতে কলেজটির শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে না ভাষার সঠিক তাৎপর্য, জানতে পারছে না ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্ব। ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। তবে প্রতিবারের মতো এবারও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো ঝাউডাঙ্গা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ওই কলেজের ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী রিয়া পারভীন জানান, কলেজে শহীদ মিনার নেই, তাই ফুল দিতে পারি না। করোনার জন্য কলেজ বন্ধ থাকায় এখন কলেজেও যাওয়া হয়না। তাছাড়া শহীদ মিনার না থাকার কারণে ২১শে ফেব্রুয়ারি ভালোভাবে পালন করতে পারি না। এছাড়া ওইদিন কোনো ছাত্র-ছাত্রী কলেজে আসতে চায় না।

অনার্স ৪য় বর্ষের ছাত্র সুব্রত ঘোষসহ অনেক শিক্ষার্থীরা জানান, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি সেই শহীদদের জন্য আমরা গর্ব করি। দুঃখের বিষয় আমাদের কলেজে শহীদ মিনার নেই। আমাদের কলেজে একটি শহীদ মিনার তৈরির দাবি জানাই।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি বিগত ২৫ বছর সুনামের সহিত পরিচালিত হচ্ছে। জেনেছি ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় ব্যাপক সাফল্যের সাথে এ কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। তবে এ সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানটিতে শহীদ মিনার না থাকায় তারা দুঃখ প্রকাশ করেন। তাই অচিরেই দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানান।

ঝাউডাঙ্গা কলেজের প্রভাষক হাসান মাহমুদ রানা, প্রভাষক মাসুদ ইসলাম, প্রভাষক আসাদসহ অনেক শিক্ষকই জানান, অন্য সব কলেজ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে তারা ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করে। আমাদের কলেজে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত ভাবে দিনটি পালন করতে পারি না। তবে এক-দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে ঝাউডাঙ্গা হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে নির্মিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকি। তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুতই কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি।

ঝাউডাঙ্গা কলেজ অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান বলেন, ১৯৯৭ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলেও গড়ে ওঠেনি শহীদ মিনার। একাধিকবার জনপ্রতিনিধিরা শহীদ মিনার তৈরির আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। তবে ইতিমধ্যে জেলার যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসকল প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরী করে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছি। আশাবাদী দ্রুত প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন হলে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারবো।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ