HEADLINE
কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে সজিনা গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় পলাতক আসামি যশোরে গ্রেপ্তার
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন

কলারোয়ায় ভূয়া স্বাস্থ্যকর্মী দেখিয়ে করোনার টিকা ক্যাম্পের লক্ষ লক্ষ টাকা লুট!

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৬০৪
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে করোনার টিকা ক্যাম্পের ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবকদের কয়েক লক্ষ টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুত্র মতে জানা যায়, উপজেলায় করোনার ভ্যাকসিন ক্যাম্পের জন্য উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ আসে। প্রতিটি ইউনিয়নের সাবেক ৩টি ওয়ার্ডের
প্রতিটি ওয়ার্ডের ৮টি ইউনিটে ২ জন করে ভ্যাকসিনেটর ও ৩ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকার কথা। সেই হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়নে ১ম ডোজ এবং ২য় ডোজ মিলে ১৬টি সেশনে ভ্যাকসিনেটরের ডিউটি হবে ৯৬ জনের ও স্বেচ্ছাসেবকের ডিউটি হবে ১৪৪ জনের। তাহলে উপজেলায় মোট ভ্যাকসিনেটরের ডিউটি হবে ১১৫২ জনের ও স্বেচ্ছাসেবকের ডিউটি হবে ১৭২৮ জনের। প্রতিটি ডিউটিতে ভ্যাকসিনেটর পাবেন ৫০০ টাকা হারে ও স্বেচ্ছাসেবকরা পাবেন ৩৫০ টাকা হারে। তাহলে উপজেলায় মোট ভ্যাকসিনেটররা পাবেন ৫ লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার টাকা ও স্বেচ্ছাসেবকরা পাবেন ৬ লক্ষ ৪ হাজার ৮ শত টাকা। কিন্তু বাস্তবের চিত্র ভিন্ন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, করোনার টিকা ক্যাম্পে অধিকাংশ জায়গায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটের স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারী দুই জন মিলে ক্যাম্প পরিচালনা করেছেন। কিন্তু কাগজে কলমে প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিটে ৩ জন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেখিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট করা হয়েছে। যেমন হেলাতলা ইউনিয়নে আবেদা খাতুন, কয়লা ইউনিয়নে শিরিনা খাতুন, দেয়াড়া ইউনিয়নে নাসিমা খাতুন ও মনোয়ারা খাতুন, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে কোন পরিবার কল্যান সহকারী নামে কেউ না থাকলেও এই সমস্ত ভূয়া ভ্যাকসেনেটর নাম দেখিয়ে টাকা লোপাট করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের করোনা ভ্যাকসিন ক্যাম্পের কোনো টাকা বরাদ্ধ না থাকলেও এ সমস্ত টাকা সকলে মিলে ভাগ বাটোয়ার হয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে যে সমস্ত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা করোনা ভ্যাকসিনের কাজ করেছেন অধিকাংশ কর্মীরা জানিয়েছেন কোন স্বেচ্ছাসেবক না নিয়েই তারা স্বেচ্ছাসেবকদের টাকা ভাগ করে নিয়েছেন। তারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট। এ বিষয়ে ইপিআই টেকনেশিয়ান কাজী নাজমুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সকলের টাকা স্বাস্থ্য সহকারীদের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা কি করেছেন সেটা তারা ভাল বলতে পারবেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান জানান, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। তবে আপনার মাধ্যমে জানলাম বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা: হুসাইন শাফায়েত এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এখন জরুরী কাজে কর্মস্থলের বাহিরে থাকায় এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। তবে আসার পরে শুনে বলতে পারবো।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ