HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন

পরিশ্রম ছাড়া শুধু প্রতিভায় কাজ হয় না

জহিরুল ইসলাম শাহিন / ৮৬০
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২

কঠোর অনুশীলন ছাড়া যেমন সুস্বাস্থের অধিকারী হওয়া যায় না, তেমনি কঠোর পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কোন ভাবেই সফলতা ধরে রাখা যায় না। উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য চেষ্টার নাম সাধনা, আর কোন কাজে সফলতা পেতে হলে সাধনার প্রয়োজন, এই সাধনার সফলতায় জীবনে যে জিনিসটার খুবই প্রয়োজন সেটা হলো কঠোর ভাবে অধ্যায়ন অর্থাৎ লেখাপড়া এবং গন্তব্যে পৌছাতে হলে চাই অধ্যাবসায়। যারা সমগ্র পৃথিবীতে অনেক বড় হয়েছেন পিছনে আছে শুধু অধ্যাবসায়, যিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষনা করেছেন, পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি হয়েছেন বিজ্ঞানী এবং যিনি আবেগ ও ভাব দিয়ে কিছু রচনা করেছেন তিনি হয়েছেন কবি সুতরাং আমরা একটু ভাবলেই বুঝতে পারি মানুষ যা কিছু আবিস্কার এবং বার বার চেষ্টা করে দেখে তখনই সে সফল হয়। আর এর পিছনে যে শ্রম ও মেধা ব্যয় হয় সেই টাই সফল শিক্ষা এবং সফল অধ্যাবসায়, কোন রকম সফলতা আসবে না অধ্যাবসায় ছাড়া। শত বাধাবিঘেœর সাথে লড়াই করে যে জয়ী হতে পারে সেই জীবনে উন্নতি করতে পারে। সুতরাং মানুষের জীবনে উন্নতির জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন এবং নির্ভরযোগ্য সোপান হচ্ছে গভীরভাবে মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করা। সফলতা অর্জনের জন্য যে জিনিষটা বার বার প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে একটি সুন্দর অভ্যাস গড়ে তোলা এবং সুন্দর অভ্যাস ও মনোযোগ সৃষ্টি করা বড় গুন। প্রকৃত পক্ষে বা বাস্তবে সাধনা মানব চরিত্রের কতগুলো বৈশিষ্টের সমাবেশ ঘটলে উদ্দ্যোগ, মত, যুক্তি, পরিকল্পনা, আন্তÍরিক মনোবল এবং বিশেষকরে পরিশ্রম একত্রে সংমিশ্রন ঘটিয়ে অধ্যাবসায়ের পরিপূর্ণ রূপ সৃষ্টি করে। মনের দৃঢ় প্রত্যয় এবং সংকল্প নিয়ে যে কোন কাজে আতœনিয়োগ করার সাথে সাথে চরিত্রের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গুলি যখন বিভিন্ন কাজে লাগানো হয় তখন জীবনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা ফিরে আসে। পৃথিবীর সব প্রানীই বা জীব জগত তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালায় এবং কোন এক সময় সফলতা পায় তা নাহলে পৃথিবী কোন এক সময় থমকে যেত, নিজস্ব গতিতে চলতে পারতো না। সুতরাং মানব চরিত্রের সকল বৈশিষ্ট্য কর্ম প্রবাহে ফুটিয়ে তুলতে হবে। জীবন চলার পথে যে সব বাধা থাকে সে সব জয় করতে না পারলে আমাদের জীবনের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ সম্ভব নহে। হৃদয়ের প্রবল শক্তি, মনোবল এবং সাহস দিয়ে সব বাধা জয় করতে হবে। প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবং সাধনা ও দৃঢ় আত্মপ্রত্যয় দিয়ে, সেইটা সম্ভব। মানব সন্তান হিসাবে ভূমিষ্ট হলেই তাকে প্রকৃত মানুষ বলা যায় না। যে দিনে পাঁচ ওযাক্ত নামাজ পড়ে সর্বদা মাথায় টুপি পরে এবং সুন্নতী দাড়ী রাখে হয়তো বা সে একজন ভাল নামাজী, প্রতি বছর পবিত্র রমযান মাসে পুরা ত্রিশটি রোযা রাখে হয়তো বা সে একজন ভাল রোযাদার এবং পারিবারিক এবং আর্থিক দিক বিবেচনায় হজ্জব্রত পালন করেছেন হয়তো বা একজন ভাল হাজী সাহেব হতে পারেন। কিন্তু আসলে আপনি একজন সত্যি কারের ভাল মানুষ কিনা, ভাল মানুষ হতে পারলেন কিনা আপনি সৎ কিনা, অত্যন্ত লোভী স্বার্থপর কিনা, মানুষ আপনাকে ভালবাসে কিনা, আপনাকে কেহ শ্রদ্ধা সম্মান এবং পছন্দ করে কিনা, এটাই বিবেচ্য বিষয়, চিন্তার বিষয়, ভাবনার বিষয়। নিয়ম নীতি মেনে আদর্শিক উপায়ে ব্যবসা বানিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত উপায়ে কোন ভাবেই অনেক ধনী বা প্রচুর অর্থের মালিক হবার কোন পথ আছে বলে মনে হয় না। বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থায় চাকরী করে বা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বা মন্ত্রনালয়ে চাকরী করে কোটিপতি হওয়া বা বড় বড় দালান কোঠার মালিক হওয়ার কোন রাস্তা আপনার সামনে খোলা নেই। শুধুমাত্র হীন স্বার্থ চরিতার্থ করা ছাড়া, অর্থ ফাকী দেওয়া ছাড়া, ঘুষ দূর্নীতি করা ছাড়া ধনী লোক হবার কোন পথ খোলা নাই। সুতরাং আপনাকে লোভ লালসা ভূলে যেতে হবে, মানব সেবায় ব্রতী হতে হবে, সাধারণ মানুষের পাশে দাড়াতে হবে, ধর্মের বিধি বিধান মেনে চলতে হবে, সৎ মানুষ হতে হবে, মানুষকে ভাল বাসতে হবে, মানুষের সান্নিধ্যে আসার জন্য সততার সাথে চেষ্টা করতেহবে। হিংসা দ্বেষ, ক্লেস, লোভ লালসা, ঘুষ, দূর্নীতি একেবারে জীবন থেকে মুছে ফেলতে হবে। একটাই উদ্দেশ্য দেশকে ভালবাসতে হবে, দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হব্ েআর এর পিছনে দরকার সততা আদর্শ, পরিকল্পনা ও অধ্যাবসায়। দেখবেন, আপনি সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠবেন। এক কথায় আপনি ভাল মানুষে পরিণত হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন মনে হয় বাংলাদেশে শিক্ষার হার ছিল ১৭% (প্রায়) ঐ সময় কোরিয়ায় শিক্ষার হার ছিল সম্ভবত ১৪% এবং মধ্য প্রাচ্যের ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ আমাদের দেশ থেকে শিক্ষা দীক্ষায়, শিল্পে বানিজ্যে সামাজিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আন্দোলনে সংগ্রামে বাদ প্রতিবাদে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহস নিয়ে কাজ করায় অনেক পিছনে ছিল্ আজ কোরিয়া তাইওয়ান, হংকং, মালয়েশিয়াসহ মধ্য প্রাচ্যের এবং এশীয় অঞ্চলের অনেক দেশের অবস্থান কোথায় আর আমাদের অবস্থানটা কোথায়? তাদের সফলতার পিছনে রয়েছে প্রচেষ্টা, সাধনা, সততা ও অধ্যাবসায়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিল্পে উন্নত হতে হবে, ঘুষ দূর্নীতি, শাসন শোষন বন্ধ করতে হবে এটাই তাদের নীতি। আর আমরা বীরের জাতি হয়েও বিশ্ব মানচিত্রে দূর্নীতিরে দেশ হিসাবে পরিচিত। আমরা অনেক ঘৃনার আমাদের অনেকটা ছোট হয়ে থাকতে হয় সুতরাং আমাদেরকে ঐ সমস্ত দেশের মানুষের কাছ থেকে শিক্ষ নেওয়া উচিত। অধ্যাবসায়, ধ্যান, ত্যাগ, শিক্ষা, সততা, নীতি ও আদর্শ ছাড়া কোন কিছুই স্ভব নয়। আমাদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অকুতোভয় সাহসী সৈনিকের মত ভয়কে জয় করে বাধাকে অতিক্রম করে কাজে কর্মে উদ্ধত উচ্চারন হয়ে দূর্বার সাহস নিয়ে দেশকে ও দেশের মানুষকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। মানব সভ্যতার বিকাশের ইতিহাস অধ্যাবসায়ের মহৎ গুনের সংগে জড়িত। জীবনের পরিবেশের প্রবল প্রতিফলতার মধ্যে শুধু সাধনার মাধ্যমে সাফল্যের সোনালী শিখরে পৌছানো যায়। “এক দিন আমরা করবো জয়।” এ অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করতেই হবে ইস্পাত কঠিন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। আমাদের মনে রাখতে হবে, “রাতের আঁধার কেটে যেমন দেখা দেয় দিনের আলো, তেমনি বার বার চেষ্টার পর মানুষের ভাগ্য আকাশে উদিত হয় সফলতার বা সাফল্যের শুকতারা।” জীবনের প্রথম ব্যর্থতাকে মনে করতে হবে সাফল্যের প্রথম সোপান। তাই ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে “ঋধরষঁৎব রং ঃযব ঢ়রষষধৎ ড়ভ ংঁপপবংং” অর্থাৎ “ব্যর্থতায় সফলতার চাবি কাঠি।” জগতে যারাই বড় হয়েছেন, জ্ঞানী হয়েছেন, বিশিষ্ঠ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন বা অমর হয়েছেন প্রত্যেকেই পিছনে রয়েছে সাধনা। চিরায়ত শিল্প সাহিত্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সবই মানুষের সাধনার ফল। সমাজে বা পৃথিবীতে কেহ কেহ মনে করেন অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী না হলে বড় কাজ সাধন করা যায় না। কিন্তু মনে রাখা উচিত পরিশ্রম করা ছাড়া শুধু প্রতিভায় কাজ হয় না। আমরা এক ক্ষেত্রে বিশ্ব বিজ্ঞানী, মহা বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের কথা স্মরন করতে পরি। তিনি একদিন বলেছিলেন, “চিন্তাশীলতা এবং কঠোর পরিশ্রমের বলে দুরুহ তত্ত¡গুলোর রহস্য আমি ধরতে পেরেছি। অস্পস্টতা থেকে ধীরে ধীরে আমি স্পস্টতার দিকে উপস্থিত হয়েছি।” এছাড়া বিখ্যাত দার্শনিক ভলকেয়ার বলেছেন, “ প্রতিভা বলে কিছুই নেই। পরিশ্রম এবং চেষ্টা উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য সাধনা করে যাও। তাহলে প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে।” সমাজে অনেক মেধাবী, প্রতিভাবান ব্যক্তি বর্গ আছেন। কিন্তু তারা তাদের গন্তব্যে পৌছাতে পারেনি। কিন্তু প্রতিভা তেমন নেই মেধা ও তেমন নেই আছে দৃঢ়তা, আছে প্রত্যয়, আছে প্রচেষ্টা এবং সাধনা শুধু তারাই আজকে সমাজের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র তাদের মনোবল ও ইচ্ছা শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে। এমনকি ডাসটিন ও বলেছেন, “ লোক আমাকে প্রতিভাবান বলে কিন্তু আমি জীবনে পরিশ্রম ছাড়া আর কিছু জানি না। সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায় প্রতিভা থাকা সত্তে¡ও আলস্য পরায়ন এবং শ্রমবিমুখ ব্যক্তি কখনও জ্ঞান অর্জন বা বিদ্যার্জন করতে পারে না। অল্প মেধাসম্পন্ন হয়েও প্রচেষ্টা দ্বারা সফলতা লাভ করা যায়। আর সমাজে বা পরিবারে কেহ কারোর জন্যে সুখের উপকরণ তৈরী করে রাখে না। মানুষকে তার প্রয়োজনীয় উপকরণ নিজের যোগ্যতা দিয়ে সংগ্রহ করে নিত হয়। ঠিক তেমনি আমরা যে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বলি, জাতির জনকের স্বপ্ন পূরনের কথা বলি, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা একদিন হাসবে, একদিন মাথা উচু করে বিশ্বের সংগে তাল মিলিয়ে চলবে কখন, যখন সমগ্র বাঙালী জাতি, জাতির জন্য জাতির উন্নতির জন্য, অর্থনীতিতে শক্তিশালী করার জন্য এবং জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ধরনের প্রচেষ্টা ও সাধনা চালিয়ে যাবে সততার ও নিষ্ঠার সাথে। যে কাজগুলি আজকের দিনে গনচীন, জাপান, কোরিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল করিয়ে দেখিয়েছে তারাই বিশ্বের উন্নত দেশ। তারা আজ সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাহলে আমরা কেন পারবো না। বিশ্বের জ্ঞানী, মনীষী, আবিষ্কারক, ধর্ম প্রবর্তক, রাষ্ট্র নায়ক, কবি, সাহিত্যিক, সমাজ সংস্কারক, সবাই প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছেন। একেবারেই ক্ষুদ্র অবস্থা থেকে বিষ্ময়কর সাফল্য অর্জনের পিছনে পরিশ্রম কেমন কাজ করেছে তার নিদর্শন বিশ্বের বহু মনিষীর জীবনে বিদ্যমান। ইতিহাসের পাতা উল্টালে এ ধরনের অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রæস অধ্যাবসায়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি ইংল্যান্ডের রাজা এড-ওয়ার্ডের সংগে ছয় বার যুদ্ধে পরাজিত হয়েও হাল ছাড়েন নি। পর পর ছয়বার পরাজয়ের পর একটি নির্জন দুর্গে চিন্তায় মগ্ন ছিলেন, তখন একদিন দেখলেন একটি মাঁকড়সা সাতবার চেষ্টার পর দুটি কড়ি কাঠে সুতা জড়িয়ে জাল তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে তার অন্তর অদম্য উৎসাহে ভরে গেল। তিনি পুনরায় সপ্তম বারের মতো যুদ্ধ করে শত্রæ সৈন্যদের পরাজিত করে নিজের দেশ উদ্ধার করলেন। ইতিহাসের চির স্মরনীয় অর্ধ পৃথিবীর অধীশ্বর সম্রাট নেপোলিয়ন তার কর্মের ভিতর দিয়ে রেখে গেছেন সফলতার অপূর্ব নিদর্শন। কোন কাজকেই তিনি অসম্ভব বলে মনে করতেন না। তাই তিনিও এক দরিদ্র অসহায় পরিবারে জন্ম গ্রহন করেও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফরাসী জাতির ভাগ্য বিধাতার পদে অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হন। বিখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু বহুকাল সাধনা ও প্রচেষ্টা চালিয়ে এবং গবেষনার নতুন চিন্তাশীলতা দিয়ে উদ্ভিদের চেতনা শক্তি ও স্পন্দন সম্পর্কে তত্ত¡ আবিষ্কার করেছিলেন। এমনি ভাবে বহু মনিষী তাদের কঠোর অনুশীলন ও প্রচেষ্টার দ্বারা অবদান রেখে পৃথিবীতে অমর হয়ে আছেন। আসুন দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে, জনগনের কল্যানের স্বার্থে সবাই মিলে আমাদের কায়িক পরিশ্রম দিয়ে সততা দিয়ে, আদর্শ দিয়ে, আমাদের সাধনা দিয়ে, আমাদের প্রচেষ্টা দিয়ে সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই সামনের দিকে। মনের ভিতর যত দ্বন্দ, কু, ষড়যন্ত্র, যা কিছু আছে সব ভুলে যাই। শোষন মুক্ত, শাসন মুক্ত, ঘুষ মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত, ষড়যন্ত্র মুক্ত, স্বাধীন, মুক্ত চিন্তার ও দর্শনের বাংলাদেশ গড়ে তুলি। এজন্য শুধু দরকার মনোবল, সুন্দর হৃদয়, সততা, পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা, প্রতিভা নয়।

লেখক: জহিরুল ইসলাম শাহিন
সহকারী অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ