HEADLINE
সাতক্ষীরায় ১৫টি যানবাহন ও ৬টি মুদি দোকানে জরিমানা সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন দক্ষিণ ফিংড়িতে “শিশু যৌন নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তারুণ্য” শীর্ষক পথনাটক সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্থিতিশীলতার দিকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যুবলীগের অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান বাবু এমপি হলে সকল মানুষ পাবে উপকার সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ১ সাতক্ষীরায় গলায় ফাঁ’স দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহ’ত্যা কলারোয়ায় শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে ইট ভাঙা গাড়ি উল্টে চালকের মৃ’ত্যু বাবুলিয়ায় বি.বি ইটভাটা ধ্বংস, এস.বি.এল ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন

আমাদের শিক্ষার বর্তমান অবস্থা

জহিরুল ইসলাম শাহিন / ৪৩০
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। শিক্ষাই জাতির উন্নতির পূর্ব শর্ত। শিক্ষা মানুষকে সচেতন করে। শিক্ষা সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করে। শিক্ষা সমাজ থেকে সব ধরণের অন্ধকার দূর করে। শিক্ষা সকল বাধা দূর করে আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে সাহায্য করে। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা কোনটি ভাল কোনটি খারাপ, কোনটি ঠিক বা কোনটি বেঠিক তা সহজেই আমরা বুঝতে পারি। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা এক অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা সকল প্রকার মতভেদ বা বিভেদ ভূলে যেয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমার্শিতা নিয়ে সমাজে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার বা বসবাস করার স্বপ্ন দেখতে পারি। শিক্ষা আমাদের বিবেক বোধ জাগ্রত করে। শিক্ষা আমাদের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে নতুন নতুন ধারণা দেয়। শিক্ষা আমাদের মনকে প্রশস্ত করে। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা সুন্দর চরিত্র গঠন করতে পারি। শিক্ষা আমাদের আদর্শিক চরিত্র গঠনর মন্ত্র যোগায়। শিক্ষা আমাদের জীবনকে মহৎ করে, কিভাবে অর্জন করতে হবে, কিভাবে ব্যয় করতে হবে, কিভাবে সমাজ বা পরিবারের পরিচালনা করতে হবে, তা শিক্ষা দেয় আমাদের শিক্ষা শিক্ষা ছাড়া কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা জাতি উন্নতি করতে পারে না। সুতরাং শিক্ষার মুখ্য উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের ব্যক্তিত্বের মুক্ত প্রকাশ ও মানুষকে ্কজন আলোকিত মানুষ রূপে গড়ে তোলা। এক কথায় শিক্ষার অর্থ হল যা মানুষের মাঝের আচরণগত স্থায়ী পরিবর্তন ঘটায়। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত সে জন্যই বলা হয়ে থাকে শিক্ষা হল জাতির উন্নতি ও অগ্রগতির পূর্ব শর্ত। কিন্তু এ কথা বলা যায়, যুগ যুগ ধরে মানুষ একই রূপ ও একই মানের শিক্ষা লাভ করলে, যুগের সাথে তাল মেলাতে পারবে না। যুগ বারবার সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, শিক্ষা সে ক্ষেত্রে পেছনে পড়ে থাকবে। তাই যুগের সাতে সমানে সমানে চলতে চাই যুগে যুগে শিক্ষার মানের উন্নয়ন। আমাদের জাতির জন্য অতন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত মন ক্রমশই নিচে নেমে যাচ্ছে। এর পেছনে কারণ অনুসন্ধান করলে প্রথমেই যে সমস্যাটি চোখে পড়ে তা হচ্ছে আমাদের একটি সুপরিকল্পিত ও উচ্চ মান সম্পন্ন শিক্ষা নীতির অভাব। স্বাধীনতার পরবর্তী অর্ধশতক পার হলেও আজ ও আমাদের একটি সুষ্ঠ যথার্থ এবং সুপরিকল্পিত শিক্ষা নীতি নেই, যা একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমাদের মানে রাখা উচিৎ যে, আমাদের দেশে অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী দরিদ্র পরিবার থেকে আসছে। এমন কোন শিক্ষানীতি চালু করা যাবে না যার মাধ্যমে শুধুমাত্র পজিবাদী ধনী শ্রেণির মানুষের সন্তানেরা লেখা পড়া করার সুযোগ পাবে এবং সর্বহারা হত দরিদ্র মানুষের সন্তোনেরা বাদ পড়বে। সবার জন্য একই রকম শিক্ষা নীতি হতে হবে যেন কেহ শিক্ষা নীতির কারণে বৈষম্যের স্বীকার না হয়। তবে যদি আমরা ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দেই, দেখাবো স্বাধীনতার অব্যবহিত পর তৎকালীন সরকারের সময় ডঃ কুদরত আ খুদার নেতৃত্বে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয় এবং ঐ কমিশন যথাা সমায়ে একটি সুষ্ঠ যথার্থ ও কল্যান কামী শিক্ষানীতি প্রনয়নের জন্য তাদের সুবিন্ডিত ও বাস্তব ধর্ম কিছু রির্পোট শিক্ষা নীতিতে প্রদান করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক অরাজকতা, উচ্ছৃঙখলতা ও অস্থিরতা, সামরিক সরকারের অভ্যুথান এবং পরবর্তী সরকার গুলোর প্রতিহিংসাপরায়নতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং আমলা তান্ত্রিক জটিলতার কারণে কুদরাত ইখুদার শিক্ষা কমিশনের বির্পোট টি আর ও আলোর মুখ দেখতে পেলো না। হয়তো বা কোন কোন গোষ্ঠী বা দল বা কোন রাজনৈতিক দলের কাছে রিপোর্টের কিছু কিছু দিক সঠিক না হতে পারে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিচার বিশ্লেষন করলে দেখা যায় রিপোর্টি সকল ক্ষেত্রে গ্রহণ যোগ্য। সেই জন্য তদানীন্তন সময়ে যে সংগঠনটি ক্ষমতায় ছিল তাদের উচিত ছিল উক্ত বৈষম্যহীন শিক্ষা নীতিটি চালু করা। বিধি বাম, যে কারণেই কোন সেটা সম্ভব হলো না। আজকের আমাদের দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হয় সঠিক শিক্ষানীতি ও সুন্দর ভাবে বা ভালভাবে শিক্ষার অভাবে পরীক্ষায় ফেলের হার বেশী। লেখা পড়ায় ছাত্রদের মনোযোগ নেই। তারা জানে ভাল ভাবে না লিখলে ও বা না পড়লেও আমরা পাশ করে যাবো। এই প্রবণতা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। অধিক ছাত্র ছাত্রীর পাশের হার বাড়িয়ে কি লাভ । এত বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে এবঙ যুবক যুবর্তীরা অনেকটা নিরাশ হয়ে বিপদগামী হয়ে পড়বে। সুতরাং প্রকৃত লেখাপড়া শিখে পরীক্ষা দিয়ে যে ফল ছাত্র ছাত্রীরা পাবে সেটাই রাষ্ট্রের করা উচিত বলে আমি বিশ্বাস করি। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্ত্রাসের বাঙ্গুল্য। শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক দলের লেগুর বৃত্তি করে জীবনে অধঃপতন ডেকে নিয়ে আসছে।

লেখক: জহিরুল ইসলাম শাহিন
সহকারী অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ