দেশকে ডিজিটাল করার লক্ষে সরকার প্রধানগণ বদ্ধপরিকর। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দাপ্তরিক প্রায় সকল কাজ অনলাইননির্ভর করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ সকল সেবার প্রতিটির মান নিয়ে আছে জনগণের সীমাহীন হয়রানীর অভিযোগ। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য দেশের মোট জনসংখ্যার আজও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন সঠিক ও নির্ভরযোগ্য ডাটাবেজ নেই। যেটা হওয়া উচিৎ ছিল ডিজিটাল দেশ গরার প্রধান এবং প্রথম নিয়ামক। কিন্তু এটার প্রকৃত বাস্তবায়ন আজও পর্যন্ত জাতি দেখতে পায়নি। ভবিষ্যতে এই ডাটাবেজ করার কোন পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা তারও সঠিক কোন রূপরেখা এখনো পর্যন্ত কেউ জানেনা।

একসময় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের সকল নাগরিকের জন্য করা হয়েছিল জাতীয় পরিচয়পত্র। এই পরিচয়পত্র নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। অভিযোগ থাকাটাই স্বাভাবিক। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা যার জাতীয় পরিচয়পত্র নির্ভুল হয়েছিল। সবমিলিয়ে নিজের নাম, মাতা-পিতার/স্বামীর নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং জন্মতারিখের সমন্বয়ে ছাপা হয়েছিল এই পরিচয়পত্র। কিন্তু সামান্য এই কয়েকটা তথ্যের ভিতরে কারও কারও একের অধিক ভুল আছে। এছাড়া পরিচয়পত্রে যে ছবি সংযোজিত হয়েছিল সেটার সাথে নিজেদের চেহারা মেলাতে গেলে আমরা আঁতকে উঠি। নিন্মমানের ওয়েব ক্যামেরায় অদক্ষ কারিগরের দ্বারা তাৎক্ষণিকভাবে তোলা এসব ছবি অতি নিন্ম মানের। তাই পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার পর সকল নাগরিক নিজেদের ছবির সাথে পরিচয় পত্রের ছবির মিল খুঁজে পায়না। এছাড়া যে সমস্ত ব্যক্তিরা প্রান্তিক পর্যায়ে গিয়ে নাগরিকদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল তাদের অদক্ষতার জন্য পরিচয়পত্রে যে মাত্রারিক্ত ভুল সেটার মাশুল এখনো অনেকে বয়ে বেড়াচ্ছে। ঢালাওভাবে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, নবীন, প্রবীণ, চাকুরীজীবী, বেকার সকলের পরিচয়পত্র ভুলে ভরা। এদের মধ্যে শিক্ষিত অনেকেই এই ভুল ধরতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধনের চেষ্টা করেছে। নিরক্ষর বা যারা লিখতে পড়তে জানেনা তাদের পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার পর তাতে ভুল না সঠিক সেটা নিয়ে অত বেশি মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু ঝামেলাটা বেঁধেছে পরক্ষনে যখন পরিচয়পত্র নির্ভর কোন সরকারী সেবা নিতে হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এরপর সবাই ছুটছে পরিচয়পত্র সংশোধনের পেছনে।

কিন্তু দেশের প্রেক্ষাপটে এই ভুলের সংশোধন বেশ হয়রানীমূলক একটি কাজ। তথ্যে ভুল হতেই পারে। তাই বলে এই ভুল শুধরানোর জন্য পরবর্তী স্টেপগুলো এত বেশি ঝামেলাপূর্ণ ও দীর্ঘসূত্রিতা যেটা একেবারেই সমীচীন নয়। পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদনকারীকে অনালাইনে আবেদন করার পরে অনেক দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। এসব সেমি-অনলাইন সেবা পেতে একদিকে যেমন দীর্ঘসূত্রীতা অন্যদিকে এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ফাইল নড়াতে ঘুষখোরদের দৌরত্ব হয়রানীর মাত্রা চরমে পৌঁছে দেয়। পরিচয়পত্র বানানোর আগে তো এসব নাগরিকদের তথ্যে, নিজের নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, জন্ম তারিখের সঠিক কিনা সেটা তাদের দেখিয়ে প্রুফ করে নেওয়া হয়নি। তাহলে কেন কর্তৃপক্ষের এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য ভুক্তভোগিরা মাশুল গুনবে সেটা প্রশ্ন থেকে যায়। এসব কৃত্তিকলাপ দেশ আজ কতটা ডিজিটাল সেবার দ্বারপ্রান্তে তা ভালোভাবে মনে করিয়ে দেয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তনায়নে নাগরিকদের জন্মসনদও একইভাবে অনলাইনে ডিজিটাল করা হয়েছে। এই কাজটি করতে মানুষকে ছুটতে হয় উপজেলা পর্যায়ে নির্মিত ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে। বেশীরভাগ এসব ডিজটাল সেন্টারগুলোতেও সেবার নামে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। দেশের একজন নাগরিকের ডিজিটাল জন্ম সনদ নিতে গেলে সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ৫০ টাকা ফিস দিতে হবে। কিন্তু দেশের কয়জন নাগরিক এই ৫০ টাকার বিনিময়ে জন্মসনদ পেয়ে থাকে সেটাও সরকারের খোঁজ নেওয়া উচিৎ। একবার জন্ম নিবন্ধন হয়ে যাওয়ার পরে গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী যতবার ইচ্ছা নির্ধারিত ৫০ টাকা চার্জ পরিশোধ করার সাপেক্ষে এই জন্মসনদ নেওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু পরিস্থিতি কতটা গ্রাহক বান্ধব সেটা যারা এই ডিজিটাল সনদের পেছনে ঘুরেছে তারাই ভালো বলতে পারবে। এসব সেবা পদ্ধতি গ্রাহকের হয়ারানি হাজার গুনে বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের থেকে অবৈধ উপায়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ বলে মনে হয়।

জন্মসনদের মত ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে গেলেও একজনকে অনেক বেশি হয়রানী হতে হয়। এসব সেবা প্রতিষ্ঠানে টাকা ছাড়া কোনো কাগজ নড়ে না। বৈধ লাইসেন্স পেতে গিয়েও নিয়মের এত কড়াকড়ি দেখে মনে হয় দেশ পূর্ণ নিয়মের যাতাকলে ঢুকে গেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় অবৈধ উপায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়া গ্রাহকের সংখ্যা বৈধ লাইসেন্সধারীদের চেয়ে বেশি। সরকারী এসব অফিসে গিয়ে সেবা পেতে কতটা হয়রানি পোহাতে হয় তা শুধুমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মনে হয়, এ যেন প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের এক অবাধ প্রথা।

এরপর আসি অনলাইনে টিকিট ক্রয় এর বিড়ম্বনা নিয়ে। অনলাইনে টিকিট কাটতে গিয়ে গ্রাহককে অনেক বেশি বাড়তি চার্জ দিতে হয়। এই চার্জের পরিমান এতটা বেশি যেটা কল্পনাতীত। এ বিষয়ে প্রথমে রেলের টিকিটের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২০ টাকার একটি টিকিট কাটতে গিয়েও ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ দেওয়া লাগে। একজন যাত্রী যদি তার পরিবারের সদস্যদের একবার ট্রানজেকশনে ৪ টি টিকিট একসাথে কিনে তাহলে তাকে সর্বমোট ৮০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। আমার কথা হল গ্রাহক যদি একবার ট্রানজেকশন করে তাহলে কেন তিনি ৪ বারের চার্জ দেবে? এক্ষেত্রে একবার ট্রানজেকশান হচ্ছে তাই একবারের সমপরিমাণ চার্জ কাটা বাঞ্ছনীয়। আবার এই বাড়তি চার্জ অনলাইন টিকিটের গায়ে বা মূল টিকিটে দেখানো হয়না। অর্থাৎ এটাও এক একধরনের গ্রাহক প্রতারণা। টিকিট রিফান্ডের ক্ষেত্রেও যাত্রীদের নামে মাত্র একটা টাকা ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু অনলাইন সেবায় এটা হওয়া উচিৎ ছিল যেটা যাত্রী ব্যয় করেছে ঠিক সমপরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া। হ্যাঁ, বাইরের দেশগুলোতে এই নিয়ম বহাল আছে। সেখানে অনলাইনে টিকিট করলে টিকিটের মূল্যের সমপরিমান মূল্য নেওয়া হয়। বরং বেশীরভাগ ক্ষত্রে, বিভিন্ন অফারের আওতায় অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিটের মূল্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কম পড়ে। আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট উল্টো। প্রতিবছর এইভাবে যাত্রীদের কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে। রেলওয়ের এই বিষয়গুলো অবশ্যই কর্তৃপক্ষের গুরুত্বের সাথে দেখা এবং সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। বাসের টিকিটের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। যেখানে গ্রাহকের নিকট থেকে মাত্রারিক্ত সার্ভিস চার্জ কেটে রাখা হয়।

১৫০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন। যাদের সকল কিছু অনলাইন নির্ভর। প্রতিটি চীনা নাগরিকের ডিজিটাল পরিচিত নাম্বার আছে। যেটার সাথে তাদের সকল কিছু কানেক্টেড। চীনাদের সেবা পেতে বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘোরা লাগেনা। কাউকে টাকার লোভ দেখানো লাগেনা। হয়রানি হওয়ার বিন্দুমাত্র অভিযোগ কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়না। সবকিছু অনলাইন নির্ভর হওয়ায় একেবারে মুহূর্তের মধ্যে জনগণ যাবতীয় সেবা নির্ভেজালভাবে পেয়ে থাকে। গ্রাহকরা বিভিন্ন দপ্তরের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাপ্লাই দিতে পারলেই মুহূর্তের মধ্যে তিনি তার কাঙ্ক্ষিত সেবা পেয়ে থাকে।

চীনাদের আলিপে এবং উইচ্যাট অ্যাপস দুইটির কথা আলাদা ভাবে একটু না বললে অপূর্ণ থেকে যায়। এমন কোন সেবা নেই, যেগুলো এই অ্যাপস দুইটির মাধ্যমে পাওয়া যায়না। যাবতীয় কেনাকাটা, যেকোন পরিবহনের টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং, নির্দিষ্ট ফিস দিয়ে সেগুলো কনফার্ম করা, বাস, ট্যাক্সি, মেট্রোর ভাড়া মিটানো, অডিও ও ভিডিও কলে কথা বলা, সামাজিক যোগাযোগের নিরবিচ্ছিন্ন ও নির্ভর যোগ্য এক মাধ্যম এই অ্যাপস দুইটি। কোন রকম বাড়তি চার্জ ছাড়া লক্ষ লক্ষ টাকা একজনের থেকে অন্য জনের কাছে সেকেন্ডের ভিতর পাঠানো যাচ্ছে। অ্যাপস দুইটিতে নিজস্ব একাউন্টে টাকা জমা রাখা যায় এবং সরাসরি ব্যাংক একাউন্টের সাথে লিংক থাকায় যেকোন সময় চাহিদা মোতাবেক লেনদেন করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে অনলাইনে টাকা পে করলে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন সুপার শপ গুলোতে কিছু কুপন পাওয়া যায়, টাকা ভাংতি নিয়ে কোন সমস্যায় পড়া লাগেনা, পুরানো বা ছেড়া টাকা নিয়ে দোকানদারের সাথে বাক বিতণ্ডায় জড়ানো লাগেনা, নকল টাকার লেনদেনের কোন ভয় থাকেনা, সারাক্ষণ টাকা সাথে নিয়ে ঘোরা লাগেনা, ছিনতাই এর কোন ভয় নেই। এছাড়া অ্যাপস দুইটি এতটাই নিরাপদ আজ পর্যন্ত কারও থেকে শোনা যায়নি কেউ কোন রকম প্রতারণা বা হয়রানীর স্বীকার হয়েছে। মোবাইল ফোন কাছে থাকা মানে তার হাতের মুঠোয় পুরো ব্যাংক। যে ব্যাংকের যাবতীয় লেনদেন বাড়তি কোন অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই করা যায়।

কিন্তু আমাদের দেশের দিকে খেয়াল করলে বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করা যায়। চীনাদের যেখানে ১৫০ কোটি জনগণের ২ টি অ্যাপস দিয়ে দিব্বি চলে যাচ্ছে সেখানে আমাদের ১৮ কোটি জনগণের দেশে বহু অ্যাপস আছে। যেগুলোর কোনটাই নিরাপদ না। প্রতারক চক্রের জাল সর্বখানে বিছানো। ক্যাশ ইন আর ক্যাশ আউট নামের দুই উদ্ভট নিয়ম আছে এসব অ্যাপসে। যেখানে গ্রাহককের লেনদেনের ২-৩% কোম্পানিগুলোকে দেওয়া লাগে। যদি সবখানে অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে গ্রাহকের লেনদেনের সুযোগ থাকে তাহলে এই ক্যাশ আউট বা ক্যাশ ইনের মত ঝামেলা থেকে অচিরেই মুক্তি মিলবে। মোবাইল ব্যাংকিং নামে যে সেবা চালু আছে সেখানে ও একই অবস্থা। লেনদেনের সময় সর্বদায় গ্রাহকের থেকে বাড়তি চার্জ নেওয়ার নিয়ম বহাল আছে।

আমাদের দেশে ডিজিটাল সেবার নামে বর্তমানে যে সব সুবিধাদি বিদ্যমান আছে সেগুলোর কোনটাই আদৌ ডিজিটাল কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ জাগে। যেকোন দেশকে ডিজিটালের আওতায় আনার পূর্বশর্তঃ মানুষের হাতের দোর গোঁড়ায় ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া। সকল জনগণের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের নিশ্চয়তা দেওয়া। ইন্টারনেট ডাটার মান সাশ্রয়ী করা ও সকলের সামর্থ্য ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এনে ব্যবহার উপযোগী করা। মোবাইল কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্কের সেবার মান উন্নত করা। যাতে দেশের একজন প্রান্তিক পর্যায়ের নাগরিকও তার সামর্থ্যের মধ্যে সার্বক্ষণিক মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পায় সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। যেসকল দপ্তর ও অফিস আদলতের সেবা অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে বা অদূর ভবিষ্যতে অনলাইনের আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে, সেগুলো দ্রুত পরিপূর্ণ অনলাইনে রূপান্তর করা। যেখানে একজন গ্রাহক সেবা গ্রহন করার পরে তিনি সার্বিক সেবার মান নিয়ে মন্তব্য করার অপশন থাকবে। যেখানে তিনি নির্ভয়ে ওনার প্রাপ্ত সেবা নিয়ে অভিযোগ বা সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারবে। এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের যথাযথ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের সেবার মানের বিপরীতে মন্তব্য দেখে সেগুলোকে আরও বেশি গ্রাহক বান্ধব করার জন্য সময়ে সময়ে পদক্ষেপ নেবে।  

ডিজিটাল সকল সেবার মধ্যে যেমন আছে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, কম খরচে গ্রাহকের দ্রুত সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা ঠিক তেমনি টেকসই অর্থনীতি ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন উপহার দিতে ডিজিটাল সেবা যুগোপযোগী এক মাধ্যম। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের গঠিত বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন প্রশংসার দাবি রাখে সেই সঙ্গে সমালোচনার মাধ্যমে পলিসি গ্যাপগুলোকেও অনুধাবন করা জরুরি। শুধু উদ্যোগ নিয়ে বে-হিসাবি টাকা বরাদ্দ না করে সেই টাকার সঠিক ব্যবহার ও সেবার মানের সাথে জনগণের সন্তুষ্টি যাচাই দরকার। মনে রাখা জরুরি, করোনা পরবর্তী বিশ্বে টিকে রাখার যেমন প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ হতে হবে, ঠিক তেমনি উন্নয়নের বিভিন্ন ইন্ডিকেটরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে টেকনোলজিকেও।

লেখকঃ অজয় কান্তি মন্ডল,

গবেষক,

ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি,

ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।