সংস্কৃতি যখন ধসে পড়ে মানুষ যখন তার নির্দিষ্ট গন্তব্য জানেনা, ঠিক চিটার বাটপার প্রতারকদের দৌরাত্ম্য থাকে সমাজের রন্ধে রন্ধে প্রতিটি সেক্টর প্রতিকী মূর্তি হয় উপরে ওঠার জন্য, তখন ফিরে যাওয়া মানুষের কোন পথ থাকে না মৃত্যু ছাড়া! সেই মৃত্যু ও করোনাকালে মানুষের কাছে গুনতিক একটা সংখ্যা, শোক নয় পরিতাপ নয়, নয় কোন শৃঙ্খলতার বন্ধন। বৈচিত্রময় এই সময়ে পরিবর্তন বিবর্তনের এই সময়ে সবকিছুই শর্টকার্ট চাই মানুষের? কিন্তু এটা তো চিরন্তন সত্য চাহিদা এবং অভাব অসীম একটার সাথে একটা পরিপূরক, একেকটা পূরনের পরেও থাকে তীব্র আখাঙ্কা পাওয়ার বাসনা না পাওয়ার বেদনা। সবকিছু সহজে গ্রহন করার মানসিকতা তৈরি করতে হলে সুনির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনায় এগোতে হবে যেখানে সামাজিক ভাবে পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এরপরেই থাকতে হবে শিক্ষাখাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যেটা সমাজকে আমূল বদলাতে সাহায্য করবে সুস্হ সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে মানসিক উন্নয়ন এর উপর জোর দিতে হবে। সেখান থেকে যদি সামাজিক অবক্ষয় কিছুটা মুক্ত করা যায়, এখন শুরু করলে আমরা অবশ্যই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা শুশৃঙ্খল জাতি গড়ার উপাদান তৈরি করতে পারব। সময় শেষ হলে অধঃপতনের চুড়ান্ত শিখড়ে পৌছাচ্ছি আমরা তিলে তিলে শিকড় ক্ষয়ে সেটা মৃতপ্রায় সংকর জাতের মানুষের জাতের নাম বাঙালি। একাকিত্ব নিঃসঙ্গতা লোভ ঠগ চাটুকারিতা সুদ, ঘুষ, কর্পোরেট সামাজিকতা পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন হতাশার চাদরে বন্দি এতসব ফন্দিফিকির অসহায়ত্বের বন্দিশালায় একটা ভাইরাল প্রজন্ম। দ্বায়ভার সমাজ রাষ্ট্র রাজনৈতিক দল সুশীলসমাজ সাংবাদিকসহ আমারা কেউ এড়াতে পারব না। কৈফয়িত কিন্তু প্রকৃতি চাইবে নির্দিষ্ট সময়ে তখন ভৌগলিক সীমারেখায় আমাদের ভূখন্ড পতিত না হয় বঙ্গোপসাগরে।
লেখকঃ রাজু ঘোষ, ছাত্রনেতা