কয়রায় তিন সদস্যের পরিবারের সকলকেই হত্যা করে দূর্বৃত্তরা লাশ পুকুরে ভাসিয়ে দেওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গেছে, সোমবার রাতে উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামে লোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এক গৃহবধু সহ ৩ যুবককে আটক করেছে।
নিহতরা হলেন, হাবিবুর রহমান গাজী (৩৫), স্ত্রী বিউটি আক্তার (৩০), মেয়ে হাবিবুন্নাহার টুনি (১২)। জানা যায়, টুনি সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী এবং পরিবারের একমাত্র সন্তান। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের গৃহবধু সুলতানা বেগম (২৬), জিয়া (২৭), কিবরুল (৩০) ও নাদিম (২২) কে আটক করেছে। এ বিষয় স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায় নিহত হাবিবুরের প্রতিবেশি কুদ্দুস গাজীর স্ত্রী সুলতানার সাথে এলাকার যুবকদের পরকীয়ার বিষয় জানার পর হাবিবুর প্রতিবাদ করে এবং লোকজনকে জানায়। যে কারনে সূত্র গুলি জানায় পরকীয়ার সাথে জড়িতরা এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে বলে তাদের ধারনা। জানা গেছে, নিহত হাবিবুর কখনও ভ্যান চালক আবার কখনও দিনমজুরের কাজ করে। যে কারনে এলাকায় তার কোন শত্রæ পক্ষ নেই বলে স্থানীয় লোকজন প্রচার করছেন। এদিকে অপর এক সূত্র জানায়, ৩/৪ মাস আগে হাবিবুর সন্ধ্যার পর পাড়ার মেঠো পথ দিয়ে রাতে বাড়ী ফেরার সময় মুখোসধারী কিছু যুবক তাকে মারপিট করে এবং একই সময় গৃহবধু সুলতানা বেগম বোটি দিয়ে হাবিবুরের পিঠে কোপ মারে। অতঃপর গ্রাম্য শালিশে বিষয়টি মিমাংশা হয় বলে নিহত হাবিবুরের নিকট আত্মীয়রা জানায়। এবিষয় পুলিশ জানায়, স্থানীয় বিভিন্ন খবরের সূত্র ধরে হত্যার রহস্য উৎঘাটনের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নিহত ৩ জনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।