সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন

প্রধান ফটকের ফলক থেকে ঝরে পড়ছে অক্ষর, কলেজ মাঠেই চলছে পাট পঁচানো প্রক্রিয়া!

মোমিনুর রহমান সবুজ / ৬২৭
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজের প্রধান ফটকের ফলক থেকে কলেজের অবস্থান, স্থাপিত সাল ও কলেজ প্রতিষ্ঠাতার নামের অক্ষর খন্ড খন্ড ঝরে পড়লেও নজর নেই কলেজ কর্তৃপক্ষের! তাদের এমন উদাসীনতা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এছাড়াও বছরের পর বছর এ প্রতিষ্ঠানের জলাবদ্ধতা ও জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে কলেজের একটি নতুন ভবনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজটির প্রবেশপথের প্রধান ফটকের স্টিলের তৈরী ফলকে কলেজের অবস্থান (সাতক্ষীরা সদর) লেখাটি সম্পন্ন ঝরে পড়ে গেছে। এছাড়াও কলেজটি স্থাপিত (২০০৫ সাল) হলেও ফলক থেকে একটি ০ পড়ে গেছে। কলেজ প্রতিষ্ঠাতা (মরহুম মাস্টার রুস্তম আলী) হলেও ফলকে দেখা যায় প্রতিষ্ঠাতা লেখার আংশিকসহ মরহুম লেখাটিও পড়ে গেছে। আবার রুস্তম বানানের র-এর স্থানে ব হয়ে আছে।নন-এমপিও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি টিনের তৈরী জরাজীর্ণ ৭-৮ কক্ষ বিশিষ্ট ভাঙাচোরা ঘরে ১০-১২ বছর পাঠদান চলছে। আর একটু বর্ষা নামলেই কলেজ মাঠসহ কক্ষ গুলোই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। চলাচলের রাস্তা ছাড়া কলেজ কক্ষ গুলো প্রায় এক-দুই হাত নিচু হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর জলাবদ্ধ কলেজ মাঠে চলছে পাট পঁচানোর প্রক্রিয়া। জানা গেছে, ২০০৫ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের মরহুম মাস্টার রুস্তম আলী এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করে। আর বর্তমানে মরহুম মাস্টার রুস্তম আলীর মেজো ছেলে আসাদুজ্জামান মোহন এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন। আর ২০১৬ সালে ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবারে সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র হাত দিয়ে এ প্রধান ফটকের উন্মোচন হয়।

এবিষয়ে গোলাম সারোয়ারসহ স্থানীয় কয়েকজন বলেন, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রুস্তম আলীর ছেলে নিজেই এ কলেজের অধ্যক্ষ। কলেজের প্রধান ফলকের এমন দৃশ্য ও কলেজ মাঠে পাট পঁচানো দেখে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দুষছেন তারা। দ্রুত ফলকের অক্ষর গুলো বসানোসহ পাট জাগ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

উক্ত কলেজের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, করোনার জন্য আমাদের প্রায় দেড় বছর কলেজ বন্ধ। পূর্বের থেকেই কলেজের কয়েকটি রুমের দরজা, জানালাসহ কক্ষ গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। একটু বর্ষা হলে রুমে পানি ঢোকে। ক্লাস করতে খুব অসুবিধা হতো। ফলকের এমন চিত্র অনেকদিন ধরে দেখে আসছেন বলেও জানালেন এ শিক্ষার্থী।

এবিষয়ে আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজ’র অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান মোহন বলেন, করোনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কলেজে যাওয়া হয়না।একটা-দুইটা করে অক্ষর গুলো কবে যে পড়ে গেছে আর কলেজ মাঠে কে বা কারা পাট জাগ দিয়েছে সেটি আমার জানা নেই। তাছাড়া কলেজের রুম গুলোও খুব নাজুক অবস্থা দ্রুত নতুন ভবন তৈরীরও প্রয়োজন। তিনি এসকল বিষয়কে জরুরি ভিত্তিতে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ