HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন

চা এর রাজ্যে একটি ভিন্নধর্মী সফর

রিপোটারের নাম / ১০৩৮
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১

বর্তমানে চীনের প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের বেশ দাবদাহ চলছে। তারমধ্যেই ইন্টারন্যাশনাল কলেজের স্টুডেন্ট কাউন্সিলর উই চ্যাট গ্রুপে বার্তা দিল যারা চাইনিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের ছাত্র-ছাত্রী তাদের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি শর্ট ট্যুরের আয়োজন করতে যাচ্ছে। আগ্রহীরা যেন নোটিশ পাওয়া মাত্র গ্রুপে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ফিরতি বার্তা প্রেরণ করে। ট্যুর সবার কাছে প্রিয় তার উপর যদি সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে হয় তাহলে তো কথাই নেই। আগে পরে কিছু না ভেবে আমি যেতে আগ্রহী জানিয়ে দিলাম। ট্যুরের উদ্দেশ্য ছিল ফুজিয়ান প্রদেশের আংশি কাউন্টিতে অবস্থিত বেশ কিছু চা ফ্যাক্টরি ও চা জাযুঘর পরিদর্শন। আংশি শহরটি ফুজিয়ান প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। চীনের বিখ্যাত চা এর ব্র্যান্ড ওলং টি (টিয়েগুয়ানইন, Oolong tea-Tieguanyin tea) এর উৎপত্তি স্থল আংশি হওয়ায় এই শহরকে চীনের চা এর রাজধানী ও বলা হয়। দেশে অবস্থানকালীন পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ে বেশ কিছু কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কিন্তু চা কারখানা পরিদর্শনের সুযোগ ছিল এটাই প্রথম। এছাড়া চীনে আসার পরে জেনেছি চা এর সাথে চীনাদের ইতিহাস ও কৃষ্টি কালচার অনেক কিছু জড়িত। সবমিলিয়ে ট্যুর নিয়ে নিজের ভিতর অজানাকে জানার আগ্রহ সহ বেশ কৌতূহল কাজ করছিল।

চীনাদের সংস্কৃতিতে চা পানের ধরন, চা প্রস্তুতির বিভিন্ন কলাকৌশল, পরিবেশন, এবং চা পান নিয়ে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। চীনের থাং রাজবংশের আমলে চা আবিষ্কার হলেও বর্তমানে এর বিভিন্ন প্রদেশে চা পরিবেশন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রীতির প্রচলন আছে। শুধুমাত্র গরম জলের ভিতরে চা এর শুকনা পাতা ভিজিয়ে খাওয়ার মাঝে এতটা আর্ট রয়েছে তা চীনে আসার পরেই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা হয়েছে। একজন চীনা ব্যক্তি (ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাই) সারাদিন চা পান করে। অতিথি আপ্যায়নে চীনারা অতিথিদের ছোট ছোট কাপের ভিতর চা পান করতে দিয়েই ব্যাপক খুশি থাকে। চীনাদের চা কে কেন্দ্র করে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের ও বেশ কিছু অংশ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এসব বিষয়গুলো আমাদের প্রথম বর্ষের ‘Survey of China’ নামক একটি কোর্সে ধারণা দেওয়া হলেও এই ট্যুর থেকে চা সম্পর্কে আরও বেশী গভীর জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি অতি আনন্দের একটি দিন অতিবাহিত করলাম।

শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে মনকে সতেজ, প্রফুল্ল ও উদ্যমী করতে চীনাদের এই গ্রিন টি এর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া একটানা দীর্ঘক্ষণ কাজের একঘেয়েমি দূর করে কর্ম তৎপরতা ফিরিয়ে আনতে চা পানের সুফল রয়েছে। তাইতো চীনারা দিন মজুর থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের লোকজন সারাক্ষণ গ্রিন টি পানে একটু পর পর গলা ভিজাতে থাকে। চীনের সকল সুপার মল থেকে শুরু থেকে ছোট খাট সব দোকানে আলাদা ভাবে চা এর প্রদর্শনী বা বিক্রয় করা হয়। এছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও ফ্লেভারের শুধুমাত্র হরেক রকমের চা নিয়ে চীনাদের বিভিন্ন স্থানের বিপনি বিতান গুলো ও অনেকের নজর কাড়ে। এগুলো দেখলেই সহজেই আঁচ করা যায় চীনাদের চা এর প্রতি কতটা আসক্তি আছে। এমন কিছু চা আমার নজরে এসেছে যেগুলো প্রতি ৫০০ গ্রামের দাম দেশি টাকায় ১০,০০০ এর ও উপরে। চীনারা তাদের প্রিয় ব্যক্তিত্বকে প্রায় সময় চা এর বক্স গিফট হিসেবে দিয়ে থাকে। এছাড়া চীনের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও অন্য দেশের নেতৃবৃন্দদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় বা উপহার সামগ্রী হিসেবে উন্নত মানের চা গিফট হিসেবে দেওয়ার রীতি বিদ্যমান রয়েছে। 

আগে থেকে কম বেশী এগুলো আমার জানা থাকলেও এই ট্যুর থেকে চীনাদের চা সম্পর্কে নিজের জ্ঞানকে আরও একটু বেশী সমৃদ্ধ করলাম। সেদিন স্টুডেন্ট কাউন্সিলরের নোটিশ অনুযায়ী ভোর ৬ টার ভিতরে আমাদের মেইন ক্যাম্পাসে হাজির হলাম। সকাল ৬.১০ এ বাস আংশির উদ্দেশ্যে রওনা হল। ইন্টারন্যাশনাল কলেজের তত্ত্বাবধায়নে ফুজিয়ান প্রদেশের অন্য কোন কাউন্টি তে আমার এই প্রথম যাত্রা। এর আগে চীনা বন্ধুদের সাথে অবশ্য বেশ কিছু জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল বন্ধু বান্ধবীদের সাথে এটাই প্রথম কোন ভ্রমন। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করায় অনেক পরিচিত বিদেশী বন্ধুদের সাথে তেমন একটা সময় কাটানো হয়ে ওঠেনি। তাই ট্যুরে ভ্রমণের শুরুতে আমি সহ সবার ভিতর ব্যাপক উত্তেজনা কাজ করছিল। এছাড়া বিগত প্রায় দুই বছর ধরে নানান নিষেধাজ্ঞা আমাদের সবাইকে অনেকটা কোণঠাসা করে রেখেছিল। আমাদের যাত্রা শুরু হল। যাত্রাস্থান হতে আমাদের গন্তব্যের দূরত্ব ছিল প্রায় ১৩০ কি.মি.। সফর সূচি এমন ভাবে সাজানো হয়েছিল যেন দিনের বেশীরভাগ সময় টাই আংশিতে অতিবাহিত করা যায়। এবং আংশিতে পৌঁছে সেখানে অবস্থিত চা প্রক্রিয়াজাতকরন বেশ কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন সহ সেখানকার চা জাদুঘর পরিদর্শন। বলে রাখা ভালো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আংশিতে অবস্থিত ‘আংশি কলেজ অব টি সায়েন্স’ কর্তৃপক্ষকে পূর্ব থেকেই আমাদের সফর সূচি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। এজন্য সেখানকার বেশ কয়েকজন শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রী আমাদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করছিল। আমরা প্রায় আড়াই ঘন্টার ভিতর পৌঁছে গেলাম। আংশি টি সায়েন্স কলেজের প্রবেশদ্বারে আমাদের গাড়ি পৌঁছানো মাত্র সেখানে অপেক্ষারত শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী আমাদেরকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের সফরে প্রদর্শক হিসেবে যোগ দিল। প্রথমে আমরা আংশি টি সায়েন্স কলেজের প্রবেশদ্বারে সবাই মিলে একটি গ্রুপ ছবি উঠলাম। এরপর একে একে আংশি টি মিউজিয়াম, বামা টি ফ্যাক্টরি সহ বেশ কয়েকটি টি ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখলাম।

পূর্বে চীনের বেশ কয়েকটি বিভাগীয় মিউজিয়াম আমার দেখার সুযোগ হয়েছে এবং সবখানেই দেখেছি মিউজিয়ামগুলোতে চীনাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য উপাদান হিসেবে চা এর উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। সেই ধারণা থেকে টি মিউজিয়াম কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে আগে থেকেই একটু আধটু অনুমান করে রেখেছিলাম। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পরের অভিজ্ঞতা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেখলাম টি মিউজিয়ামে প্রবেশের পথে রাখা আছে চীনাদের প্রাচীন পদ্ধতিতে চা প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ, প্রস্তুত প্রণালী এবং চা পানের বিশাল বিশাল সব ভাস্কর্য। এছাড়া এত প্রজাতির চা দেখলাম যেগুলো নিজের চোখকে ও বিশ্বাস করাতে কষ্ট হচ্ছিল। মূল জাদুঘরে রক্ষিত আছে হাজারো প্রজাতির চা এর উৎপত্তির ইতিহাস, সেগুলো কিভাবে মানব সমাজে বিস্তার লাভ করেছে তার ইতিহাস। এছাড়া রক্ষিত আছে বিভিন্ন চা তৈরির প্রাচীন সব তৈজসপত্র। যার সবগুলোই চীনাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত।

আমরা দ্রুত টি মিউজিয়ামের পর্ব শেষ করলাম। কেননা এরপর আমাদের যেতে হবে চা প্রক্রিয়াজাতকরণের ইন্ডাস্ট্রিতে। আমরা একে একে তিনটি ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করলাম। সব ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে খেয়াল করলাম চা জাদুঘরের মত তাদের ও কিছু স্থান আছে। যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির চা এর উৎপত্তি ইতিহাস প্রদর্শিত হচ্ছে। এরপর আমাদের নিয়ে যাওয়া হল যেখানে চা প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হচ্ছে সেখানে। সেখানে সারিবদ্ধ ভাবে একই রকমের প্রায় ২০ টার মত বেশ বড় বড় ঘর দেখতে পেলাম। আমাদের দেখানোর জন্য একটি ঘর খুলে দেওয়া হল। ঘরটির পুরো জায়গা জুড়ে গলা সমান উঁচু বড় বড় ড্রামে চা এর প্রক্রিয়াজাত চলছে।

চীনাদের চা প্রক্রিয়াজাতকরণের সময়ে, কোনরকম রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ছাড়া গাছ থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে চা পাতার অরিজিনাল ফ্লেভার বাড়ানো হয়। তাই পাতা সংগ্রহের পরে সেগুলো বাছাই, শুকানো এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের বেশ কারুকার্য আছে। তাছাড়া এগুলো সবই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেই করা হয়। পুরো চীন জুড়ে বেশ কিছু চা যেমনঃ ওলং টি, ইয়োলো টি, ব্লাক টি, হোয়াইট টি, ডার্ক টি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সবগুলোই গ্রিন টি এর ভিতরে পড়ে কিন্তু প্রক্রিয়াজাতকরণের এর পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। এই ভিন্ন ভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণের উপর নির্ভর করেও চা এর নাম হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন।

প্রতিটা ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন চা তৈরির প্রক্রিয়াগুলো দেখিয়ে সেগুলো পানের জন্য দেওয়া হচ্ছিল। চীনে আসার পরে আমরা ও গ্রিন টি পানে বেশ অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু গ্রিন টি প্রতিটি প্রস্তুত প্রণালীর জন্য যে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি আছে সেগুলো আমার জানা ছিল না। যে পদ্ধতিগুলো চা এর স্বাদ বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। চীনারা সবাই এই পদ্ধতি গুলো অনুসরন করেই চা পান করে থাকে।  

ঘুরতে ঘুরতে কখন যে দুপুর ১২টা বেজে গেছে নিজেরাই বুঝতে পারিনি। এর পরের স্থান ছিল সবুজে ঘেরা পাহাড়ের কোল ঘেঁষে একটি অতি সুন্দর বাংলো। আংশিতে যখন কোন পর্যটক টি জাদুঘর বা টি ইন্ডাস্ট্রি ঘুরতে যায় তাদের অধিকাংশেরই এই বাংলোতেই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আমরা ও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না। চারপাশে সবুজ ধানের খেতের মাঝে বাংলোটি অবস্থিত। এখানে আমাদের লাঞ্চের আয়োজন করা হয়েছে। জায়গাটি ছিল অসম্ভব রকমের সুন্দর। গিয়েই সবাই আগে পেট পুরে দুপুরের ভোজন সারলাম। খাবারের ভিতর বেশ বাঙালি স্বাদ পেলাম। হরেক রকমের মাছ, সবজি, মাংসের মেন্যুতে দুপুরের খাবার শেষে সবাই ঘুরে ঘুরে বাংলোর আশপাশ দেখতে লাগলাম। বাংলোর বেশ কয়েকটি কক্ষে ও দেখলাম ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির চা এবং চা তৈরির সব সরঞ্জামাদি রাখা আছে।

বিকালে আমাদের সবাইকে হাতে কলমে শেখানো হল চা তৈরির প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে আংশি কলেজ অব টি সায়েন্স এর একজন শিক্ষিকা আমাদের সবাইকে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে চা বানানোর কৌশল শেখালেন। পরবর্তীতে নিজেদের বানানো চা এর পাশাপাশি পাশের বন্ধুর চা পান করে সেগুলো স্বাদ কেমন হয়েছে সেটা ও বিচার করার দায়িত্ব পড়েছে সবার উপর। সারাদিন হরেক রকমের চা এর স্বাদ নিতে নিতে আমাদের শরীরের ভিতর কোন ক্লান্তি ভাবই কাজ করেনি। তাইতো প্রচন্ড গরমের ভিতর ও সবাই বেশ উৎফুল্ল ছিল। প্রায় সন্ধ্যা ৬.৩০ এর দিকে আমরা আংশি থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্তব্যে রওনা দিলাম। রাত ৯ টার দিকে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গেলাম।

গ্রিন টি এর স্বাদের ভিন্নতা এবং শুধুমাত্র গরম জলে সেগুলো সিক্ত করার মধ্য দিয়েও যে স্বাদ ও ঘ্রানের এত তারতম্য আনা যায় ওইদিনের ট্যুর থেকেই প্রথম ধারণা পেলাম। আমরা বাঙালিরা চা এর সাথে বাড়তি চিনি ও দুধ মিশিয়ে চা কে অনেক বেশী মজাদার করার পাশপাশি সাথে মুখরোচক অন্যান্য খাবার যোগে সকালের বা বিকেলের নাস্তা সারার কাজে সর্বদা তৎপর থাকি। কিন্তু চীনাদের চা পান এসবের ধারের কাছে নেই। স্বচক্ষে অবলোকন ব্যতীত চীনাদের চা তৈরির সকল পর্ব গুলো কারো পক্ষে বিশ্বাস করা একটু কঠিনই বটে। সর্বোপরি অনেক তথ্য এবং উপাত্তের আহরণের ভিতর দিয়ে চা সম্পর্কে নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানকে আরও একটু সমৃদ্ধ করে দিনের ইতি টেনে বাসায় ফিরলাম।

লেখকঃ অজয় কান্তি মন্ডল

গবেষক,

ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি,

ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।

    


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ