HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন

কৃষকের আমন ধানে মই দিল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া

মোমিনুর রহমান সবুজ / ৯০১
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১

হেমন্ত কালের শুরু কার্তিক মাস দিয়ে। মাঠে সোনালী ধানের ক্ষেত এবং নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে মাতুয়ারা হয় প্রকৃতি। কার্তিক মাসে আমন ধান কাটার প্রস্তুতি চলে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে। একই সাথে রবি ফসলের চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন গ্রামের কৃষক। তবে ফসল ঘরে তোলার শেষ সময়ে পাঁকা ধানে মই দিল ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক।

নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে টানা ৩ দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় সাতক্ষীরা তথা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকায় আমন ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক কৃষকের সদ্য রোপন করা সরিষা বীজতলা পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। সাথে কারেন্ট পোকায় শেষ করছে ফসল। ঝড়ো হাওয়ায় আধা কাঁচা পাঁকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়ে পানিতে ডুবে ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়া পানিতে ডুবে থাকা ধান পরিপূর্ণ পুষ্ঠ না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে।

ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাচিমপুর গ্রামের কৃষক সুভঙ্কর ঘোষ জানান, দুই বিঘা জমিতে ধান করেছিলাম। আধাপাকা ধানে কারেন্ট পোকা লেগেছে। তার উপর এই টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ধান নুয়ে পড়ছে। তাছাড়া ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষেতের পানি সরে না গেলে ধান কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে। আবার পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে। এতে আমরা অধিকাংশ কৃষক ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি। রাজবাড়ী গ্রামের কৃষক মনিরুল জানান, ফসলে এবার কারেন্ট পোকায় শেষ করে দিয়েছে। এলাকায় প্রায় কৃষকের কারেন্ট পোকায় ক্ষতির পাশাপাশি টানা বৃষ্টি ও বাতাসে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আমার দুই বিঘা ধান কাটার পর সরিষার বীজতলা দিয়েছিলাম এই বৃষ্টিতে বীজতলা পানির নিচে থাকায় সব নষ্ট হয়ে যাবে।

এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কিরণময় সরকার জানান, ঝাউডাঙ্গা এলাকায় এবার ১৩’শ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। ৩-৪টি এলাকায় কারেন্ট পোকার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের ঔষধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি। তাছাড়া ধারণা করছি এই বৃষ্টি হওয়ায় এতে পোকার আক্রমণ কমে আসবে। আর ঝড়ো হাওয়া ঠিক কত গুলো ফসল ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন শেষে জানাতে পারবো।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ