HEADLINE
সাতক্ষীরার পর এবার মাগুরার সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ! কলারোয়ায় এক কৃষকের ঝু’ল’ন্ত লা’শ উ’দ্ধা’র কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষা’ঙ্গ কে’টে দ্বিতীয় স্ত্রী’র আ’ত্ম’হ’ত্যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

ছাত্র রাজনীতি এখন কোন দিকে

জহিরুল ইসলাম শাহীন / ২৪৬
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

ব্রিটিশ শাসনামলের পর থেকে ভারত এবং ভারত বিভাজনের পর অর্থাৎ পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন শোষন, নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন সংগ্রামের চাইতে দেশের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, গনতন্ত্রের জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, মানবতার জন্য, বৈষ্যমহীন শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য, শ্রেণী ব্যবধান দুর করার জন্য এবং ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সব চাইতে বেশী গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা রেখেছিল এদেশের ছাত্র সমাজ ও ছাত্র রাজনীতি। তদানীন্তন কালেও দেশের জনগনের কাছে অধিক গ্রহণ যোগ্য ছিল ছাত্র সমাজ, ছাত্ররা তখন ছিল আদর্শের প্রতিক, ন্যায়ের প্রতীক নি:স্বার্থ ভাবে জনগনের পাশে এসে দাড়াতেন সেই সময়কার ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় ছাত্রদল, মুজিব বাদী ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ ইত্যাদি। সব ছাত্র সংগঠন গুলোর মধ্যে ছিল একটা সহ মিলন, কখনও নয় দলীয় ছাত্র সংগঠন, কখনও বাম পন্থী ছাত্র সংগঠন বা কখনও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য বা কখনও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ একত্রিত হয়ে দেশের স্বার্থে নিজেদের জীবন, অস্তিত্ব বাজী রেখে নি:স্বার্থভাবে আদর্শিক গুনাবলীর মাধ্যমে কাজ করে গেছেন। এই ধারা আমার যতটুকু মনে পড়ে ২০০০ সাল পর্যন্ত অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে সকল ছাত্র সংগঠন তাদের নেতৃত্বদানের মধ্যদিয়ে একে অপরের মধ্যে সুসম্পর্ক বিরাজ করেছিল। আমরা যদি ১৯৪৮-১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের কথা চিন্তা করি, ১৯৬২র হামিদ খান কর্তৃক শিক্ষা কমিশনের কথা মনে করি ১৯৬৬র ছয় দফা আন্দোলনের কথা মনে করি, ১৯৬৯ এর গন অভুত্থান এর ইতিহাস স্মরন করি, সর্বপরি ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা স্মরন করি এবং সর্বশেষ ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ এর সামরিক শাসন এর কথা একবার হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে দেখি তবে একটাই ইতিহাস সামনে আসবে ঐ ছাত্র সংগঠন গুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ইতিহাস। আজ তারা বাংলাদেশের ইতিহাস। বাংলাদেশের জনগন তাদের অক্ষরে অক্ষরে স্মরন কাখবে। এখনকার ছাত্র সমাজ আজকের দিনে রউফুন, বসুনিয়া, সালাম, জব্বার, বরকত, রফিক আসাদ, ডা: মিলন, নুর হোসেন এদের নাম তেমন একটা জানে না এমন কোন মানুষ বাংলাদেশে আছে আমার মনে হয় না। কিন্তু বর্তমানে এ কোন চিত্র? একজন ছাত্র নেতা কে দেখলে মানুষ ভয় পায়, দুরে সরে যায়, তাদের নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় ঘটেছে। দুনীর্তি, অন্যায়, অপরাধ, নারী ধর্ষন সহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। যা বর্তমানে ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। তাদের কে এ দেশের জনগন ধিক্কার দিতে শিখেছে, ঘৃনা করতে শিখেছে। এমন টা একটা স্বাধীন সার্বভৌম এবং জন গনতান্ত্রিক দেশে কেউ আশা করেনি। এর জন্য দায়ী আমার মনে হয় মূল রাজনৈতিক দলগুলো। এ থেকে পরিত্রানের উপায় খুজে বের করা দরকার। ছাত্র সমাজের হারানো স্মৃতি আহংকার ও গৌরব আবার পূনরুদ্ধার করা খুবই জরুরী। শুধুমাত্র এদেশের জনগনকে নির্ভয়ে চলার জন্য বা তাদের কাজ করার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। বাংলাদেশের সবচাইতে বড় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র লীগ। যারা ভাষা আন্দোলনে, হামিদ কমিশনের ৬২ শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে, ১৯৬৯র গন অভ্যুত্থানে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং ১৯৯০ এর স্বৈর শাসনের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলনের ভীত তৈরী করে দিয়েছিল, সাবেক ছাত্রনেতা তোফায়েল আহম্মেদ, ওবায়দুল কাদের, নূরে আলম সিদ্দীকী, সুলতান মো: মনসুর, ইনামুল হক শামীম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আসীম কুমার উকিল প্রমুখ। কিন্তু বর্তমান সরকারের ছত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এমুহুর্তে দেশের জন্য কি করছে? তাদের কাজটা কি? কিছুই তো বুঝে উঠতে পারছি না। যারা আজ সমাজ কে আলোকিত করবে, গরীব দু:স্থ অসহায় মানুষের পাশে দাড়াবে, ছাত্র সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবে নারীরা নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বিঘেœ মেয়েরা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে কিন্তু তা না হয়ে এখন তারা হচ্ছে সামাজিক সম্প্রচার মাধ্যম ও পত্র পত্রিকার শিরোনাম। এটা জাতির জনকের ছাত্র সংগঠন এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার ছাত্র সংগঠনের কাছে বাঙালি জাতি কোন দিন কোন অবস্থায় আশা করিনি। ইতিহাস খ্যাত স্মৃতি বিজড়িত এবং বিভিন্ন জনের ত্যাগের এবং রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশে এহেন কর্মকান্ড কেউ মেনে নিতে পারেনা। আগামী দিনের সৎ ও আদর্শের নেতৃত্বের জন্য তৈরী হওয়ার কথা এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। কিন্তু সারা দেশে এ মুহুর্তে ভাইরাল হয়েছে তাদের আদর্শের পরিবর্তে জাহাঙ্গীর নগর বিশ^ বিদ্যালয়ে স্বামী কে হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে পালাক্রমে শারীরিক নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগ নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। একই রকম ঘটনা ঘটেছিল প্রায় বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ঐ একই বিশ^ বিদ্যালয়ে। কোন ছাত্র বা ছাত্রী, কোন পিতামাতা, কোন গার্ডিয়ান বা শিক্ষক এমনটা আশা করতে পারেন না আর বিশেষ করে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী এমন এক ছাত্র সংগঠনের কাছে। বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাস সেই সময় উত্তাল ছিল এবং বর্তমান ঘটনা কে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাস আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে। এই দুঃখ জনক, রোমহর্ষক ও ন্যাক্কার জনক ঘটনার প্রতিবাদে অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে। পুলিশ ও র‌্যাব একত্রে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে ধরতে পেরেছে এবং ঘটনার রহস্য ও কিছুটা উ¤েœাচিত হয়েছে। কিন্তু কি লাভ তাতে? কোন এক সময়ে পার পেয়ে যাবে। মনে পড়ে সবার ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বিশ^নাথকে। অপরাধীদের কি শাস্তি হয়েছিল? কিছুই হয় নাই। সবাই নিরাপদে হাসতে হাসতে জেল থেকে বেরিয়ে এলো মাননীয় প্রেসিডেন্টের মানবতার কারনে। তখনও ছাত্রলীগ ব্যাপক প্রতিবাদ সভা, মিটিং, মিছিল করেছিল। এবার ও তার ব্যতয় ঘটেনি। জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ে ধর্ষনে ছাত্রলীগের সদস্যদের যুক্ত থাকা এবং ধর্ষন বিরোধী ব্যাপক আন্দোলন ও এইবার হচ্ছে। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এম,সি, কলেজের সামনে থেকে এক তরুনীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। ওই তরুনী তার স্বামীর সংগে একটি গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। স্বামীকে গাড়িতে আটকে রাখা হয়। স্ত্রীর আত্মচিৎকারে আশে পাশের লোকেরা এগিয়ে আসে। পরে মামলা হয় গ্রেফতার হয় কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ মামলার রায় আসেনি। এখন আমাদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে বারবার ছাত্রলীদের নামই কেন আসে? ধর্ষন মামলার বিচারের রায় কেন আসে না? বা আসতে কেন এত দেরি হয়? ঘবুিড়ৎশ অপধফবসু ড়ভ ংপরবহপবং জানুয়ারী, ফেব্রæয়ারী ২০০০ সংখ্যায় প্রকাশিত জধঁফু ঞযড়ৎহযরষ এবং ঈৎবরম ঞ. চধষসবৎ এর লেখা “মানুষ কেন ধর্ষন করে-” প্রবন্ধে বলা হয়েছে, পুরুষ কেন ধর্ষন করে? এটা একটা ভয়ংকর অপরাধ। এবং এটা হলো একটা সেই অসুস্থ সমাজের লক্ষণ, যে সমাজে পুরুষেরা নারীদের ভয় পায় এবং অসম্মান করে। ১৯৭৫ সালে নারীবাদী লেখক ঝঁংধহ ইৎড়হি গরষষধৎ বলেন, ধর্ষনের সাথে যৌন লালসার সম্পর্ক নেই, যা আছে তা হলো নিয়ন্ত্রন করা এবং ডাবিয়ে রাখা বা ডমিনেট করা। ইৎড়হি’ং গরষষধৎ এর মতে ধর্ষনের কারন যৌন কামনা নয়। সব পুরুষেরই কামনা আছে কিন্তু সব পুরুষ ধর্ষন করে না। একেক জন ধর্ষনকারী একেক কারনে এই ঘৃন্য অপরাধ করে। ধর্ষনের সংগে ক্ষমতার সম্পর্ক আছে। ক্ষমতার আধিপত্য প্রয়োগ ও প্রমানের অস্ত্র হলো ধর্ষন। এবং ঝঁংধহ যদিও বলেছেন এর সঙ্গে লালসার কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু সেই ব্যাপারে ভিন্ন মত ও আছে। কোন কোন যুক্তিবিদরা বলেছেন ধর্ষনে দুটো ফ্যাক্টরই কাজ করতে পারে। ক্ষমতা আধিপত্বতা এবং যৌন লালসা। ধর্ষনের মতো নৃশংস অপরাধ দমনের এবং নারীর প্রতি সহিংসতা দুর করতে টঘ ডড়সবহ সুপারিশ করে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং নেতৃত্ব, নারী পুরুষের সমতা আনে এমন আইন ও নীতি প্রনয়ন করা এবং কার্যকর করা, নারীদের সংগঠনে বিনিয়োগ করা, নারীর প্রতি সহিংসা দুর করা এবং তহবিল বরাদ্দ করা এবং নারীরা যে সমস্ত বৈষম্যের স্বীকার হয় তা সমাধানে সচেষ্ট হওয়া। এগুলো দেখভাল করা মূলত পরিবারের দায়িত্ব, সমাজের দায়িত্ব এবং বিশেষ করে রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। আমার পরিবারে আমি আমার স্ত্রীকে সম্মান দিচ্ছি কিনা, আমার মেয়েকে ভালোবাসছি কিনা, আমি আমার মেয়ের চাইতে ছেলেকে বেশী ভালোবাসছি কিনা, ছেলে মেয়ের সামনে স্ত্রীকে অসম্মান করছি কিনা, আমার মা আমার ভাই বোনের মধ্যে ভাইকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা এবং স্কুলে ও কলেজে আসলে আমরা কি শিখাচ্ছি এবহফবৎ উরংপৎরসরহধঃরড়হ সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বুঝাতে সক্ষম হচ্ছি কিনা। কিন্তু বারবার যে সরকার ক্ষমতায় এবং বিশেষ করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এ ব্যাপারে হার্ড লাইন এবং নারীদের অধিকার ও সম্মানের ব্যাপারে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছেন, তাহলে সেখানে এমন টা হবে কেন? চাঁদাবাজী, ক্যাম্পাসে আটকে রেখে মুক্তিপন আদায় মাদক ব্যবসা, অস্ত্রবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডার এবং বিভিন্ন অপকর্মে কেন ছাত্রলীগের নাম আসবে? ছাত্রলীগ তো দেশের কাজ করবে, সমাজের কাজ করবে, পরিবারের কাজ করবে। কৃষক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ করবে। যে নিরক্ষর অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত মহিলা কষ্ট করে কাঙ্কে কলস নিয়ে পুকুরে বা নদীতে জল আনতে যায় তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ করবে। যে গরীব অসহায় মানুষের সন্তান লেখাপড়া করার সুযোগ পায় না তাদের লেখা পড়ার সুযোগ সৃষ্টির জন্য কাজ করবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় অসহায় গৃহহীন কর্মহীন মানুষের সেবা করবে। তাদের কে মনে রাখতে হবে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। একজন নারী কখনও মা, কখনও মমতাময়ী আবার কখনও বোন। তার সম্ভ্রম, ইজ্জত, সম্মান এবং অধিকার রক্ষার দায়িত্বও তাদের। কারন একদিন তারাই আবার কেউ কেউ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হবে। কোন রকম অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া যাবে না। একটা অপরাধ থেকে শত শত অপরাধ তৈরী হয়। এ জন্যে পুলিশকে, বিচার বিভাগকে, প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থাকে এবং যে কোন কর্তৃপক্ষকে নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করতে হবে। এখানে কোন অজুহাত খাড়া করার পথ নেই। সব ঘরেই মেয়ে আছে। এমন কোন ঘর নেই যে সেখানে নারী নেই। কোন প্রতিষ্ঠানে ভিসি, অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক বা প্রকল্প পরিচালক, বিভিন্ন সময়ে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য বা অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য বা দূর্নীতি করার জন্য এমনকি কারোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবার জন্য এবং পদ মর্যাদা পাবার জন্য ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতাদের ব্যবহার করে এবং তাদেরকে কুকর্মে সহযোগিতা করা হয়। এমন নজির ও অনেক আছে। যাই হোক যারাই জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কাল ক্ষেপন করা যাবে না। ধর্ষনের মতো ন্যাক্কার জনক ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ে যেতে হবে। যে কোন ভাবে একটা সভ্য দেশ ও আইনের শাসনের দেশ কায়েম করতে হবে। আমাদের মধ্যে বিভাজন, পার্থক্য এবং মতভেদ থাকতে পারে কিন্তু কিছু ব্যাপারে একমত হতেই হবে বিকল্প পথ নেই। সবকিছু ভেঙে পড়ে অবস্থা থেকে সবকিছু ঢেলে সাজােেনার ডাক আসে। আর কত কলংকিত হলে বা চুনকালি পড়লে আমরা বলবো, যথেষ্ট হয়েছে। সব কিছু ইতিবাচকভাবে পাল্টে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নাও। এটাই হউক আজকের ছাত্র সমাজের প্রতিশ্রæতি।

লেখক: জহিরুল ইসলাম শাহীন
সহঃ অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ