HEADLINE
৫ দিন পর ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু দেবহাটায় পাল্টাপাল্টি মারপিটে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত ৫ সাতক্ষীরা সীমান্তে নয়টি স্বর্ণের বার’সহ চোরাকারবারি আটক সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে সজিনা গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় পলাতক আসামি যশোরে গ্রেপ্তার দেবহাটায় নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে শিশুর ম’র্মা’ন্তিক মৃ’ত্যু সাতক্ষীরায় দু’বস্তা ফেনসিডিল’সহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার আমাদের সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়নে অনেকটা অবহেলিত
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহিংসতা দূর করি

জহিরুল ইসলাম শাহীন / ২১৫
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

সকল জলপনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্টের চাপকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে অবশেষে ১৫ নভেম্বর ২০২৩ তফসিল ঘোষনার মাধ্যমে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল সহ তার মিত্র সংগঠনগুলোকে ঘোল খাওয়াইয়ে অবশেষে নির্বাচন কমিশন তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী। যেমনটা আগে থেকে মনে করা হয়েছিল ঠিক সেই রূপ রেখা অনুযায়ী বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের মিত্রদের নিয়ে নির্বাচনে অতি সহজে জয় লাভ করার জন্য সামনের দিকে এগুচ্ছে। একথা অপেক্ষা রাখে না যে, যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী করবে তাদের নির্বাচনে জয়লাভ করাতো দুরে থাক তারা জনসম্মুখে আসতে পারছে না বরং পুলিশ আতঙ্কে গা ঢাকা দিচ্ছে এবং অনেক নেতা কর্মী এ মুহুর্তে মামলার স্বীকার হয়েছে এবং পূর্বের বিভিন্ন মামলার বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত হয়েছে। সুতারং বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পথ এবে বারে পরিস্কার সামনে আর কোন সঙ্কা রইলো না। যে কোন মূল্যে নির্বাচন তারা করে ফেলবে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এমুহুর্তে তাদের নিবন্ধন হারিয়েছে এবং অনেক দিন ধরে জি, এম, কাদেরের যে জাতীয় পাটিকে মনে করা হয়েছিল তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থকবে না। যতক্ষন না পর্যন্ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হবে। ধরেই নেওয়া হয়েছিল তারা বিএনপির সাথে আছে কিন্তু সকল সন্দেহ দুর করে গত ২৩ তারিখে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে ৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির একক ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করবে। এদিকে বি.এন.পি জোট থেকে বি.এন.এম ও কল্যান পর্টি সহ আরো কয়েকটি দল বি.এন.পি জোট থেকে বেরিয়ে এস নতুন জোট যুক্ত ফ্রন্ট গঠন করেছে এবং নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা করেছে। এ ছাড়া তৃনমূল বি.এন.পি এর কিছু নেতা কর্মীকে দলে ভেড়ানোর জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই তাদের ৪০৩ টি নমিনেশন ফরম বিক্রী হয়েছে তার মধ্যে আমাদের সাতক্ষীরা জেলায় ০৮ টি এই প্রক্রিয়াই আরও বিভিন্ন দল থেকে প্রলোভন ও লোভ দেখিয়ে এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বের করা যায় তারও জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই সমস্ত দলকে ভোটে অংশ গ্রহন করানো এবং জবাবদিহি মূলক নির্বাচনে সুষ্ঠ প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহনের আশ^াস দেওয়ার মত ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে। এর পেছনে অবশ্য একটা কারন ও আছে, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন সহ আরও অনেক সংস্থার সহযোগিতা আছে। সুতরাং ঐ সমস্ত ছোট ছোট দল বা জোটের নির্বিঘেœ ভোটে অংশ গ্রহন করার জন্য সামান্যতম ভয়ের কারন নেই। যে ভাবে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ, অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহ অনেক বড় বড় দেশ সরাসরি বলেছে বড় বড় দল গুলোকে সংগে নিয়ে নিরপেক্ষ জবাব দিহি মূলক এবং অংশিদারিত্ব নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সরকারের উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। জানিনা এর শেষ কোথায়, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কি অবস্থার সৃষ্টি হয় সেটা বলা মুশকিল। বড় বড় দলগুলো এক সংগে নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করলে নির্বাচন অনেকটা এক পেশে হয়ে যায়। প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে পড়ে এবং গ্রহন যোগ্যতা হারায় । বিষয়টা এমন আর্জেন্টিনার সাথে বিশ^কাপে খেললো, নেপাল, ভূটান, মালদীপ, বাংলাদেশ, মায়ানমাব, কেনিয়া, ইত্যাদি দল। বড় বড় দলগুলো বিশ^কাপ যে কোন কারনে খেলতে পারেনি। এই বিশ^কাপ কি বিশে^র সকল দেশ বা জনগন মেনে নিবে? প্রশ্নবিদ্ধ হবে, ঠিক সেইরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে আছে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মত একটা ছোট দরিদ্র এবং অধিক জনসংখ্যার দেশে এমনটা আশা করা যায় না। একটা সরকারের মেয়াদ শেষ হলে সকল দলমিলে ভোটে স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশ গ্রহন করবে এবং ভোটের মহাউৎসব পালন করবে। সেটা না হয়ে ভোটের সময সবাইকে একটি ভীতিকর অবস্থার ভেতর দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয়। সুতরাং এমন রাজনীতি আমাদের দেশে প্রয়োজন না। রাজনীতি বা ভোট নীতি এখন আমাদের দেশ সেখানে এসে দাড়িয়েছে, তাতে সব চেয়ে কৌতুহলের বিষয় হচ্ছে বি.এন.পি সহ সমমনার দল গুলো এ মুহুর্তে কি করবে, দলের শীর্ষ পর্যায়ের বিভিন্ন জেলায় অধিকাংশ নেতা সহ জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নের হাজার হাজার নেতা কর্মী এখন কারাগারে এবং আত্মগোপনে আছ এবং তড়িঘড়ি করে বিচার করে অনেক সময় রাত্রেও কোর্ট বসিয়ে নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার বি.এন. পি ও সমমনার দলগুলোর পক্ষ থেকে বারবার অবরোধ দেওয়া হচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ১০০০ টি গাড়িতে ও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং রাতের বেলা টাংগাইল, জামালপুর রেল ষ্টেশন সহ ৬টি স্থানে রেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পথযাত্রীদের মধ্যে একটা ভীতিকর অবস্থা বিরাজমান। এতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, গাড়ীর চালকদের এবং যাত্রীদের যাতায়াতে মারাতœক হুমকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে। কে বা কারা এই দেশ বিরোধি কর্মকান্ডে তৎপর সেটাও ধারনার বাইরে। পুলিশ ও কুলকিনারা খুজে পাচ্ছে না। এসমস্ত অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে বি.এন.পি তো মাঠেই নেই। তারাতো মাঠেই নামতে পারছে না। তবে কারা এগুলো করছে, এর জন্য দায়ী কারা, এ দুর্ভোগের জবাব দেবে কে? সবকিছুই অন্তরালে থেকে যাচ্ছে। দেশটাতো বি.এন.পির বা আওয়ামী লীগের বা জাতীয় পার্টির বা বাম দের বা ধর্মীয় দল গুলোর জন্য নয়। এক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমান যা হচ্ছে তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ডগুলোর ঋনের পরিমান বেড়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের মাত্রা থামানো যাচ্ছে না, ক্রয় ক্ষমতা মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। যারা সরকারী চাকুরী করেন, যারা প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যারা মন্ত্রী এমপি,যারা রাজনীতিবিদ এবং যাদের পেশি শক্তি আছে এবং যারা ঘুষ দুনীতির সংগে জড়িত তাদের সমস্যা নেই। তাদের সুষম খাবারের অভাব নেই, কিন্তু প্রিয় প্রশাসন এবং রাজনীতি বিদ আপনারা কি একবারও ভেবেছেন আপনাদের পাড়া গায়ের, গ্রামের, পাহাড় পর্বতে, নদীর তীরে ফাকা মাঠে যে সমস্ত জনগন বসবাস করে তাদের অবস্থাটা কি? আপনাদের অনেক আত্মীয় স্বজন তো গ্রামে বাস করে, গ্রামের পরিবেশটা কেমন, গ্রামের মানুষের দুঃখের কথা রাজধানী ঢাকায় বসে, বঙ্গ ভবনে বসে, গনভবনে বসে, জাতীয় সংসদে বসে, বড় বড় মহানগরের মসনদে বসে, বিভিন্ন টকশোতে বসে আলোচনায় বোঝা যাবেনা। একবার নিজ নিজ এলাকাতে যান, দেখুন সবাই বুঝতে পারবেন, ছদ্দবেশ ধারন করে গ্রামে গ্রামে ঘুরুন এবং দেখুন গ্রামের রাজনীতি, বড় বড় দলের নেতা কর্মীরা কোথায় নিয়ে গেছে। মানুষ কত অসহায়, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট মন্ত্রী, পররাষ্ট মন্ত্রী,শিক্ষা মন্ত্রী সহ রাজনীতিবিদ ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা আপনারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান,পরিচয় দেবেন না, দেখবেন গ্রামের চিত্র কেমন। গ্রামের মানুষ কেমন আছেন। তখন সব কিছু উম্মোচিত হবে। বক্তব্য রাখার প্রয়োজন হবে না, টকশো করার প্রয়োজন হবে না। কোন দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার ও প্রয়োজন হবে না। সরকারে যে দলই থাকে তারা এবং প্রশাসন ফায়দা লুটে নেয়। আমি যে বর্তমান সরকারের বলছি তা নয়। আমার কথা তাদের নিয়ে ও নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে যে যারা যখন ক্ষমতায় আসছে ঐ একই চিত্র। কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। বি,এন,পির শাসনামলে দেখেছি, জাতীয় পার্টির শাসন আমল দেখেছি ঐ একই চিত্র। আমাদের দেশে কেহ ভারত পন্থী, ভারত সরকার এদেশ নিয়ন্ত্রণ করে। কেহ বা আবার আমেরিকা পন্থী। আমেরিকা আমাদের কে শাসায়। কেহবা আবার চীন রাশিয়া পন্থী তারা আবার হুংকার দেয় আবার পাকিস্তান আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রæ। ইতিহাস তাই বলে । কারণ জাতীয় ভাষা বা ভাষা আন্দোলনে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে যে বিভৎস ইতিহাস তা পশ্চিম পাকিস্তানের সৈন্যরা এবং প্রশাসন ও সরকার রচনা করেছিলো তা কখনও আমরা ভূলতে পারি না। ভূলবো না। ক্ষমার একেবারে অযোগ্য। এই পাকিস্তানকেও আমরা কেহ কেহ সমর্থন করি। যদি আমরা পরনির্ভরশীল হই তাহলে রক্ত দিয়ে প্রাণ দিয়ে সহায় সম্বল হারিয়ে ইজ্জত হারিয়ে কেন আমরা দেশ স্বাধীন করলাম। আমাদের ভেতরে কেন বা এত ভারত প্রীতি দেশ বিভাজনের সময়ে দেশের সীমান্তবর্তী নদীগুলো, পাহাড় পর্বত আমাদের অংশে ঐ ভারত সরকার নিয়ে গেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই দেশের মিল কল কারখানার গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ গুলো তারা পার করে নিয়ে গেছে। সুতরাং তারাও আমাদের মিত্র নয়। তারা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কিছু বললে তার বিপরীতে অবস্থান নেয় চীন, ভারত ও রাশিয়া। তার হিসাব নিকাশ মেলানো খুব কঠিন বা গোল মেলে। তারা বাংলাদেশকে রিজার্ভের অর্থ যোগান সহ নানা সহায়তার আশ^াস দিয়ে রেখেছে। চীন জানে যে, বাংলাদেশকে সহায়তা করার এই প্রতিযোগিতায় ভারত সরকার তার সংগে পেরে উঠবে না। এই বাস্তবতা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা বাড়তে পারে। তাছাড়া চীন কোন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখার যে কৌশল মেনে চলে, তাতে সব অবস্থায়ই বাংলাদেশের সংগে বজায় রাখতে পারবে। ফলে চীনের কোন ঝুকি নেই। কিন্তু ভারতের জন্য বিষয়টি সম্ভবত তত সহজ নয়। এর ফলে বাংরাদেশের অতিরিক্ত চীন নির্ভরতা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের জন্যই অশ^স্তির কারন হয়ে দাড়াতে পারে। মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্ত রাষ্ট্রের অবস্থানের বিরোধিতা করা এবং একই সংগে বাংলাদেশ কে চীনের প্রভাব থেকে দূরে রাখা- এই দুরুহ কাজটি ভারত কিভাবে করবে? একেবারে অসম্ভব। কারন বর্তমান সময়ে যে তথ্য প্রযুক্তি থেকে শুরু করে গার্মেন্টস শিল্প বলি আর যে শিল্পই বলি সারা এশিয়া মহাদেশ জুড়ে চীনের পন্য যা এমনকি ভারতে ও ব্যপক হারে বিস্তৃত যেটা ভারত এখনও পর্যন্ত পারে নি। বাংলাদেশে ভারতের কোন ব্যবসা নেই বলে মনে হয় কিন্তু বাংলাদেশ ভারতের সংগে ব্যবসা করে বিভিন্ন পন্য ভারত কে আমদানি করে। অপর দিকে যুক্ত রাষ্ট্র পোশাক শিল্প, মৎস শিল্প সহ নানাবিধ ব্যবসা বাংলাদেশে করে থাকে। যাই হোক যুক্তরাষ্ট্র, চীন ভারতের মতো শিল্প উন্নত দেশের সংগে আমাদের বৈরী সম্পর্কের কোন প্রয়োজন হয়না। বাংলাদেশ সমতল ভুমি কৃষি প্রধান দেশ, নদী মাতৃক দেশ। সাগর, পাহাড় পর্বত, শস্য শ্যামলা ঘেরা সবুজ দেশ। এদেশ থেকে ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলেই কারোর ওপর আমাদরে নির্ভর করা লাগে না। আলোচনায় আছে ভারত প্রশান্ত মহা-সাগরকে ঘিরে যুক্ত রাষ্ট্রের কৌশলগত নীতিতে বদল এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন সরাসরি এ অঞ্চলে তার ভূমিকা রাখতে চায় না। ভারত বা চীন পছন্দ করছে না। সুতরাং আমার মনে হয় বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ভিন্ন অবস্থানের পেছনে নির্বাচন সম্বলিত কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের উপর খোলাখুলি ও জোরালো অবস্থান নিয়েছে যে তাদের জন্যে এটা এখন যথেষ্ট স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে সরে আসবে না, সরবে না বা সরে যাবার কোন উপায় আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না তারা আসলে কি করবে, তার ফলাফল কতদূর দাড়াবে। তারা ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। বাংলাদেশ প্রশ্নে এ সমস্ত ইস্যু আমাদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয়। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এত জোরালো ভূমিকা ও অবস্থান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এতগুলো শক্তির প্রকাশ্য অবস্থান আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিগত দিনের নির্বাচনে বা রাজনীতিতে এতটা লক্ষ্য করা যায়নি। এর পেছনে ভূ রাজনীতির ভূমিকা রয়েছে ঠিকই কিন্তু দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ ধারাবাহিকভাবে আমাদের দেশের রাজনীতিবীদরাই তৈরি করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংকট সমাধানের উপায় খুজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। কারোর কাছে সংকট নিরসনের উপায় বা কোন পথ আছে কিনা তা আমরা জানি না। নির্বাচন এখনও খুব একটা দূরে নয় । আসছে ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে তাই উচ্চ পর্যায়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদরা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশ প্রেমিকরা একটু উদ্যোগ নিলেই হয়তোবা সংকট নিরসনের পথ বের হতে পারে এবং আতঙ্কিত জনগন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ^াস পেতে পারে।

লেখক: জহিরুল ইসলাম শাহীন
সহঃ অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ
কলারোয়া, সাতক্ষীরা।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ