সভায় বরাদ্দ ৭০ হাজার, খরচ ৩০ হাজার
সোমবার সকাল ১০ টার সময় দায়সারা ভাবে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লি: এর বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কলারোয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়। অধিকাংশ গ্রামের সমিতির ম্যানেজার এবং সভাপতি অনুপস্থিত। তাদের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ থাকলেও স্বশরীরে তাদেরকে সেখানে দেখতে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, কলারোয়া উপজেলায় ১৭১টি সমিতি আছে। চলতি অর্থ বছরে ৫০৪২ জন সদস্য সংখ্যা আছে। কিন্তু বার্ষিক সাধারন সভায় সকল ম্যানেজার ও সভাপতিদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, তারা দাওয়াত না পেয়ে সাধারন সভায় উপস্থিত না থাকতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এমনি একজন সমিতির সভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি একজন দীর্ঘ দিনের একটি সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু কেন যে এবার দাওয়াত পেলাম না সেটা বুঝতে পারলাম না। তিনি বললেন সামনে তিন জন কর্মী নিয়োগের কথা থাকায় তড়িগড়ি করে
নাম অস্তে বার্ষিক সাধারন সভা করে প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য এমন সভা করা হয়েছে। সাধারন সভায় উপস্থিত একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সেই সকাল থেকে এখানে এসেছি। মিটিং শেষে যে একটি মগ এবং যে খাবার দিয়েছে সেটা কোন অনুষ্ঠানে দেওয়া যায় কিনা সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন তিনি এবং যে খাবার দিয়েছে সাদা ভাত, ছোট এক পিচ পল্ট্রি মুরগীর মাংস তাহাতে পঁচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান। অফিস সুত্রে জানা যায়, বার্ষিক সাধারন সভায় ২০ হাজার টাকা
পুরস্কার বাবদ ৪ হাজার টাকা প্রচারনা বাবদ ও ৪৬ হাজার টাকা আপ্যায়ন খরচ মোট ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপস্থিত সদস্যদের প্রশ্ন যে পুরস্কার এবং যে খাবার দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। সভায় উপস্থিত সদস্যদের একটাই কথা তাহলে বরাদ্দের আর বাকী৷ টাকা গেলো কোথায়? তাদের একটাই দাবী সুষ্ট তদন্ত পূর্বক যেন এর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান আ: গফুরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, সকলকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কেউ যদি দাওয়াত না পায় তাহলে আমার করার তো কিছু নাই। বরাদ্দের টাকা লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়ম মেনেই সব কিছু করা হয়েছে। এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা সোহেলের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয়েছিল এবং বরাদ্দের টাকা সঠিক ভাবে খরচ করা হয়েছে।