দ্রব্যমূল্যের উর্ধোগতিতে নাভিশ্বাস স্বল্প আয়ের মানুষের। আয় কম খরচ বেশি, সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। সারাদিনের খাটুনি তার উপরে সংসার চালাতে ব্যর্থ প্রায় পরিবারের প্রধানরা। কি করে সংসার চালাবে, মহাজনের দেনার দায়, ছেলে মেয়ের লেখাপড়া, পারিপাশ্বিক খরচের বহর এমন হাজারো প্রতিকুলতার পরিস্থিতি সামাল দেবেন সেই ভাবনায় মসগুল সারাক্ষন নিন্ম আয়ের মানুষেরা। কামলা দেওয়া টাকায় সংসার খরচ করে শূন্য পকেটে পরিবারের প্রধানের চোখে যেনো চোখে সরিষার ফুল। রঙ্গিন পৃথিবী ধুসর মরুভুমি যেনো তার কাছে।
একজন কৃষক জমিতে ফসল ফলিয়ে নিজের পরিবারের খাদ্য রেখে, সার ও কীটনাশক এবং সেচের মূল্য চুকিয়ে লাভ তো দুরের কথা হালখাতার সময় মহাজনের কাছে মিনতির সুরে বলছে এর বেশি পারছি না, নতুবা বলছে সুদে না হয় ধার করে যা পেরেছি তাই নিয়ে এসেছি এটা নাও বাকিটা পরে শোধ করে দিয়ে দেবো, এরপর মহাজনের চোখ রাঙানি।
একজন দিনমজুর মাঠে কোন ফষলি জমি নেই সারা বছর কামলা খাটে, কোন রকমে চলে, দিন আনা দিন খাওয়া, পরিবারটির কি অবস্থা বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে ভেবে দেখেছেন কি অভিজ্ঞমহলেরা? চাকরির টাকায় সংসার চলে তার উপর বেতন বৃদ্ধির বায়না।
দিন মজুর হতাশাগ্রস্থ এক মহাশয়ের কাছ থেকে জানাগেছে তিনি সংসার ও দেনার দায় মেটাতে জমির একটি অংশ টাকার বিনিময় বন্ধক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, চিন্তা করুন কতোটা অসহায় হয়ে হয়ে পড়েছে খেঁটে খাওয়া দিন মজুর পরিবার গুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজনের কাছ থেকে জানতে পারা গেছে তিনি মহাজনের দেনা পরিশোধের জন্য চড়া সুদে টাকা নিয়েছেন তাও এক জন মহাজনের দেনা পরিশোধ করবে এখনও অন্য দেনা বাকি রইলো। একজন পরিবারের কর্তা, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, বৃদ্ধ পিতা, মাতা, আত্বীয় স্বজন রক্ষা করে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের বাড়বাড়ন্তে। নিজেকে ব্যর্থ কর্তার পরিচয় দিতে হচ্ছে সংসারে।