খুলনার কয়রা উপজেলায় ২নং বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামে বাবা, মা ও মেয়েকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। জানা গেছে গত ২৬ অক্টোবর সকালে বামিয়া গ্রামের মাজেদ গাজীর বাড়ীর পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃত মাজেদ গাজীর পুত্র হাবিবুর রহমান(৩৫), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৩২) ও কন্যা হাবিবা খাতুন টুনি (১৩) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার হাবিবুরের মা বাদী হয়ে কয়রা থানায় ১ টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করে। আটককৃত হলেন, বামিয়া গ্রামের মৃত কওছার গাজীর পুত্র জিয়াউর রহমান জিয়া (৪১), কুদ্দুস গাজীর স্ত্রী সুলতানা (৩৮) ও ভাগবা গ্রামের মৃত্যু মোকছেদ আলী সরদারের পুত্র আঃ খালেক (৬৫)। আটকের পর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কয়রা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আছাদুল ইসলাম কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক শুনানী শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ দিকে ঐ হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন সহ মুল আসামীদের গ্রেফতার পুর্বক বিচারকের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় ঘুঘরাকাটি বাজারে মানববন্ধন করেছে ঘুঘরাকাটি ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্য, ছাত্র, ছাত্রী ও অভিভাবকগন। উল্লেখ্য ঐ মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী হাবিবা খাতুন টুনিকে তার পিতা ও মাতার সাথে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।