আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমার্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত-৬, এর মধ্যে ৪ জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর নিয়ে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় দু’ দফায় সংঘর্ষ বাধে আওয়ামীলীওগর নৌকার প্রার্থী কবি শামসুর রহমানের সমার্থকদের সাথে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছের আলীর আনারস প্রতিকের সমার্থকদের সাথে। আহতদের মধ্যে আনারস প্রার্থী আছের আলীর বড় ভাই সাবেক মেম্বর নাছের আলী(৫৫) ও তার পুত্র মনিরুল (৩০) মারাক্তক জখম হয়ে শনিবার রাতেই খুলনায় নেওয়া হয়েছে এবং গফুর মোড়ল (৪০) ও রিপন (৩০) নামে ২ জন জায়গীরমহল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অপর দিকে নৌকার সমার্থক আলমগীর (৩৪) ও জাকির (২৭) খুলনায় চিকিৎিসাধীন আছে বলে জানিয়েছেন কবি শামসুরের পুত্র মসিউর রহমান মিলন। আহতদের মধ্যে নাছের আলী ও তার পুত্র মনিরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং উভয়ের মাথা সহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে দা’ ও রডের আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। এ বিষয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার বিকেলে আংটিহারা মাওঃ মতির মোড়ে আনারস প্রতিকের এক সমার্থককে নৌকার সমার্থকরা লাঞ্চিত করলে খবর পেয়ে আনারস প্রার্থীর অর্ধশত কর্মী সমার্থক সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌছে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় নৌকার কর্মী সমার্থকরা জড়ো হয়ে উক্ত সমাবেশে হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সম্পার্কে আনারসের প্রার্থী আছের আলী জানান, তিনি ঘটনার সময় খুলনায় অবস্থান করছিলেন এবং খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে বাড়ী পৌছেন। তিনি বলেন, তার কর্মীদের ১২ টি মোটর সাইকেল ভেঙ্গে ফেলেছেন এবং ৪ টি নৌকার কর্মীরা নিয়ে গেছেন। এছাড়া তার ভাই ও ভাইপোর মাথায় একাধিক স্থানে দা’ ও কুড়ালে আঘাত করেছেন এবং আরও ৫/৬ জনকে আহত করেছেন।অন্যদিকে নৌকার প্রার্থীর পুত্র মিলন জানান, আনারসের সমার্থকদের দা’ ও লাঠির আঘাতে তার ২ কর্মীকে কুপিয়েছে। এদিকে সর্বশেষ নির্বাচনী তফসীল ঘোষনার পর দক্ষিণ বেকাশির এই ঘটনা প্রথম ঘটায় প্রশাসন তৎপর হয়েছেন বলে শোনা গেছে।