কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন এর নৈকাঠী গ্রামের বেরিবাঁধ সংস্কার ও ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও বস্তায় বালু ভরে ডাম্পিং করবে বলে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে জিও বস্তায় ভরে রেখেছে ঠিকাদার।
কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি বেরিবাঁধের উপরে জিও বস্তায় বালু ভরে রাখার কারনে সাধারণ মানুষ চলাচলের ভোগান্তি পাচ্ছে, সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় নৈকাটির সীমান্ত নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বেরিবাঁধের উপর রেখে কিছু জিও বস্তায় ভরে বেরিবাঁধের উপর সাজিয়ে রেখে দিয়েছে। নৈকাঠী গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে বলেন দেড় মাসেরও অধিক হয়ে যাচ্ছে, এই রাস্তার কাজ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু উত্তোলন করে রাস্তার উপরে রাখ ছিলো তখন আমরা এসও সাহেবকে বলেছিলাম আমাদের চলাচলের খুবই অসুবিধা হচ্ছে তখন এসও সাহেব বলে ছিলো দু চার দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে আপনাদের কোন চলাচলের অসুবিধা হবে না। কিন্তু বেড়ীবাঁধের কাজ না করায় প্রতি রাএে বালু ফেলে দিয়ে অসাধু ব্যাক্তিরা বস্তা নিয়ে যাচ্ছে দেড় মাসেরও অধিক সময় বালু ভরে বস্তা ফেলানো কিন্তু সিডিউল অনুযায়ী বস্তা ছিল তার থেকে তো প্রতিরাতে চুরি হয়ে যাচ্ছে তাহলে কে নিবে এই দায়ভর পানি উন্নয়ন বোর্ড না ঠিকাদার। না বস্তা কম দিয়ে ভাঙ্গন রয়বয় মিল করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সাহেবকে ম্যানেজ করে বেড়ীবাঁধের কাজ হ্যান্ডওভার করে দিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারের ম্যানেজার গোপাল বাবুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে আমরাও বিপদে আছি সিডিউল অনুযায়ী কাজের শেষ সময় চলে এসেছে কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও তন্ময় হাওলাদারকে আমি বারবার বলছি সে আমাকে বলছে টিম না আসা পর্যন্ত বস্তা গণনা করা সম্ভব হবে না। আপনি এসও তন্ময় হাওলাদারের কাছে জানতে পারেন।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও তন্ময় হাওলাদার সাথে কথা হলে তিনি বলেন এখন বর্ষাকাল ভাঙ্গন কুলে পানি বেশি থাকে যার কারনে বস্তা ফেলতে একটু দেরী হচ্ছে পানি বেশি থাকার অবস্থায় বস্তা ভাঙ্গনে দিলে শুরে যেতে পারে। আর ঢাকা থেকে টিম এসে বস্তা গণনা করবে তার পরে বেড়ীবাঁধের কাজ শুরু হবে টিম না আসলে আমার কিছু করার নেই।