বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন

হতাশার ইতিকথা 

বিপ্লব কুমার মজুমদার / ৮৮
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

                 

আমরা যখন হতাশায় ভুগি তখন আমাদের  মনে হয় -আমি বোধ হয় পৃথিবীতে ক্রমশ শুধু ঠকছি।আসলে ভালো মানুষের কোনো মূল্য নেই।আমি ভালো কিনা জানি না।তবে আমি ভিতরে  ভিতরে নিজে যে অনেক দুর্বল সেটা জানি।এজন্যই বোধ হয় আমি ভালো মানুষ। পৃথিবীতে যারা ঠকিয়ে, বকিয়ে,ঝাকিয়ে, শাসিয়ে, কাঁপিয়ে,দমিয়ে,দাপিয়ে নিজের অস্তিত্বকে জানান দেয় তারাই টিকে থাকে।তারাই সম্মান পায়।আমি আমার সুখের জন্য কখনো ভাবি নি।আমি ভেবেছি আমার অস্তিত্ব নিয়ে,দায়িত্ব আর দায় বোধ নিয়ে। এখানেই আমি বিফল।অনেক ভালো কাজ করার ইচ্ছে আমার ছিলো কিন্তু হলো কই। ঐ যে আমার শুধু ভোগ করার ইচ্ছে নেই, ত্যাগ করার ইচ্ছেও তো আছে। সুতরাং আমি সেই পর্যায়ে কখনই যেতে পারবো না।সৃষ্টিকর্তা যেতে দেবেন না। তবে আমি ব্যর্থ না।আমি বিজিত না। আমি ভীরু না। আমি এই পৃথিবীর কাছে ক্লান্ত এক পথিক।যার কেনো স্বাদ নেই,সাধ নেই,তেজ নেই,গন্তব্য নেই।হতাশা নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এক জয় অপ্রত্যাশী  আনাড়ি, হাঁপানি এক সৈনিক। একটা কথা সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে,হতাশা মানেই সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। প্রকৃতিতে যেমন ঝড় ওঠে আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যায়,মানুষের জীবনেও ঠিক তেমনি। আশা না থাকলে যেমন মানুষ  বাঁচে না তেমন হতাশা না থাকলে মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে পারে না। আশা আর হতাশ হলো মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। 

হাসুন, মন খুলে হাসুন আর বলুন আমি বেশ আছি। জীবনকে আনন্দ দিন, ভুলেও কখনো জীবনকে ভোগের দুঃস্বপ্নে ভাসিয়ে দেবেন না। তাহলে হতাশায় যেমন আশা ভেসে যাবে তেমনি জীবনও বটে!

লেখক -বিপ্লব কুমার মজুমদার 

আশাশুনি, সাতক্ষীরা 


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ