এই মহুর্তে সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় অসাধু জেলেরা রাতের অন্ধকারে নৌকায় বরফ তোলার সময় ৪০ ক্যান বরফ সহ ৪ টি ভ্যান বনবিভাগের হাতে আটক হয়েছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আনুঃ ১২ টার সময় ৪ টি ভ্যান যোগে ৪০ ক্যান বরফ সুন্দরবন সংলগ্ন ৬ নং কয়রা লঞ্চঘাটে পৌছায়য়ে বরফ নামাবার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিয়াবাদ ফরেষ্ট স্টেশন কর্মকর্তা উক্ত বরফ সহ ৪ টি ভ্যান আটক করে। এসময় ভ্যান চালক ও জেলেরা দৌড়ায়ে পালিয়ে যায়। সূত্র জানায়, উপজেলার ৪ নং কয়রা গ্রামের খাটো মিন্টু নামে জনৈক সুন্দরবনের মাছ ব্যবসায়ী ১০ থেকে ১৫ জন জেলেকে মাঝে মধ্যে সুন্দরবনে বরফ নিয়ে মাছ ধরতে পাঠায়। এসময় জেলেরা ৩ থেকে ৪ দিন গভীর সুন্দরবনে নিষিদ্ধ ভেশালিজালে চিংড়ী মাছ ধরে রাতের আধারে লোকালয়ে পৌছিয়ে মোটর সাইকেল যোগে উক্ত মাছ পাইকগাছায় বাঁকা নামক স্থানে শুটকী আড়তে পৌছিয়ে দেয়। জানা গেছে, প্রতিটি জেলে ৩/৪ দিন বন থেকে প্রায় ৩/৪ মন চাকা চিংড়ী ধরে থাকে, যার প্রতি কেজি মূল্য প্রায় ৫০০ টাকা। এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাছ ব্যবসায়ী জানায়, দীর্ঘ ২ মাসের অধিক সুন্দরবনে জেলেদের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও খাটো মিন্টু গোপনে এভাবে জেলেদের মাছ ধরতে পাঠায়। তারা আরও জানায়, ৪০ ক্যান বরফে ৩ থেকে ৪ দিন ২০ টা জেলে মাছ ধরতে পারে। কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা জানান, এই অসাধু জেলেদের ধরতে তিনি কিছুদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ৪ টি ভ্যান যোগে এসব বরফ কয়রা সদর ইউনিয়নে ৬ নং কয়রা বেড়িবাঁধের উপরে তাদের ঘিরে ফেলে। কিন্তু নদীর চর দিয়ে জেলে ও ভ্যান চালকেরা রাতের আধারে পালাতে সক্ষম হলেও ভ্যান, বরফ জব্দ করা হয়। তবে ভ্যান গুলো ছাড়াতে বিভিন্ন মহল থেকে তার কাছে ফোনে তদবীর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য বরফ গুলো কোন কোন মাছ ব্যবসায়ীর তা এখন জানা যায়নি।